হৃদয় বীণায় বাজে মধুর রাগিনী।
সুদূরে মিলিয়ে যায় কার পদধ্বনি?
হাওয়াই মিশে শিশিরের বিন্দুজল।
শীতের আড়ষ্ট ভেঙে প্রকৃতি চঞ্চল।
ডালে ডালে অঙ্কুরিত নব কিশলয়।
কুহুতানে মুখরিত গৃহস্থ আলয়।
আগুন রঙা পলাশে রাঙিল প্রাঙ্গণ।
তরুশাখে পুষ্প হাসে প্রোজ্জ্বল গগন।
ফুলে ফুলে মধুকর আসে গুঞ্জরিয়া।
থেকে থেকে হিয়া আজ ওঠে শিহরিয়া।
হিমেল বাতাস দেয় দোলা বেণুবনে।
প্রণয়নী কেঁপে উঠে প্রণয়ী চুম্বনে।
যুবতী সেজেছে আজ হলুদ শাড়িতে।।
গাঁদা ফুল শোভা পায় মাথার খোঁপাতে।
শুভক্ষণে কেউ করে প্রেম নিবেদন।
অর্গল খুলে বলে গোপন কথন।
শিমুলে, অশোকে রাঙা পথের দু’ধার।
কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া বাড়ালো প্রসার।
আম্রমুকুল ছড়ায় মাদকতা গন্ধ।
সরোবরে জল নাচে বায়ু মৃদুমন্দ।
কপোল রাঙিল আজি আবিরের রঙে।
উল্লাসে মাতিল সবাই বিচিত্র ঢঙে।
বেজে উঠে বসন্তের আগমনি সুর।
রুনুঝুনু বাজে তাই ঝংকৃত নূপুর।
ফাগুনে আগুন লেগে আলোকিত ধরা।
রূপের আগুনে পোড়ে আজি চিত্তহরা।
চারিদিকে দেখি আজ সাজ সাজ রব।
পাতা ঝরা শেষে শুরু বসন্ত উৎসব।
Leave a Reply