উচ্চ শিক্ষার জন্য কানাডায় গিয়েছিলেন ইমরান। ৪ বছর পর দেশে ফিরে জয়েন করলেন স্বনামধন্য একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে। মাস শেষে ভালো বেতন পান, সেভিংসও করেছেন বেশ ভালোই। দিনকাল বেশ ভালোই কাটছে। কিন্তু চিন্তা বাড়ছে বাবা-মায়ের। তাদের বয়স বাড়ছে, এখনই ছেলের বিয়ে না দিলে নাতি-নাতনিদের মুখ দেখে যেতে পারবেন না। ইমরানেরও মনে হলো, বিয়ের ব্যাপারে এখন একটু সিরিয়াস হতেই হবে। শুরু হলো বিয়ের জন্য ভালো পাত্রী খোঁজার অভিযান, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সবাইকে জানানো হলো। কিন্তু ২ মাস কেটে গেলেও কেউ উপযুক্ত মেয়ের সন্ধান দিতে পারলো না। আবার ঘটকের কাছে গিয়ে অনেকগুলো টাকা খরচ করে বড্ড দুশ্চিন্তায় পড়ে গেলেন বাবা-মা। এখন উপায়? অফিসে কলিগদের সাথে মেয়ে খোঁজার আলোচনা উঠতেই ইমরানের এক কলিগ জানালো অনলাইন ম্যাট্রিমনিয়াল কোম্পানি তাসলিমা ম্যারেজ মিডিয়ার কথা। ৩ বছর হলো কলিগের বিয়ে হয়েছে তাসলিমা ম্যারেজ মিডিয়ায় খুঁজে পাওয়া পাত্রীর সাথেই। তাসলিমা ম্যারেজ মিডিয়ার ওয়েবসাইটে ফ্রি রেজিস্ট্রেশন করে ইমরান নিজের জন্য সহজেই একটা বায়োডাটা প্রোফাইল বানিয়ে ফেললেন। বেশ কয়েকদিন ধরে কিছু প্রোফাইল ঘাটাঘাটির পর তানিশা নামের প্রোফাইলটা দেখে ভালো লেগে গেলো। মা-বাবাও মেয়ের ছবি এবং বায়োডাটা দেখে পছন্দ করে ফেললেন। তাসলিমা ম্যারেজ মিডিয়ার ওয়েবসাইটেই তানিশার ফোন নম্বর পাওয়া গেলো। এরপরের গল্পটা সংক্ষিপ্ত। ইমরান এবং তানিশার ফোনে কথা বলা এবং দুজনের পরিবারের দেখা সাক্ষাৎ হলো, বিয়ের কথাটাও পাকাপাকি হয়ে গেলো কোনো ঝামেলা ছাড়াই। দুজনের পরিবারই খুশী। ইমরান এবং তানিশার জীবন পূর্ণতা পেলো বিয়ের মাধ্যমে। শুধু ইমরান আর তানিশাই নয়, এরকম হাজারো গল্পের সাক্ষী তাসলিমা ম্যারেজ মিডিয়া। ১০ বছরের বেশী সময় ধরে এভাবেই অনলাইনে পাত্র-পাত্রীর সন্ধান দিয়ে যাচ্ছে তাসলিমা ম্যারেজ মিডিয়া। ম্যাচমেকিং বা পাত্র-পাত্রীর খোঁজার কাজটা সহজ করতে ২০১১ সালে যাত্রা শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। এরপর নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে তাসলিমা ম্যারেজ মিডিয়া আজকে দেশের সবচেয়ে বেশি বিয়ে সম্পন্নকারী একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। তাসলিমা ম্যারেজ মিডিয়াতে এখন ২৫,০০০+ অরিজিনাল পাত্র-পাত্রীদের প্রোফাইল আছে। এর প্রতিষ্ঠাতা তাসলিমা আক্তার জানান, আমাদের ওয়েবসাইটে যারা বিয়ের ব্যাপারে সিরিয়াস শুধুমাত্র তাদের প্রোফাইলই অ্যাকটিভ করা হয়। রেজিস্ট্রেশনের সময় কাস্টমারকে জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্টের তথ্যগুলো দিতে হয়। তাসলিমা ম্যারেজ মিডিয়ার কর্মকর্তারা পাত্র-পাত্রী ও তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে সব তথ্য ভেরিফাই করে তারপরই প্রোফাইল ‘অ্যাকটিভ’ করেন। রেজিস্ট্রেশনের পর নিজের ছবি, বয়স, শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশাগত তথ্য, যোগাযোগের ঠিকানা, ফোন নম্বর, পছন্দ-অপছন্দ ইত্যাদি তথ্য দিয়ে প্রোফাইল কমপ্লিট করতে হয়। তাসলিমা ম্যারেজ মিডিয়ায় ব্যবহার করা হয়েছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং বিশেষ ম্যাচমেকিং অ্যালগরিদম। আপনি যে ধরনের পাত্র বা পাত্রী খুঁজছেন সেরকম যোগ্যতার সবগুলো পাত্র-পাত্রীর প্রোফাইল প্রতিদিন আপনার একাউন্টে লগিন করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে দেখতে পারবেন।
বিস্তারিত