1. press.sumon@gmail.com : banglamailnews : Zakir Khan
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৫:১২ পূর্বাহ্ন

# আমার_গল্পে_তুমি ### লেখনীতে – তামান্না আক্তার তানু # পর্ব – (০১)

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৩০ মার্চ, ২০২১
  • ৪১২৩ বার
(১)
ভার্সিটির বড়ো বট গাছের নিচে বসে ক্যাম্পাসের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে মেঘ। মনটা ভীষণ রকমের খারাপ। জীবনের সব সিদ্ধান্তে বাবা-মায়ের ইচ্ছেটাকে প্রায়োরিটি দিয়েছিল সে। কিন্তু কেন যেন এই একটা সিদ্ধান্তে কোনোভাবেই তাদের কথা মেনে নিতে ইচ্ছে করছে না। মনের ভেতরে কালবৈশাখী ঝড়ের পূর্বাভাস টের পাচ্ছে শুধু। সেই ঝড়টা ঠিক কেন সেটা এখন অবধি উপলব্ধি করার চেষ্টা করার সুযোগ হয়নি তার। মনে মনে শুধু একটা চিন্তাই মাথায় আনছে সে। এই মুহূর্তে সে শুধু পড়াশোনা নিয়ে ভাববে। অন্যকিছুর দিকে কোনোভাবেই মনোযোগ দিবে না। কিন্তু তার বাবা-মা এতটাই চিন্তিত মেয়েকে নিয়ে যে, খুব শীঘ্রই তাকে বিয়ে দিয়ে ঘরছাড়া করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অথচ মেঘ নিজেকে আরেকটু সময় দিতে চায়। আরেকটু ভাবতে চায় নিজেকে নিয়ে।
আধঘণ্টারও বেশি সময় নিয়ে এইসব অবান্তর চিন্তাভাবনা খেলে যাচ্ছে তার মাথায়, হঠাৎ মাথায় কারও হাতের ঠোকা পেয়ে কেঁপে উঠলো সে। তাকিয়ে দেখলো নীলিমা দাঁড়িয়ে আছে ওর সামনে। হাসিহাসি মুখে বলল,
“কী ভাবছিলি বলতো? সেই কখন থেকে তোকে বুঝার চেষ্টা করছি অথচ কোনোকিছু আন্দাজ করতে পারছি না। কিছু কী হয়েছে?”
একটা চাপা দীর্ঘশ্বাস ফেললো মেঘ। চোখের পানি আড়াল করে বলল,
“বাদ দে সেসব। হোস্টেলে যাই চল। আজ আর ক্লাস করতে মন চাইছে না।”
“কিন্তু এভাবে? আচ্ছা চল।”
নীলিমা জানে কোনো একটা ঘটনা এর পিছনে নিশ্চয়ই কোনো কারণ আছে নইলে এই মেয়ে এইভাবে ক্লাস ফাঁকি দিত না। এখন কিছু জিজ্ঞেস না করাই ভালো। রাতে ঘুমাবার সময় জানতে চাইবে। এইভেবে দু’জনে ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে হোস্টেলের পথ ধরলো।
আফিয়া বেগম নিজের স্বামীর সঙ্গে হেসে হেসে কথা বলছেন। মোবাইল হাতে নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ এ ঢুকে একটা ছবি স্ক্রিনে মেলে স্বামীর দিকে হাত বাড়িয়ে বললেন,
“যেমন শিক্ষা-দীক্ষা তেমনই আচার-আচরণ। আমার তো সবদিক থেকে পারফেক্ট মনে হচ্ছে। এখন যদি তোমার মেয়ের সম্মতি পাই তো আরেকটু এগিয়ে যেতে পারি।”
“এসব এখন না করলে হয় না। সামনে মেয়েটার পরীক্ষা। অন্তত আরও দু’বছর পর এসব ভাবলে চলতো। এত তাড়াহুড়ো করছো কেন তুমি?”
রেদোয়ান হাসান রাগত্ব স্বরে আফিয়া বেগমের দিকে তাকালেন। তিনি সেই কঠিন দৃষ্টি খুব একটা আমলে নিয়েছেন বলে মনে হলো না। কঠোর গলায় তিনিও বললেন,
“দেশের খবর রাখো কিছু? চারিদিকে এত এত দুর্ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। মেয়েটা বড়ো হয়েছে। চিন্তায় রাতে দু’চোখের পাতা এক করতে পারি না। আর তাছাড়া ওর যা স্বভাব। এমন বদরাগী মেয়েকে কীভাবে বিয়ে দিব সেই ভেবে অস্থির হয়ে যাচ্ছি আমি। আর তুমি এখন এসব বলছো। ভাবো তো একবার, বিয়ের বয়স পেরিয়ে গেলে লোকে কত কথা শোনাবে। একেই তো বাইশে পা দিয়েছে। আরও দু’বছর দেরী করলে লোকে নানান কথা রটাবে। মেয়ে মানুষের সমাজে এইভাবে চলাফেরাটা যে লোকজন খুব ভালো চোখে দেখে তা ভেবো না। তোমার ওই বদরাগী মেয়েকে যেভাবে হোক, এবার আমি বিয়ে দিবোই। আমিও তার জন্মদাত্রী মা।”
রাগে মাথা ফেটে যাচ্ছে তাঁর। হনহন করে রান্নাঘরের দিকে চলে গেলেন তিনি। ওনার মতে, সংসারের যত চিন্তা শুধুই ওনার মাঝে বাকিরা দিব্যি হেসেখেলে দিন পার করছে। মেয়েটার যে বিয়ের বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে সেদিকে কারও ভ্রুক্ষেপ নেই। ছেলেটাও হয়েছে তেমন। ভাই-বোন দু’টোই এক টাইপ। সারাদিন ল্যাপটপ নিয়ে গুটুর গুটুর করবে, আর বিয়ের কথা বললেই রেগে বম হয়ে যাবে। এত রাগ কোত্থেকে পায় এরা? ভেবে পান না তিনি।
(২)
পুরোপুরি তৈরি হয়ে দেয়াল ঘড়ির দিকে এক নজর তাকালো শ্রাবণ। সময় খুব দ্রুত এগোচ্ছে। তাড়াহুড়ো করে সিঁড়ি দিয়ে নামতেই পিছন থেকে মায়ের গলার আওয়াজ পেয়ে থেমে যায় শ্রাবণ। আবারও উপরে এসে মায়ের সামনাসামনি দাঁড়িয়ে বলল,
“বলো।”
“অসময়ে কোথায় যাচ্ছিস?”
“একটু বইমেলায় যাব। বন্ধুরা অপেক্ষা করছে। কিছু দরকার?”
“দরকারি কথা ছিল। তুই ফিরে এলে তখন নাহয় বলবো। কোথায় যাচ্ছিস যা। তাড়াতাড়ি ফিরিস আর সাবধানে ড্রাইভ করিস।”
“ঠিক আছে মা।”
আসরের পরপরই শ্রাবণ বইমেলায় পৌঁছে গেল। দ্রুত প্রকাশককে খোঁজে বের করে স্টলের দিকে এগিয়ে গেল। ততক্ষণে শ্রাবণের বন্ধুরাও চলে এসেছে। স্টলের কাছাকাছি যেতে পাঠকের উপচেপড়া ভিড়ে হারিয়ে গেল শ্রাবণ। এই অনাকাঙ্ক্ষিত ভালোবাসার মাঝে অন্যরকম এক সুখ এসে ঘিরে ধরলো তাকে। পাঠকের চাওয়া-পাওয়াকে কেন্দ্র করে বিক্রিত বইয়ে অটোগ্রাফ লিখতে ব্যস্ত হয়ে পড়লো শ্রাবণ।
হোস্টেলে ফিরে বেঘোরে ঘুমিয়ে পড়েছিল মেঘ। নীলিমা যে তাকে কিছু জিজ্ঞেস করবে সেই সুযোগটাও দেয়নি মেয়েটা। খুব গোপনে এড়িয়ে গেছে তাকে। কিন্তু এভাবে আর কত!
আসরের আযান কানে পৌঁছাতেই ধড়ফড়িয়ে বিছানায় বসে মেঘ। চোখ কচলে মোবাইলটা হাতে নেয়। ডাটা অন করে দ্রুত ফেইসবুকে ডু মারে একবার। লগ ইন হওয়া মাত্রই স্ক্রিনের পোস্টটা দেখে ঠোঁটের কোণে হাসির ঝিলিক ফুটে উঠলো তার। তড়িঘড়ি করে ফ্রেশ হয়ে নীলিমাকে তাড়া দিয়ে বেরিয়ে পড়লো বইমেলার উদ্দেশ্যে। নীলিমা তখনও ঠিক বুঝে উঠতে পারলো না মেঘকে। ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেছে বেচারি। তবুও শত চেষ্টায়ও নিজের কৌতূহল চেপে রাখতে পারলো না সে। মুখ খুলে বলল,
“কোথায় যাচ্ছি আমরা?”
“মেলায়।”
“কিন্তু তোর আজকে বাসায় যাওয়ার কথা ছিল ভুলে গেছিস?”
“আরে না ভুলিনি। আমি ওসব এখন পাত্তা দিতে চাচ্ছি না।”
“সকালে দেখলাম মন খারাপ, এখন আবার হাসছিস। তোর মতলবটা ঠিক ভালো টিকছে না। সত্যি করে বলতো, কী হয়েছে তোর?”
“কী আর হবে? কিছুই হয়নি। তুই ফুপ্পিকে ফোন লাগাতো।”
“এখন!”
“হ্যাঁ এখনই। যা বলার এখনই বলবো। দেরী করে লাভ কী? তাছাড়া আম্মু কেমন তুই-তো জানিস। এই মুহূর্তে তাকে শুধু ফুপ্পিই শায়েস্তা করতে পারবে।”
“পারিসও বটে তুই। নে কথা বল।”
মেঘের হাবভাব একদমই বুঝতে পারছে না নীলিমা। একদিকে বন্ধুত্ব অন্যদিকে বোন, দুই সম্পর্কের বেড়াজালে আটকা পড়েছে নীলিমা। সে শত চেষ্টায়ও মেঘকে বিয়ের জন্য রাজি করাতে পারেনি আর পারবেও না। অবশ্য এর পিছনে নীলিমার মায়ের হাত বেশি। তিনি নিজের ভাইঝিকে এত বেশি আদর করেন যে, তার চাওয়া-পাওয়াকে মূল্য দিতে নিজের মেয়েকেও বলির পাঠা বানাতে দু’বার ভাববেন না। এটা বেশ বুঝতে পারে নীলিমা। তবুও সে চুপ করে আছে। কারণ সে খুব ভালো করেই জানে, মেঘের ভেতরে কিছু একটা চলছে। সেটা সে খুব কাছে থেকেও ধরতে পারছে না। মেয়েটা হাসছে ঠিকই কিন্তু ভেতরে একরাশ অভিমান। এই অভিমানটা যে কার উপর সেটা এখনও জানে না নীল। মেঘের ইচ্ছের মূল্য দিতে গিয়ে তাকেও বাড়িঘর ছেড়ে হোস্টেলে পড়ে থাকতে হচ্ছে। সব ধরনের অরুচিকর খাবারও হজম করতে হচ্ছে, শুধুমাত্র মেঘ হোস্টেলে পড়তে চেয়েছিল বলে! নিজের অবস্থার কথা ভেবে আফসোস হয় তার। মা যদি এইভাবে তাকে একটু সাপোর্ট করতো, তাহলে সে এই পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী ব্যক্তিদের একজন হতে পারতো। কিন্তু মা তো!
(৩)
চেঁচামেচি করে মাথা গরম করে ফেলেছেন আফিয়া বেগম। চড়া গলায় বুলি আওড়াচ্ছেন। কখনও মেঘকে বকছেন, কখনও মেঘের বাবাকে, আবার কখনও আদনানকেও। বেচারা আদনান রুমে বসে ফ্রি-ল্যান্সিংয়ের কাজ করছিল কিন্তু তার সেই কাজেও বিপত্তি ঘটলো, মায়ের চড়া গলার আওয়াজ। আফিয়া বেগমের রাগী কণ্ঠস্বর শুনে ধীরপায়ে রুম থেকে বেরিয়ে ড্রয়িংরুমে আসলো। তিনি তখনও খিটখিটে মেজাজে ননদিনীকে বকছিলেন,
“বলি মেয়েটা তোর না-কি আমার? সে তোকে একটা কথা বলে দিল, আর অমনি তুইও ঘাড় বাঁকা করে বসে রইলি। কেন রে? তুই আর তোর ভাইঝি মিলে কি আমারে জ্বালিয়ে শেষ করে দিবি? এদিকে মেয়ের চিন্তায় চোখের ঘুমটা পর্যন্ত হারাম হয়ে গেছে, অথচ আমার ডিঙি মেয়ে নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত। মায়ের মনের যে এত যন্ত্রণা সেটা এই মেয়েকে কীভাবে বুঝাবো? তিনি ভাইঝিকে না বুঝিয়ে উল্টো আমাকে বলছেন, ‘পাত্রপক্ষকে আসতে বাড়ন করে দিও ভাবি। মেঘ এই মুহূর্তে বিয়ের জন্য প্রস্তুত না।’ শোনো ননদিনী, মেঘ আমারই মেয়ে। যতই বলেকয়ে ওর মাথা থেকে বিয়ের ভূত তাড়াও না কেন, ওকে আমি এইবার ঘরছাড়া করেই ছাড়বো। তবেই আমার শান্তি। এইভাবে পাত্রপক্ষকে না বললে, মুখ দেখাবো কীভাবে বলতো? আমার কথার একটা মূল্য আছে না? তাছাড়া আমি মিথ্যে কথা কেনই বা বলবো, ওই ফাজিল মেয়েটার জন্য?”
এক নিঃশ্বাসে অনেকগুলো কটু কথা বলে হাঁপিয়ে উঠেছেন আফিয়া বেগম। ধপাস করে সোফায় বসে উত্তরের অপেক্ষা করছেন তিনি। শাড়ির আঁচল দিয়ে কপালের ঘাম মুছে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে আদনানকে ইশারা করলেন, টেলিভিশন বন্ধ করার জন্য। আদনান টিভি বন্ধ করে মায়ের মেজাজ দেখছে আর মিটমিট করে হাসছে। তার চেহারা দেখে মনে হচ্ছে, দুই মহিলার এমন কার্যকপালে তার ভীষণ হাসি পাচ্ছে। বেচারি মেঘ, বাড়ি ছেড়ে হোস্টেলে গিয়ে ভালো সিদ্ধান্তই নিয়েছে, নয়তো লেখাপড়ার পাঠ কবেই মা চুকিয়ে দিতেন। আফিয়া বেগম লাউডস্পিকারে দিয়ে কথা বলছিলেন যার ফলে সব কথা আদনানও হজম করলো। ওপাশ থেকে ওয়াহিদা খানম কিঞ্চিৎ আবেগজড়ানো গলায় বললেন,
“কষ্ট পেও না ভাবি। মেয়ে তো পালিয়ে যাচ্ছে না। তাছাড়া, আসতে বাড়ন করলে লজ্জার কী আছে! পাত্র এসেও যদি মেঘকে না দেখে ফিরে যেত তখন নাহয় লজ্জার বিষয়টা আসতো। এখনও যেহেতু দেখাদেখি হয়নি তাই আর ওই উটকো ঝামেলাকে যেচে টেনে আনার তো কোনো কারণ দেখছি না। তুমি বরং এক কাজ করো, আরও দু’টো বছর সময় দাও মেয়েটাকে। ততদিনে সে নিজেকে বুঝবে, তোমাকেও বুঝবে, পড়াশোনাটাও এগিয়ে যাবে। আর তখন তার মধ্যে একটা ম্যাচিউরিটি কাজ করবে ফলে সে তোমার কথা সহজেই মেনে নিবে। উঠতি বয়সের তরুণ-তরূণীরা তো নিজেদের খেয়াল-খুশিমতো চলাফেরা করতে পছন্দ করে, সেক্ষেত্রে আমরা বাবা-মা যদি তাদের না বুঝিয়ে একগাদা দায়িত্ব তাদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেই, তাহলে তো হিতে বিপরীত হবে ভাবি। মেয়েটার যা জেদ! তুমিতো জানোই ওকে।”
“হইছে চুপ থাক। আইছে ভাইঝির গুণগান গাইতে। মেয়েটা তো আমার না, ও তো তোর মেয়ে। সেজন্যই আমার কষ্টের দাম দিস না তোরা।”
রাগে দুঃখে কট করে ফোন কেটে দিলেন আফিয়া বেগম। ওপাশে ওয়াহিদা খানম ফোন হাতে নিয়ে কাঁদছেন, এপাশে আদনান স্থির চোখে মায়ের দিকে তাকিয়ে আছে। দ্রুত মাকে জড়িয়ে ধরে রিলাক্স করতে বলল,
“আম্মু এসব কথা কেন বলছো তুমি? মেঘকে তুমি ছাড়া কেউ ভালো চিনে না, কেউ ভালো বুঝে না। অন্য সবার সঙ্গে যদি মেঘের রক্তের টান থাকে, তো তোমার সঙ্গে তার নাঁড়ির টান। এই টানকে শত চাইলেও অস্বীকার করা যায় না গো আম্মু।”
আফিয়া বেগম ছেলেকে জড়িয়ে তার কপালে স্নেহের চুমু আঁকলেন। শান্ত গলায় বললেন,
“এই বাড়িতে তুই-ই আমাকে সবার থেকে ভালো বুঝিস বাবা। কখনও আমাকে কষ্ট দিবি না তো?”
“কখনও না আম্মু, কোনোদিনও না। আমি সত্যি তোমাকে ভালোবাসি, আমার কাছে এই পৃথিবীতে সবচেয়ে দামী সম্পদ তুমি আম্মু। শুধুই তুমি।”
অগত্যা সে যাত্রায় পাত্রপক্ষের আসার পথ বন্ধ করে দিলেন আফিয়া বেগম নিজেই। মেয়ে যেভাবে সুখী হতে চায় হোক, তাতে তিনি কেন বাধা হয়ে দাঁড়াবেন। পড়াশোনা করতে চায় করুক, প্রেমের ফাঁদে পা না বাড়ালেই হলো!
চলবে…
(ভুল ত্রুটিগুলো ধরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ রইলো।)

নিউজটি শেয়ার করুন..

One response to “# আমার_গল্পে_তুমি ### লেখনীতে – তামান্না আক্তার তানু # পর্ব – (০১)”

  1. Tamanna Akhter says:

    অসংখ্য কৃতজ্ঞতা রইলো আপনার প্রতি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..