1. banglamailnews72@gmail.com : banglamailnews : Zakir Khan
সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৬:৪৮ অপরাহ্ন

অবেলায়_তুমি # পর্ব-১, পর্ব-২, পর্ব-৩, পর্ব-৪ এবং পর্ব-৫ # তিথি মজুমদার

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ১২৬৭ বার
পর্ব-১
কিছুক্ষণ আগে নিজের মামাতো ভাই এর সাথে বিয়ে হয়েছে রুদমিলার। মাএ কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে তার জীবনের এই হঠাৎ পরিবর্তন তাকে যেন বাকরুদ্ধ করে দিয়েছে।।।
কয়েকঘন্টা আগে,
রুদমিলা তার বাবা মায়ের সঙ্গে এসেছিল তার নানা বাড়ি। তার নানার হঠাৎ স্টোক হয়েছে, তাই পরিবারের সবাই মিলে ঢাকা থেকে এসেছে। মা বাবা, ভাই বোনদের পরে রুদমিলার সবচেয়ে প্রিয় মানুষটি হচ্ছে তার নানাভাই।সে তার নানা ভাইকে অনেক ভালোবাসে।তাই যখন তার নানাভাই তার কাছে নিজের শেষ ইচ্ছে প্রকাশ করে তখন রুদমিলা আগপিছ কিছু না ভেবেই হ্যাঁ বলে দেয়।যার দরুন তাকে সেই মুহুর্তেই বিয়ে করতে হয় নিজের আপন মামাতো ভাই কে।যাকে সে ছোট বেলা থেকেই ভাই ছাড়া অন্য কিছু ভাবেনি।আর এখন কিছু সময়ের ব্যবধানেই তার বউ হয়ে গেল সে।
ইস বউ কথাটা ভাবতেই রুদমিলার শরীরে একটা আলাদা শিহরণ এর সৃষ্টি হলো।সে ভাবছে আচ্ছা ভাইয়া কি আমাকে তার স্ত্রীর সম্মান দিবে নাকি সে একান্তই নানাভাই এর অনুরোধে আমাকে বিয়ে করেছে, আচ্ছা উনার কি অন্য কারো সাথে কোনো সম্পর্ক ছিলো? এইরকম নানা ভাবনায় যখন রুদমিলা বিভর সেই সময় ঘরে প্রবেশ করল রক্তিম।সে ঘরে ঢুকেই দরজাটা খট করে লাগিয়ে কাভার্ড থেকে জামা কাপড় নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেল।
দরজা লাগানোর শব্দে হুশ ফিরলো রুদমিলার।
রক্তিম ওয়াশরুম থেকে এসে রুদমিলার পাশে বসল।তাকে বলল,
“দেখ মিলা তোকে আমি ছোট বোন এর মতই জানতাম সবসময়।তোর প্রতি আমার সেই রকম কোনো ফিলিংস কোনো দিনই ছিলনা। শুধুমাত্র দাদভাই এর অনুরোধেই আমি তোকে বিয়ে করেছি।স্বামী -স্ত্রীর মতন সহজ সরল দাম্পত্য এখনই আমি তোর সাথে শুরু করতে পারবো না।আমার সময় লাগবে।আই থিংক তুই আমাকে বুজবি।”
একদমে সবগুলে কথা বলে রক্তিম রুদমিলার,দিকে তাকালো, দেখলো রুদমিলার মধ্যে কোনো রকম ভাবান্তর নেই। সে আাগের মতই নিরর্বিকার বসে আছে।কিছুক্ষণ পর রুদমিলা নিজ থেকেই বলল,
“আমি অপেক্ষা করবো সেই দিনের।এখন অনেক রাত হয়েছে আপনি ঘুমান।”
বলে সে পাশের বালিশে শুতে নিলে রক্তিম বাধা দিয়ে বলল,
,”আমি পুরুষ নিজের উপর নিজে হয়তো কন্ট্রোল রাখতে পারবো না এক খাটে থাকলে! তাই আলাদা শোয়া টাই ভালো”
রুদমিলা কিছুই বললনা প্রতিউওরে। আস্তে করে খাট থেকে একটা বালিশ নিয়ে নিচে শুয়ে পড়লো।অন্যদিকে রক্তিম বারান্দায় গিয়ে সিগারেটের ধোয়ায় নিজের বুক পোড়াচ্ছে। সে যে তার ভালোবাসা কে ভালোবেসেই পেতে ছেয়েছিলো কোন শর্ত সাপেক্ষে নয়।কিন্তুু মানুষ যা চায় তা যে সব সময় হয় না তা আজ হারে হারে টের পাচ্ছে রক্তিম।হ্যাঁ সে যখন প্রেম ভালোবাসা বুঝতে শিখেছে তখন থেকেই সে তার মিলাকেই শুধু ভালোবাসে গেছে। কখনোই সে ভালোবাসার কথা মিলাকে জানানো হয়নি রক্তিম এর। আর যখন জানাবে ঠিক করেছিলো তখন সবকিছুই এলোমেলো হয়ে গেলো।আজ থেকে পাঁচ বছর আগে রক্তিম তার মিলাকে ভালোবাসার কথা জানানোর আগেই তার ফুফু রোড এক্সিডেন্ট এ মারা যায়।এর পর থেকেই সব কিছু শেষ হয়ে যায় রক্তিম আর রুদমিলার। রক্তিম হাজার চেস্টা করেও নিজের ভালোবাসা র কথা জানাতে পারে নি মিলাকে,আর মিলাও জানতে পারে নি যে তাকে কেউ এমন পাগল এর মতন ভালোবাসে।
রক্তিম ভাবছে আজ এতো কাছে পেয়েও সে,তার ভালোবাসার কাছে যেতে পারছেনা শুধুমাএ তার নিজের করা ভুল এর জন্য। যদি সেদিন সে ওই কাজটা না করতো তাহলে হয়তো আজকের রাতটা অন্য রকম হতো।
চলবে……………………………
পর্ব-২
পরেরদিন সকালে রুদমিলা নিজেকে খাটে আবিষ্কার করলো। “সে ভাবছে সে তো নিচে শুয়ে ছিলো, তাহলে খাটে কি করে এলো সে”।
পাশ থেকে রক্তিম রুদমিলার উদ্দেশ্য বলল,
” এত ভাববার,কিছু নেই, রাতে জ্বর আসছিলো তোর তাই পাঁজাকোলা করে তোকে খাটে শুইয়ে দিছি।
কিরে মিলা তোর কি এইটুকু খেয়াল নেই নিজের প্রতি, তোর মনে ছিলো না যে ঠান্ডায় তোর জ্বর আসে। আমি না হয় ভুলে গেলাম কিন্তুু তুইও কি ভুলে গেলি নাকি।এখনও তুই আগের মতন বেয়াক্কলই রয়ে গেলি”
রক্তিম যখন এইসব কথা বলছিলো তখন তার সাদা ফর্সা মুখটা একেবারে লাল হয়ে গেছিলো বোঝা যাচ্ছে সে খুবই রাগান্বিত। মুগ্ধ হয়ে রক্তিম কে দেখতে লাগলো রুদমিলা। এর আগে অনেকবারই সে তার,বুনো ভাই কে কাছ থকে দেখেছে(রক্তিমকে রুদমিলা বুনো ভাই বলে ডাকে)কিন্তুু এতো খেয়াল করে কখনো মানুষটিকে সে এর আগে দেখেনি।দেখলে হয়তো অন্য সব কাজিনদের মতন সেও তার এই বুনো ভাইর প্রেমে পড়তো।এমন শিক্ষিত,নম্র,ভদ্র, মার্জিত, সুদর্শন ছেলেকে,কে না চায়।আর সে কিনা না চাইতেও আজ তার বউ হয়ে গেলো।ভাবতেই কেমন অবাক লাগছে রুদমিলার। তার মতন অভাগিনীরও এমন ভাগ্য।
রক্তিম অনেক্ক্ষণ ধরে দেখছে রুদমিলা অপলক,দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে আছে।আর সে দেখছে তার চঞ্চলাবতীকে।এই সেই চঞ্চলাবতি যার প্রেমে অনেক আগেই কাপুকাত হয়েছিলো সে।কিন্তুু হঠাৎ করে ফুফু মারা যাওয়ায় তার,সেই,আগের চঞ্চলাবতি হয়ে,গেছে একেবারে নিষ্প্রাণ নির্জীব।দর্শী মেয়েটি হয়ে গেলো,একেবারে শান্তশিষ্ট, ঘরকুনো স্বভাবের। তাইতো যখন নিজের ভালোবাসার কথা সে বলতে পারছিলো না সে তখন নিজেকে গড়ে তোলার,কাজে নেমে গেলো ।কারন তার ভালোবাসা কে পেতে হলে তাকে আগে নিজের পায়ের তলার মাটিটাকে শক্ত করতে হবে তবেই সে পাবে তার চঞ্চলাবতি কে।কিন্তু হঠাৎ যখন শুনলো তার চঞ্চলাবতির অন্য কোথাও বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে তখনই তার মাথা পুরো খারাপ,হওয়ার যোগার হয়েছিল।তাইতো উপায়ান্তর না পেয়ে দাদভাই এর কাছে সাহায্যে জন্য যায়।ব্যস বাকি সব কিছু দাদাভাই এর কারসাজি।স্টোক হওয়া সবাইকে ডাকা আর তারপর ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করে এই বিয়ে পর্যন্ত সবই দাদাভাই এর প্ল্যন ছিলো
“না আর বেশিক্ষণ এইভাবে তাকিয়ে থাকলে নিশ্চিত নিজেকে আর কন্ট্রোল করতে পারবো না”
মনে মনে ভাবলো রক্তিম। তারপর রুদমিলা কে হালকা করে ঝাঁকি দিলো। ঝাঁকি খেয়ে রুদমিলার হুশ এলো।
রক্তিম রসিকতার শুরে বলল,
“কিরে কি দেখিস এমন করে,আমি জানি আমি অনেক সুন্দর তাই বলে তুই এইভাবে আমাকে তোর ওই রসগোল্লার মতন চোখ দিয়ে ধর্ষণ করিস না প্লিজ।” বলে একাটা চোখ মারলো
“হুম আসছে আামার সুন্দর মানুষ” বলে সে একটা ভ্যাঙছি কাটলো।
“আচ্ছা হইছে এখন মহারানীর যদি মর্জি হয় তাহলে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসেন। নতুন বউ এতো বেলা করে ঘুমানো ঠিক না।যতই এটা তোর নানাবাড়ি হোক না কেনো এখন এটা তোর শ্বশুর বাড়ি ও বুঝলি।”
রুদমিলা চট করে উঠে একটা থ্রিপিছ নিয়ে ওয়াশরুমের দিকে যেতে নিলে রক্তিম বাধা দিয়ে বলল,
“বললাম না এইটা এখন তোর শ্বশুর বাড়ি। আর শ্বশুর বাড়িতে নতুন বউ বিয়ের পরেরদিন শাড়ি পরে এইটাও জানিস না বুদ্ধু কোথাকার।”
রক্তিম এর কথায় রুদমিলা একটা বিষেশ হাসি দিয়ে বলল,
“তুমি আছ তো শিখিয়ে দেয়ার জন্য”
বলেই রক্তিমকে কথা বলার সুযোগ না দিয়ে দৌড়ে ওয়াশরুমে চলে গেলো।
আর এইদিকে রক্তিমের তো যায় যায় অবস্থা। তার চন্চলাবতি এই প্রথম তাকে তুমি বলে ডেকেছে এই খুশিতে বেচারার মুখ হা হয়ে গেছে যেখানে অনায়াসে মশারা নিজেদের ঘরবাড়ী ভেবে সেখানে ঢুকে যেতে পারে,,,,,
চলবে।।
পর্ব-৩
ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে রুদমিলা সোজা নিজের নানাভাই এর কাছে চলে গেলো।তখন বুনো ভাইকে বিব্রত করতে তুমি করে সম্মোধন করে এখন নিজেই লজ্জা পাচ্ছে। তাই এখন যাতে বুনো ভাইর সামনে না পড়তে হয় তাই নানাভাই এর কাছে যাওয়া।
নানাভাইর ঘরে গিয়ে দেখলো যে সে ঘরে নেই, তাহলে হয়তো হাঁটতে বের হয়েছে। কিন্তুু এখন সে কি করবে ভাবছে।হঠাৎ মনে পড়লো যে সে তো নতুন বউ তাহলে এখন তার রান্না ঘরের দিকে যাওয়া দরকার।
রান্নাঘরে গিয়ে রুদমিলা দেখলো তার বড় মামী অর্থাৎ তার শ্বাশুড়ি নাস্তা তৈরিতে ব্যস্ত।সে গিয়ে তাকে বলল,
“মামী আমি কি কোনো সাহায্য করবো।আসলে ঘুম থেকে উঠতে একটু দেরি হয়ে গেছে।
রুদমিলার গলার স্বর শুনে শানু বেগম তার দিকে তাকালো। তাকিয়ে তো তার চোখ আটকে গেছে রুদমিলায়।
কচি কলাপাতা রঙের সুতি জামদানীতে মেয়েটিকে কী অপরুপ লাগছে। ছয় ননদদের মেয়েদের মধ্যে এই মেয়েটিকে তার সবসময়ই একটু বেশি ভালো লাগতো।যেমন সুন্দর তেমন কাজে কর্মে পটু। এমন একটা মেয়েকেই তো সে তার বড় ছেলের বউ হিসেবে চাইতো।আল্লাহ অন্তর্যামী তাইতো তিনি রুদমিলার মতন এতো ভালো একটা মেয়েকে তার ঘরে পাঠিয়েছেন।
তিনি রুদমিলাকে বললেন,
” আজ থেকে তুই আমাকে মা বলে ডাকবি,মামী বলে না।আর তুই এখন রান্নাঘরে এলি কেনো কালকে,সারাদিন কত ধকল গেলো যা ঘরে গিয়ে বিশ্রাম নে।নাস্তা তৈরি হলে রুপা তোকে ডেকে আসবে”
“না মামী স্যরি মা আমি থাকিনা তোমার সাথে ঘরে একাএকা শুয়ে বসে থাকতে ভালো লাগে না।”
“মিলা বড়রা কিছু বললে শুনতে হয়।যা ঘরে গিয়ে বিশ্রাম নে।আর এই সংসার তো তোরই। আস্তে আস্তে সব তোকেই করতে হবে।আর আমি তখন পায়ের উপর পা তুলে আরাম করবো”
অনেক জোরাজুরি করেও রুদমিলা অবশেষে হার মানলো শাশুড়ীর কাছে।নানা বাড়িতে নানাভাই এর পরে এ মানুষটাই,তাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে।ওনার মতন মানুষ যে তার শাশুড়ী তা ভাবতেই আলাদা একটা ভালোলাগা অনুভব হচ্ছে।
এইসব ভাবতে ভাবতেই হঠাৎ কারো সাথে ধাক্কা খেয়ে হুশ ফিরলো তাঁর। মুখ তুলে দেখলো বুনোভাই সামনে দাঁড়ানো।সকালের ঘটনা মনে হতেই লজ্জায় চোখ নামিয়ে চুপ করে দাড়িয়ে রইলো।
অন্যদিকে রক্তিম তো আজ বারংবার ভিমড়ি খাবে এমন অবস্থা। তার চঞ্চলাবতীকে আজ যে এক অন্য রকম মোহনীয় সুন্দর লাগছে।তার অনেক ইচ্ছে ছিল ওকে এই রুপে দেখার কিন্তু্ু রুদমিলা কখনোই কোনো ওকেশন বা ঘরোয়া কেনো পোগ্রামে শাড়ি পড়তো না।তাই চিরকালই রক্তিমের এই ইচ্ছে টা অপূর্ণ ছিল।
“না আর বেশিদিন নিজেকে তোর থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারবনা।আমাকে সব কিছু তাড়তাড়ি ঠিক করে তোকে আপন করে নিতে হবে। “মনে মনে ভাবলো রক্তিম।
রক্তিম এর কোনো ভাবান্তর না দেখে রুদমিলা দৌড়ে পালাতে নিলে রক্তিম তার শাড়ির আঁচল ধরে টেনে তাকে নিজের দিকে ঘুড়িয়ে নিজের হাতের বাঁধনে বেঁধে নিয়ে বলল,
“” হে নারী কেন বারংবার এ হৃদয়ে তুমি প্রেমের আগুন জ্বালাও,
কেনো এই তৃষ্ণার্তকে আরো পিপাসিত করো,
কেনো নিজের ওই আগুন ধরানো রুপ দিয়ে আমায় তুমি জ্বালও।
উওর দাও হে নারী?””
রক্তিম এর এই আচরণে প্রথমে অনেকটা ভ্যাবাচ্যাকা খেলেও পরে নিজেকে সামলে নেয় রুদমিলা। কিন্তুু তার বুনো ভাইর এমন কবিতা আবৃতিতে সে মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে আছে তার দিকে।
সে ভাবছে এই কবিতাটিকি বুনোভাই সত্বিই তার জন্য আবৃতি করলো।এতোটাও সে আশা করে নি।হয়তো জীবনে সে তেমন কিছু আশা করেনি বলেই আজ তার জীবনে সে এতো কিছু পেয়েছে। শুধু ভয় একটাই এতো সুখ তার কপালে সইবে তো।সে তো জানে ‘অভাগী যেদিকে যায় সেদিকেই বিল শুকায়’।হঠাৎ কানে কারও স্পর্শে সম্বিৎ ফিরে আসে তার।
রক্তিম তার কানের কাছে মুখ নিয়ে তাকে বলছে,
“শাড়িতে তোকে এতো দারুণ লাগে জানতাম না তো। জানলে তো অনেক আগেই তোকে আমার রাজ্যের রাণী করে আনতাম।আজ থেকে আর অন্য কোনো পোশাক পড়লে চলবেনা এখন থেকে প্রতিদিন শাড়িতে দেখতে চাই তোকে।”
বলে কানের লতিতে হালকা করে একরা চুমু একে রুদমিলাকে ছেড়ে দিয়ে চলে যায় সে।
আর অন্যদিকে রুদমিলার শরীর ও মনে এ এক অন্যরকম অনুভূতির সৃষ্টি হয়।পুরো শরীরে রক্তিম এর এই একটু ছোঁয়াতেও তার সমস্ত লোমকুশ দাড়িয়ে গেছে। সে ভাবছে এগুলো কি সত্যি সত্যিই তার সাথে ঘটছে নাকি এসব স্বপ্ন। ঘুম ভাঙলেই হয়তো সব শেষ হয়ে যাবে।সে নিজেই নিজের হাতে চিমটি কাটলো।
“ওফ” না সে ব্যাথা পেয়েছে তার মানে এইসব সত্যি সত্যিই তার সাথে ঘটছে।
সকালের নাশতার পর রুদমিলাকে সাজাতে বসলো তার সব কাজিন মানে ননদেরা। গ্রামে কিছু মুরব্বিরা রুদমিলাকে দেখতে আসবে তাই। নানারকম খুনশুটির মাঝে চলছে তাদের সাজগোজ।কিন্তুু হঠাৎ একজনের উপস্থিতিতে সবাই চুপ হয়ে গেলো।কারন এই একটি মানুষকে পুরো চৌধুরী বাড়ীর সবাই ভয় পায়।আর সে একমাত্র নেওয়াজ চৌধুরী(রুদমিলার নানা) কে ভয় পায়।তার উপস্থিতিতে কিছুক্ষণ আগের হৈ হুল্লোড় কৃত ঘর এখন পিনপতন নিরবতায় আবদ্ধ।
চলবে….
পর্ব-৪
কেউ একজনের উপস্থিতিতে যখন সবার মাঝে পিনপতন নিরবতা তখনই রুদমিলার ঠোঁটের কোণে এক চিলতে হাসি ফুটে উঠলো।আর অস্পষ্ট স্বরে বলল,
“ছোট মামু”
ছোট মামু ওরফে মাহবুব চৌধুরী। চৌধুরী পরিবারের ছোট ছেলে।পেশায় একজন হার্ট সার্জন।মেজাজ সর্বদাই কোনো না কোনো বিষয়ে সর্বদা খারাপই থাকে।কিন্তুু এই মানুষটি এই পিচ্ছি মেয়ের কাছেই কাবু।গতকাল রাতে রক্তিম, রুদমিলার বিয়ের খবর পেয়ে নিজের সব কাজ ফেলে ছুটে এসেছেন তার টুকির কাছে(ছোট মামু আদর করে রুদমিলা কে টুকি বলে ডাকেন)
রুদমিলার মামু ডাকে তিনি আহ্লাদ মাখানো কন্ঠে অভিমান জড়ানো গলায় বললেন,
“আমি এসে গেছিরে টুকি” “তুইতো আমাকে ছেড়েই বিয়ে করে নিলি, এইটা কিন্তুু ঘোর অন্যায়”
বলে মুখটা ঘোমড়া করে খাটের কোণায় বসে পড়লেন।
রুদমিলা মামুর সামনে গিয়ে অনুতাপের সাথে বললো,
” স্যরি মামু আসলে সব কিছু এতো তাড়াতাড়ি হয়ে গেলো তাই তোমাকে আর কিছুই জানাতে পারলাম না”
“এখন যাই বলিস না কেনো বিয়ে করে তুই আমাকে পর করে দিয়েছিস তাই তোর জীবনের এতো গুরুত্বপূর্ণ একটা খবর আমাকে দিস নি”
রুদমিলা এইবার কান্না জড়িত কন্ঠে বললো,
“মামু বিশ্বাস করো নানাভাইর ওইরকম শরীর খারাপ দেখে তাকে কথা দিয়ে দিয়েছিলাম। আর তারপর সব কিছুই খুব তাড়াতাড়ি ঘটে গেল।তা না হলে আমি কি তোমাকে না জানিয়ে কোনো দিন কোন কাজ করেছি বলো?”
মাহবুব চৌধুরী দেখলেন যে সত্যি সত্যিই রুদমিলার চোখের কোণের জল তার গাল গড়িয়ে পড়ছে।
তিনি তৎক্ষনাৎ তার টুকিকে বুকে জড়িয়ে নিয়ে বললেন,
“আমি জানি আমার টুকি আমাকে না জানিয়ে কোনোদিন কোন কাজ করতে পারেনা।পাগল মেয়ে আমি তো তোর সাথে একটু মজা করছিলাম।বুড়ো হয়ে গেছি বলে কি একটু মজাও করতে পারবো না নিজের ভাগনীর সাথে হুম”
রুদমিলা মুখে হাসি ফুটিয়ে বললো,
“সত্যিই মামু বলো তুমি রাগ করো নি”
“না রে পাগলি রাগ করিনি আমি।তিন সত্যি। “
এইবার চোখের পানি মুছে দেখ তোর জন্য আমি কি এনেছি,
রুদমিলা দেখলো একটা বিশাল সাইজের বাক্স। প্রশ্নার্তক দৃষ্টিতে মামুর দিকে তাকালে তিনি বলেন,
“শেষ যে বার দেখা হয়েছিল তোর সাথে তখন তোকে বলেছিলাম যে তোর কি লাগবে, তখন তুই বলেছিলি হুমায়ুন সমগ্র চাই তোর। তাই ওগুলোই এনেছি এখন।”
রুদমিলার চোখ মুখে একটা প্রশান্তির হাসি ছেয়ে গেলো মূহুর্তের মাঝে।
মা মারা যাওয়ায় পর থেকেই রুদমিলা নিজের একাকিত্ব দূর করতে অবসর সময় বিভিন্ন বই পড়ে কাটাতো।অনেক ধরনের বইয়ের কালেকশন আছে তার কাছে।শুধু হুমায়ুন আহমেদ এর সমগ্র কালেকশন ছিলো না।।তাই শেষ বার বেড়াতে এসে মামুকে বলেছিলো তার হুমায়ুন সমগ্র চাই। আর আজকে মামু তার চাওয়াটা পূর্ণ করলো।খুশিতে সে কথা বলার ভাষাই হারিয়ে ফেলেছে সে।
————————–
সন্ধার দিকে গ্রামের অনেক মুরব্বিরা, এবং আশে পাশের ভাইয়ের বউরা এসে রুদমিলা ও রক্তিম কে দোয়া করে গেছে। সবাই চলে যাওয়ার পর শানু বেগম তাকে বিশ্রাম নিতে ঘরে যেতে বলে।তাই সে ঘরের দিকে যাচ্ছে আর মনে মনে ভাবছে,
“আজ দুপুরের পর থেকে একবারও বুনো ভাইকে দেখি নি,উনি কি বাড়িতে নেই,আচ্ছা নতুন বউ কে রেখে কেউ কি সারাদিন বাইরে টইটই করে ঘুরে বেড়ায়,কি জানি হয়তো আমি বুনো ভাইর কাছে পুরোনো তাই এমন ব্যবহার। “
এসব ভাবতে ভাবতে সে ঘরে এসে পৌঁছালো। ঘরে এসে তার চোখ পড়লো ড্রেসিং টেবিলের আয়নায় একটা কাগজে।সে কাগজটা হাতে নিয়ে দেখলো তাতে লেখা,
” তোকে শাড়িতে অসম্ভব সুন্দর লাগে।কিন্তুু শাড়ির সাথে এই জিনিস টা মিসিং ছিলো সকালে।ওইটা খুঁজতেই আজ সারাদিন কেটে গেলে।
তোর প্রিয় শিউলি ফুল।ফুল গুলো দিয়ে মালা গেঁথে খোঁপায় পরলে বেশ লাগবে কিন্তুু।”
ইতি
৷ তোর বুনো স্বামী
এমন একটা চিরকুট পেয়ে সারাদিন এর সব ক্লান্তি নিমিষেই দূর হয়ে গেলো রুদমিলার। আর সব শেষে বুনো ভাই থেকে বুনো স্বামী সম্মোধন টা সবচেয়ে ভালো লেগেছে তার।চিরকুটের পাশে ফুলের ঝুড়িতে রাখা শিউলি ফুল গুলোতে হাত বুলিয়ে রুদমিলা ভাবছে তবে এটাকেই কি প্রেম বলে,এই অনুভূতি গুলোর নামই কি ভালোবাসা।
তার সমবয়সী মেয়েরা যখন প্রেম করা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করতো তখন সে তার ছোট ভাই বোনদের মুখে হাসি ফোটাতে ব্যস্ত থাকতো।তাই সে ভাবে কখনো কারও প্রতি তার তেমন ভালো লাগা ছিলো না।এমন কি যার সাথে বিয়ে ঠিক হয়েছিল তার সাথেও সে তেমন একটা সহজ ভাবে কথা বলতে পারতো না।তাই সে তার মনের সকল অনুভূতি গুলো শুধুমাত্র তার স্বামীর জন্যই যত্ম করে নিজের মনের গহিনে তুলে রেখেছিলো।আজ তার মনে হচ্ছে একটু একটু করে সে তার বুনো ভাই থুরি বুনো স্বামী টির প্রেমে পড়ে গেছে।ভেবেই তার ঠোঁটের কোণে একটা হাসির ঝলক বয়ে গেলো নিমিষেই।।।
চলবে……
গল্পটি কেমন হচ্ছে জানাবেন।এবং গল্পটি কি আরও একটু দীর্ঘ করবো নাকি সংক্ষিপ্ত করেই লিখবো। আপনাদের মূল্যবান বক্তব্য গুলো কমেন্টে জানাবেন প্লিজ।
ধন্যবাদ।
পর্ব-৫
আজকে মনের মাধুরি মিশিয়ে রুদমিলা সাজছে তার বুনো স্বামীর জন্য।
“বুনো স্বামী “বলতেই ঠোঁটের কোণে হাসির ঝলক ফুটে উঠলো তার।
হুমায়ুন আহমেদ এর একটি গল্প পড়ার পর থেকেই রুদমিলা রক্তিমকে বুনো ভাই বলে ডাকা শুরু করেছিলো।অবশ্য প্রথম দিকে রক্তিম এ নিয়ে রাগারাগি করলেও পরে আর কিছু বলেনি।আর আজকে সে নিজ থেকেই রুদমিলার বুনো ভাই থেকে বুনো স্বামী সম্মোধন টা করলো।বিয়ের পরে রুদমিলার ও মনে হয়েছিল যে সে তার বুনো ভাই কে কি বলে ডাকবে।যাক তার সে সমস্যা টা তার বুনো স্বামী মিটিয়ে দিলো।
রাতের খাবার খেয়েই রুদমিলা আজ অনেক দিন পর নিজের মনের খুশিতেই সাজছে।কোনো কিছুতেই আজ সে কোনো খামতি রাখতে চায় না।শিউলি ফুলের সাথে মিলিয়ে শ্বাশুড়ির কাছ থেকে একটা সুতি কাতানের মধ্যে অফ-হোয়াইট রঙের কাপড় এনে পড়েছে সে।চুল গুলো হাত খোঁপা করে তাতে পড়েছে শিউলি ফুলের মালা,হাত ভর্তি কাচের চুড়ি,।চোখে মোটা করে দিয়েছে কাজল,ঠোঁটে হালকা রঙের লিপস্টিক ব্যস এতটুকুই সেজেছে সে।নিজেকে ভালো করে আয়নায় দেখছে সে।হঠাৎ তার চোখ পড়লো আয়নার রক্তিম দরজায় হেলান দিয়ে অপলক দৃষ্টিতে দেখছে তাকে।লজ্জায় আয়না থেকে চোখ সরিয়ে ফেলে সে।
কিছুক্ষণ নিরবতার পর দরজা “খট” করে লাগানোর শব্দে তার সমস্ত শরীর কেঁপে ওঠে এক অজানা অনুভূতিতে।
কারো স্পর্শে সম্বিত ফিরে তার।
রক্তিম রুদমিলাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে আয়নায় তার লজ্জা মাখা মুখ টি দেখে কানে কাছে মুখ নিয়ে বলে,
“আমার লাজুকলতা “।
লজ্জায় তো পুরো লালা হয়ে গেলো।তাহলে তোমাকে আদর করলে কি
হবে?
লজ্জায় রুদমিলা নিজেকে রক্তিম এর কাছ থেকে ছাড়িয়ে কিছুটা দূরে সরে গেলো।
রক্তিম হালকা হেসে তার কাছে আবার গেলো, গিয়ে আবদারের সুরে তাকে বলছে,
“আজকেও কি ফিরিয়ে দিবে আমায়”
রুদমিলা লজ্জায় মুখ নামিয়ে রেখেছে। তা দেখে রক্তিম বলল,
“নিরবতা সম্মতির লক্ষ্মণ ” কিন্তুু এ ক্ষেএে আমি তোমার এই নিরবতা কে কি হিসেবে নিবো “সম্মতি” নাকি “অসম্মতি “?
এইভাবে চুপ করে দাড়িয়ে থাকলে বুঝবো কি করে মিলা?
তাহলে কি আজও তুমি প্রস্তুুত নও।আমি তোমাকে জোড় করবো না তাহলে।
বলে রুদমিলার কপালে একটা চুমু একে সে সরে যাচ্ছিলো,তখনই রুদমিলা তার শার্ট খামছে বুকে হুমড়ি খেয়ে পড়ে বলে,
“মেয়ে আমি, সব সময় কি সব কথা মুখেই বলতে হবে”
“না আজ থেকে তোমার সব কথা বুঝে নেওয়ার দায়িত্ব আমার”
বলেই রক্তিম রুদমিলাকে কোলে তুলে নিলো।দুজনেই হারিয়ে গেলো ভালোবাসার সুখ সাগরে।এ যেনও এক সুখের রাজ্যে ভ্রমণে গিয়েছে দুজন।সকল সুখ আজ নিজেদের করে নিবে বলে।
হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেলো রুদমিলার। চোখ মেলে সে দেখলো সে খাটের এক কোনায় বসে আছে। রাতে রক্তিম এর কথা ভাবতে ভাবতে যে কখন সে ঘুমিয়ে গিয়েছিল বুঝতেই পারেনি।দেয়াল ঘড়িতে দেখলো এখন ভোর চারটা বাজে।তারমানে সে এতোক্ষণ যা দেখেছিলো সবই তার স্বপ্ন ছিলো।
কিন্তুু রক্তিম কোথায় গেলো। সে কি তবে কাল রাতে আর ঘরে ফিরেনি।তার কি কোনো বিপদ ঘটেছে, তার কিছু হয়নি তো,ইত্যাদি নানারকম চিন্তা ভাবনায় মূহুর্তেই তার মন বিষাদে ভরে উঠলো।।
ফজরের আজানে তার সম্বিত ফিরলো।নিজের ক্লান্ত পরিশ্রান্ত দেহটিকে নিয়ে ওয়াশরুমের দিকে গেলো।আয়নায় নিজের লেপ্টানো কাজলের দিকে তাকিয়ে নিজের স্বপ্ন ভঙ্গ দেখলো।
আজ আরও একটি স্বপ্ন ভাঙলো তার।কিন্তুু রক্তিম এর প্রতি কোনো রাগ বা অভিমান কোনো টাই তার নেই যা আছে তা হলো দুশ্চিন্তা। মানুষ টা ঠিক আছে তো,কোনো বিপদ হয়নি তো,এমন নানা চিন্তায় গোসল সেরে নামাজ আদায়ে দাঁড়ায় সে।মোনাজাতেও রক্তিম এর জন্য দোয়া করলো অনেক।যাতে সে যেখানেই থাকুক না কেনো যেনো ভালো থাকে এই কামনায়।।
হায়রে বাঙালি নারী,হয়তো একেই বলে।যারা কিনা হাজার দুঃখ কষ্টের পরেও নিজের ভালোবাসার ক্ষতি কামনা করে না।
——————————-
তুলনামূলক আজ অনেকটা সকালে ঘুম থেকে উঠে যাওয়ার কারনো রুদমিলা বাড়ির বাহিরে হাঁটতে বের হলো।
সকালের এই স্নিগ্ধ বাতাস,আর শরতের এই পরিষ্কার আকাশ মূহুর্তে তার মন ভালো করে দিলো।কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটির পর বাড়িতে ফিরে নিজ হাতেই আজ সবার জন্য সকালের নাশতা তৈরি করলো সে।পরোটা,আলু ভাজি,ডিম ভাজি,আর পায়েশ রান্না করলো সে।
শানু বেগম নিজের বউমার এই তড়িৎকর্মোতায় মুগ্ধ হলেন।
মনে মনে বললেন,
“বাবা কোনো ভুল করেন নি রুদমিলাকে তার ছেলে জন্য এনে, তিনি নিজে খুঁজলেও এমন মেয়ে পেতেন না।”
রুদমিলা শ্বাশুড়িকে নাস্তা দেয়ার সময় অনেক আমতা আমতা করে শেষ পর্যন্ত নিজের লাজ-লজ্জা বির্সজন দিয়ে জিজ্ঞেস করেই ফেললো,
“মা তোমার ছেলে কাল ঘরে ফিরেনি”
“নারে ওর কোন বন্ধুর নাকি কি এক্সিডেন্ট হয়েছে তাই ওকে নিয়ে হসপিটালে দৌড়াদৌড়ি করতে হয়েছে।তোকে নাকি অনেকবার ফোন দিয়েছিলো।তুই ধরিসনি তাই আমাকে বলেছিলো জানিয়ে দিতে।অনেক রাত হয়ে গিয়েছিল তাই তোকে আর বলি নি”
“ও আচ্ছা ঠিক আছে। আমি ফোন করে নিবো ওনাকে।”
“হুম তাই করিস।পায়েশ টা কিন্তুু অনেক মজা হয়েছে”
“যতই পাম মারো কাজ হবে না তোমার জন্য এর থেকে বেশি খাওয়া মোটেই ভালো হবে না।”
“রোগ তো থাকবেই তাই বলে কি একটু মন ভরে খাবও না”
“তোমাকে অনেকদিন আমাদের সয্য করতে হবে, তাই সব কিছু নিয়ম মাফিক খেতে হবে।বুঝলে”?
“হুম”
বলেই বউ শ্বাশুড়ি হেসে উঠলো।
—————————–
দুপুরের দিকে রক্তিম বাড়ি ফিরে। রুদমিলা তার গোসলের সব ব্যবস্থা করে রান্না ঘরের দিকে চলে যায়।রান্না ঘরে খাবার এর প্লেট সাজিয়ে খাবার ঘরে রেখে আবার ঘরে যায় রক্তিম কে ডাকতে।গিয়ে দেখে তার বুনোস্বামী মাএই শাওয়ার শেষ করে বের হয়েছে।
ছয় ফুটের কাছাকাছি মানুষটির ওই লোমশ বুক বেয়ে বেয়ে পরা পানির ফোটাতে খুবই মোহনীয় লাগছে তাঁকে। হা করে তাকিয়ে থাকার মতন হয়েছে তার বর টা।কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকো নিজেকে সংযত করে তাকে বলল,
“টেবিলে খাবার দিয়েছি,খেতে আসুন”
“না ওখানে গিয়ে খাওয়ার এনার্জি নাই। এখানে নিয়ে আয় খাবার গুলো।”
“আচ্ছা “
বলে দৌড়ে খাবারের প্লেট নিয়ে হাজির হলো সে।
রক্তিম বলল,
“খুব খিদে পেয়েছে, কিন্তুু নিজের হাতে খেতে ইচ্ছে করছে না।দে খাইয়ে দে”
বলে হা করলো।রুদমিলা ও বিনা বাক্যাব্যয়ে খাইয়ে দিতে লাগলো। আজ যেনো দাম্পত্য জীবন এর আরেক ধাপ পার করলো রুদমিলা। হয়তো একটু একটু করেই তার ভালোবাসা পূর্ণতা পাবে।এ আসায় সে প্রাণ ভরে নিঃশ্বাস নিলো।সেও একদিন পরিপূর্ণ নারী হবে।
চলবে….
#ঘরে থাকুন,
সুস্থ থাকুন।
ঘরে থেকে আমার গল্পটি বাংলামেইলনিউজডটকম এ পড়ুন এবং কেমন লাগছে তার মতামত জানাবেন প্লিজ।
Image may contain: one or more people, sky, outdoor and water

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..