1. banglamailnews72@gmail.com : banglamailnews : Zakir Khan
রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ০৯:৪০ অপরাহ্ন

“অপেক্ষা” — মঈনুর আহম্মদ

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৩০ জুন, ২০২১
  • ২০৯ বার

 

পৃথিবীর অধিক ভাগ ব্যক্তিই হয়তো কম-বেশি দুঃখী

একান্ত নিবিড়ে নিজস্ব সত্তায়।বিধাতার ইশারাই প্রেমের

মহিমায় এ পৃথিবী পরিচালিত হয় প্রতিনিয়ত।এ পৃথিবীর বিশালতায় নুরের জন্ম কি স্বাচ্ছন্দ্য অন্তরায়।তা যথার্থ না সুখ আর দুঃখ পর্যায়ক্রমে আসে ঐটাই বিধাতার প্রেমের বহ্নিলীলা।প্রেমের ব্যার্থতা গ্লানি নিয়ে এ রহস্য ভরা জগৎ থেকে অনাদৃত ভাবে ঝরে যাবে নুর।যদি ঝরে তাতে ও নিষ্ঠুর প্রিয়তমা অনিষ্ঠ হবার নয়।নুরের তা ভাবতে অনুভবে সর্বদাই খুব কষ্ট।হয়তো জীবাত্মা ক্ষতি ……… নুর।তাই আনমনা,সে একাই কি ভালোবাসতো অনামিকাকে ……… ।অনামিকা কি তাকে ভালোবাসত না………?হ্যাঁ সেও অবশ্যই ভালোবাসত তাকে।যতটুকু জ্ঞান হয়ে বুঝি তার হৃদয়ে কোন প্রতারনা বা ছলনা উদ্ধত নয়।সত্যি কি সে নুরকে প্রত্যাখান করেছে,কৈ না তো।হয়তো কিছু সে বলতে চেয়েছিল,হয়তো বলতো সেই অনুকুল পরিবেশ নেই সে সময়।কিংবা কি ভাবে বলতে হয় তা সে জানেনা।

বিশেষ সূত্রে অবগত হই অনামিকার পিতা মাতা তাকে নিয়ে প্রবাসে চলে গেছেন,সম্ভবত বিধাতারই ইঙ্গিতে তাদের মিলন সম্ভব হয়নি;

তার কাছে উপলব্ধি নির্মম নিয়তি এতে আছে নিবিড় অমাবস্যায় নিবন্ধ অন্ধকার।বিষাদের বিষন্নতা যে আকীর্ণ পথচারী।নুর নিজ অন্তকরনে ভাবে আমি চিরদিন তোমায় মনে রাখি,তুমি হয়তো আমার মতই আমাকে ভালোবাসিতে।আমি চিরদিন মওত পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকবো।তোমার যখন মনে হবে হয়তো আসিবে।তার বিরহ নুরের অন্তরচুর্ণ হয়ে ব্যথায় অশ্রু আকারে ঝরে। নুর তার ভালবাসার মানুষটির জন্য নিঃশেষ আর ধ্বংস পরিণত;তা মোটেই ঠিক হবে কি?নুরের অন্তর আত্মায় নিজ নিজকে উৎস দেয়-তুমি ধ্বংস হয়ে যেওনা অনামিকা আজও তোমারই আছে।নুর তুমি প্রেমে ব্যর্থ বা অপূর্ণ মনে করে নিজকে দেবদাস এর মতো অমা পথে পথচারী হও তা অনামিকার জন্য সহনযোগ্য নয়।নুর ভাবে একই ভাবনা বার বার ভাবছে,আমার প্রেম মিথ্যে দিয়ে পাপের ঘেরা প্রবঞ্চনা নেই।কোনো বিদিশায় অনামিকা নুরের জীবন থেকে হারিয়ে গেলেও অনন্তকালের জন্য তোমারই আছি-থাকিব।

নুর আর অনামিকার প্রেমের রশ্মি মানুষের হৃদয়ে জলন্ত স্বাক্ষী হয়ে থাকবে সর্বত্রময় কালের জন্য।হৃদয়ের চিরমিলনের আকুলতার ভার অনামিকা চোখের তারায় তা প্রকাশ পেত প্রেমের স্পর্শ ছাপা তা মোছা নয়।অনামিকা চোখের জলে মিনতি করে বলত, ভুলে যেওনা আমাকে,আমি যেখানে থাকি অনামিকা তোমারই আছে সর্বত্র চিরকুমারী হয়ে থাকবে।নুরের মনে পরে সর্বক্ষন অতীতের সেইসব রঙ্গিন দিনের কথা।হ্যা আজও নিরবে কল্পনা আকাচিত্ত বাস্তবে বিবেচিত নুরের কাছে।

গত কয়েক বৎসর কেটে গেছে এমনই পড়ন্ত গোধুলী সন্ধ্যায় অনামিকা নিজেকে মোহনীয় করে অপরূপা সৌন্দর্যময়ীর মত ছাদে হাটছে।

নুরের চোখের উপর চোখ পড়তেই মুখ টিপে হেসে ওড়নার আচলে লুকিয়ে শুধায় আমাকে বুঝি আর কোন দিন দেখনি।এ সময় তার এক বান্ধবী নুরকে বলে চোখটি বন্ধ করে দিতে তাতে চোখ লাগবে।অভিযোগের পরও নুর বেহায়াপনার মত চিত্তের সব দরজা খুলে দুটি নয়ন ভরে অমৃত সুধা পান করে কারন অনামিকা যতক্ষন চোখের সামনে থাকে ততক্ষন তার দেহে প্রাণ থাকে;বাকি সময় এত কষ্ট আর যন্ত্রনা…………।নুর কি তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারে?হয়তো পারে না, কোন সময় পারবেও না।সে প্রতিদিন প্রতিনিয়ত পড়ন্ত বিকেলে ছাদে নীরব সহনীয় ভাবে দাড়িয়ে থাকে অনামিকাকে বার বার দেখার জন্য।বিরাট শুন্যতা ব্যাকুল হাহাকার তার মর্মে অনামিকার জন্য।নুর চারদিকেই তাকায় এমনেই নিচে তার প্রিয়াকে দেখা যায় সহাস্যে আছে দাড়িয়ে।ছাদ থেকে নুর দুষ্টুমি করে থুতু দেয়; অনামিকা ছাদের উপর দিকে প্রতিবাদের দৃষ্টি দিয়ে কিছু বলবে সে সময় নুরের চোখের উপর চোখ পড়তেই রাগ না হয়ে হেসে কিল দেখায়………।অন্তকরনে ভালোবাসা শিরায় শোনিতের মতো বুকের স্পন্দনের মতো আর জীবনের যাতনার মতো।রমনী রূপ ক্রমান্বয়ে বদলায় সে তো একজন রমনী।যদি অনামিকা ঐ ছাদে এসে তাকে অপমান করে ………।সেটা অনুভব করে ভয় পায় তাই সে নিচে তার রুমে চলে আসে।

আর ও ভাবে সে রাগ করে তার বিরুদ্ধে হোস্টেল কর্তৃপক্ষের নিকট অভিযোগ করে তাতে তার সবচেয়ে বড় ক্ষতি হবে।অন্তর্নিহিত চিন্তা আর ভাবনায় সাড়া রাত অতিবাহিত করে সে।তিলে তিলে গড়ে উঠা প্রেমের মাঝে অনামিকা নুরকে স্বপ্ন দেখে,সে কি ভাবে নুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করবে,সে তো নুরের লাইলী,শিরি বা রাধা।যার প্রেমের জ্যোতিতে অনামিকা নিরবে আলোকিত হচ্ছে।আসলে সে কারো নিকট প্রকাশ করে সেই প্রেমকে জলাঞ্জলী দিবে না দিতে পারে না।মরে গেলেও না।অনামিকা নুরের প্রেমের সৌরভ ভরা এক মানবী।সেই অলৌকিকগুনে মুগ্ধ হয়ে সার্বক্ষনিক তার কল্যাণ কামনা করে সর্ব্দাই সে অভিনিবেশ।

হোস্টেলেই দু’তলা পূর্ব পাশে রুমে নুর অবস্থান করে আর লেখা পড়া করতে থাকে।তার পড়ার টেবিল এর পূর্ব জানালায় দেখা যায় অনামিকাকে যেখানে তার লেখা পড়ায় স্থান।বিধাতার কাংখিত এক রহস্যময় জগতে;নারী মায়াবীনি তাদের রুপের মোহে দেবতারও ধ্যান ভাঙ্গে।নারী মানে দেবী অরন্যানী নিরুপমা।তাদের রুপের নিকট বিনাশর্তে বশ্যতা স্বিকার করে পুরুষ হয় মজনু,দেবদাস আর ফরহাদ।এমনইভাবে দু’জন দু’জনকে দূর থেকে দেখতে পায় আর চোখের ইশারায় কথা হয় সময়ের পরিক্রমায় প্রতিনিয়ত।

এদের চলার পরিবেশ দূরত্বের অন্তরায়।সময় ছলনাময়ীর এক চলন্ত রূপ।তারা একজন আরেকজনের অন্তর আত্মার এপিক।সুযোগ করে বা পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারেনি। কেউ কারো পরিচয় বা নাম জানতে।নুরের হোস্টেলের জীবন মধুময় এক কাব্য।অথচ প্রিয়ার সম্বন্ধে অবগত নয় তাই সে বেদনা বিধুর।চোখের কাজল পরা ভাষায় আমাকে বলেছ, ওরে আমার প্রিয়া তোমার হৃদয়ে আঙ্গিনায় আমার স্থান।অথচ তোমায় কি নামে ডাকবো তা জানিনা আমি।এই বেদনা সইতে পারিনা।নুর আর অনামিকা একই ভাবনায় অনুরক্ত।তবু তারা দু’জন দু’জনকে ভুলতে পারেনা মনে হয় ইশ্বরের কৃপায়।তারা হারিয়ে যায় অদৃশ্যলীলায় তবে এই বিরহ হবে অন্তরের অক্ষয়জ্বালা মাঝে তাপ শুধু যন্ত্রনা ……।

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..