সায়াহ্ন বেলায় ফেলে আসা অনেক ইচ্ছের কথা মনে পড়ে।
নক্ষত্রের চোখের ইশারায় তাদের কথা রাখার ইচ্ছে গুলো সব হারিয়ে গেল।
জীবন মিনারের খাঁজকাটা গায়ে পা রেখে শ্যাওলা সবুজ ছায়া গুলো ধামা ভরে ধরতে গিয়ে বারবার পিছলে পড়েছি।
যাদবপুরের বাড়ির টিনের চালে শিলাবৃষ্টি হয়েছে টং টং, টাংটুং।
আমি শুধু কবিতার শব্দগুলো গুনে গেছি।
সাহিত্যের কোন পুরস্কার পাওয়ার ইচ্ছে হয়েছিল, কিন্তু পাতা গুলো তো সাদাই রয়েছে।
করমচার পাতা বেয়ে জলের ফোঁটা শুধু গড়িয়েই গেছে।
প্রায় মজা পুকুরের পাড়ে প্রায় ন্যাড়া ন্যাড়া কাশ গাছ কটা।
মাথা হেলাচ্ছে এধার ওধার।
মনে হল অস্কার টা বুঝি এবার আমার।অপু-দুর্গার সিক্যুয়েল বানাব যে।
অলিম্পিকে তীরন্দাজী তে সোনা জেতার ছবি দেখেছি।
আকাশে ধনু রাশির মুখে ব্যঙ্গের হাসি।
কখনো নায়কের মতো টেবিলে ঘুঁষি মেরে বলেছি আই উইল গো টু দ্য টপ।
ধুর বাবা হাতে যে ব্যাথা পেলাম প্রচন্ড।
ঝরা পালকের বিষন্নতা ভুলে জীবনের নতুন বিন্যাস চেয়েছি,
নাদের আলির সাথে তিন প্রহরের বিল দেখতে যাওয়ার বায়না করেছি
বনলতার মুখে শ্রাবস্তীর কারুকাজ খুঁজেছি
অস্ত চাঁদের সাথে সব হারিয়ে গেছে।
আমার যাদবপুরের টিনের চালের বাড়ির চারপাশে ওদের প্রবেশে লাল ঢ্যাঁড়া।
আমি প্রতিভা হীন নিম্নবিত্ত না?
11/6/2022
7: 13pm
Leave a Reply