1. press.sumon@gmail.com : banglamailnews : Zakir Khan
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৯:০৩ পূর্বাহ্ন

এই লেখাটি উৎসর্গ করছি আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ পুরুষ মিঠুন চক্রবর্তীকে – – – ছন্দচিত্র মুখার্জি

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ২৬১ বার
এই লেখাটি উৎসর্গ করছি আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ পুরুষ,আমার দেখা সেই reel ও reel এর বাইরেও real hero কে যাঁর মধ্যে রয়েছে সৌন্দর্য্য, প্রতিভা ও মানবিকতার এক আশ্চর্য সহাবস্থান যা এই মহাতারকা কে অসাধারণ এবং অন্যদের থেকে একেবারে আলাদা করেছে। এই অসাধারণ সুদর্শন ও হৃদয়বান পুরুষটি সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছেও আশ্চর্য রকমের নিস্পৃহ ও স্থির হয়ে থাকা এবং মাটিতে পা রেখে চলা এক মহাতারকা। সাফল্যের আলোর ঝলকানি তাঁর মনুষ্যত্বকে ম্লান করতে পারেনি বিন্দুমাত্র! …..তাঁর এই অসাধারণত্ব আমার কাছে তাঁর আকর্ষণ বাড়িয়েছে বহুগুণ, তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা বাড়িয়ে তাঁর প্রেমে পড়তে বাধ্য করেছে, তাই তিনি আমার hero, আমার স্বপ্নের পুরুষ ।…….এই লেখা আমার সেই প্রিয় পুরুষ ,সেই সেরার সেরা hero র অসামান্য চ্যালেঞ্জিং জীবনকে আর একবার ফিরে দেখার চেষ্টা……তিনিই সেই অসাধারণ hero যিনি রুপোলি পর্দার বা পর্দার বাইরের কোনো যুদ্ধেই কোনোদিন পরাজয় স্বীকার করেননি ,দাঁতে দাঁত চেপে সাহসের সঙ্গে জীবনের কঠিন থেকে কঠিনতম চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করেছেন অবলীলায়, তাই তিনি একজন অসামান্য ওয়ারিয়র, পর্দার বাইরেও এক অসামান্য hero, যাঁর জীবনের গল্পটা যে কোনো ফিল্ম ডিরেক্টরকে উৎসাহিত করবে ফিল্ম বানাতে – যে জীবন নিয়ে অনায়াসেই লেখা যেতে পারে একটা উপন্যাস। সেই নাটকীয়, ঘাত-প্রতিঘাতে-ভরা জীবনের পথে অক্লান্তভাবে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে তাঁর এগিয়ে যাওয়ার লড়াই এবং শেষে জিতে গিয়ে সাফল্যের শীর্ষে এক জীবন্ত কিংবদন্তীতে পরিণত হওয়া একইসঙ্গে আমাকে মুগ্ধ ও বিস্মিত করেছে বারবার, তাই তিনি আমার স্বপ্নের নায়ক, তিনি এক ও অদ্বিতীয় মিঠুন চক্রবর্তী। এই লেখা সেই অনন্য প্রতিভাসম্পন্ন অভিনেতার আড়ালের সেই আসল hero এবং তাঁর জীবনের লড়াইকে কুর্নিশ জানায় । শ্রদ্ধেয় কণ্ঠশিল্পী শ্রীযুক্ত শিলাজিৎ চক্রবর্ত্তীর লেখা পড়ে আমি তাঁর সঙ্গে একমত- বাস্তব জীবনেও মিঠুন চক্রবর্তীর মত hero দ্বিতীয় কেউ নেই। তিনি যে কোন মানুষের সারাজীবনের আদর্শ ও অনুপ্রেরণা হবার যোগ্য এমনই দৃষ্টান্তমূলক জীবন তাঁর। সেই অতীত জীবনের উল্টানো পাতায় তিনি তখন গৌরাঙ্গ চক্রবর্ত্তী ,যিনি জোড়াবাগানের মাথুর সেন গার্ডেন লেন নামক এক অখ্যাত সরু গলিতে জন্ম দেন রূপকথার এক স্বপ্নের উড়ানের। শুধুমাত্র আত্মবিশ্বাস, প্রতিভা ও উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে হাতিয়ার করে, মাথুর সেন গার্ডেন লেন থেকে মুম্বাই এর প্রশস্ত রাজপথে পা রাখেন এবং জন্ম হতে থাকে এক যোদ্ধার, এক hero র যিনি অদম্য ও অপ্রতিরোধ্য । পরবর্তী কয়েকটি বছর সেই যোদ্ধার জীবনের লড়াই এর কাহিনী। তিনি তাঁর অফুরন্ত জীবনীশক্তি দিয়ে সমস্ত প্রতিকূলতাকে জয় করে পৌঁছে যান সেই উচ্চতায়, সেই কাঙ্খিত লক্ষ্যে যেখানে শুধু তাঁরই জন্য অপেক্ষা করে আছে শ্রেষ্ঠত্বের সিংহাসন , এবং সেই ফাঁকা, নিঃসঙ্গ ,অপেক্ষারত সিংহাসনও অবশেষে খুঁজে পায় তাঁর সম্রাট কে – সৃষ্টি হয় এক ইতিহাসের! ক্রমশ গৌরাঙ্গ চক্রবর্ত্তী থেকে মিঠুন চক্রবর্তীতে উত্তীর্ণ সেই বঙ্গসন্তান হয়ে ওঠেন হিন্দী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির একচ্ছত্র অধিপতি, তিনি একাই শাসন করতে থাকেন হিন্দী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে। হিন্দী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি এক অসাধারণ ভার্সেটাইল অভিনেতা, ড্যান্সার ও performer কে খুঁজে পায়, ক্রমশঃ তিনিই হয়ে ওঠেন ভারতের আইকন। সারা বিশ্ব তখন ভারতীয় অভিনেতা ও ডিস্কো ড্যান্সার মিঠুন চক্রবর্তী ওরফে জিমির ম্যাজিকে মন্ত্রমুগ্ধ ও আবিষ্ট !……
অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী বারবার আমাদের মুগ্ধ করেছেন , চমকে দিয়েছেন তাঁর শক্তিশালী অভিনয়ে ।নিজেকে এক ইমেজে বন্দী রাখেননি কখনও ,বারবার নিজেকে ভেঙেছেন, বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করে নিজেকে বারবার চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছেন। ‘সুরক্ষা’র সিবিআই এজেন্ট থেকে ‘মৃগয়া’র ঘেনুয়া, ‘হাম পাঁচ’ এর ভীমা থেকে ‘ডিস্কো ড্যান্সার’ এর জিমি, ‘ড্যান্স ড্যান্স’ এর রোমিও থেকে স্বামী বিবেকানন্দ ,শ্রীরামকৃষ্ণ , ‘জল্লাদ’ এর দুর্দান্ত ভিলেন থেকে don mutthu Swami র দুর্দান্ত কমেডি, ‘অগ্নিপথের’ দক্ষিণ ভারতীয় ডাব বিক্রেতা কৃষ্ণন আইয়ার থেকে ‘তাহাদের কথার’ শিবনাথ , ‘গুড়িয়ার’ জনি থেকে ‘তিতলির’ রোহিত রায়- বিভিন্ন চরিত্রে বারবার ঝলসে উঠেছেন তিনি । অভিনয়ের জন্য তিনটি জাতীয় পুরস্কারও জয় করে নিয়েছেন তিনি। তাঁর দৃষ্টান্তমূলক অভিনয় প্রতিভা ও অসাধারণ নাচের স্টাইলে তিনি অচিরেই মহাতারকা থেকে আজ জীবন্ত কিংবদন্তীতে পরিণত। সারা বিশ্বে ছড়িয়ে আছে তাঁর অসংখ্য ফ্যান। ভারতবর্ষ এবং ভারত বর্ষের বাইরে সারা বিশ্বে তিনি একই ভাবে পূজা ও ভালোবাসা পান। আমরা বাঙালিরা তাঁর অভিনয় প্রতিভা ও জীবন সংগ্রামের কাছে গভীর শ্রদ্ধায় নতজানু হই এবং একইসঙ্গে এই বঙ্গ সন্তানের কাছে আজীবন ঋণী থাকি বিশ্বের দরবারে বাঙালির মুখ উজ্জ্বল করে বাঙালির সন্মান বাড়ানোর জন্য। তাই মিঠুন চক্রবর্ত্তী আমার জীবনের ও hero , আমার আদর্শ ও অনুপ্রেরণা ।তিনিই আমার দেখা সেরা বাঙালি৷ আমার দেখা পৃথিবীর সবথেকে সুদর্শন পুরুষ, আমার হৃদস্পন্দন , আমার কিশোরী বয়সের প্রথম প্রেম, আমার ভালোবাসা। আজ আমি 57, ওনাকে প্রথম দেখি সুরক্ষা ফিল্ম এ – আমি তখন সপ্তম শ্রেণী এবং তখন থেকেই আমি সম্মোহিত এবং এখনও আমি সম্মোহিত হয়েই আছি ৷ মিঠুন চক্রবর্তীর মত hero অতীতে ছিল না, এখনও নেই, ভবিষ্যতেও কোনোদিন হবেনা। এক মহাতারকার পাশাপাশি মানুষ হিসাবেও উনি অতুলনীয় , তারকাসুলভ কোনো অহংকার কোনোদিন তাঁর মানবসত্ত্বাকে গ্রাস করতে পারেনি ৷ ঈশ্বরের আশীর্বাদে এই অধমের সৌভাগ্য হয়েছিল ওনার সান্নিধ্যে আসার। সেদিন ওনার আন্তরিক ব্যবহার আমাকে মুগ্ধ করেছিল। তিনি তাঁর ব্যাস্ত শিডিউল থেকে আমাদের (আমি ও আমার কন্যার) জন্য সময় দিয়েছিলেন নিজে দাঁড়িয়ে থেকে খুব যত্ন করে আগে আমাদের বসিয়ে তবেই নিজে বসেছিলেন এবং আমার ফ্যান সুলভ সব আবদার হাসি মুখে পূরণ করেছিলেন যা আমার কাছে এক অপ্রত্যাশিত পরম প্রাপ্তি। সেদিন মানুষ মিঠুন চক্রবর্তীকে আবিষ্কার করেছিলাম। আমার পরম সৌভাগ্য যে আমি ওনার মত মানুষের সান্নিধ্যে আসতে পেরেছি । সেদিন ফিরে আসার আগে আর একবার প্রণাম করেছিলাম ওনাকে । প্রথমটা ছিল অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্ত্তীকে এবং দ্বিতীয় প্রণাম টা করেছিলাম মানুষ মিঠুন চক্রবর্ত্তীকে । ঐ উচ্চতায় উঠে অত মাটির কাছাকছি থাকতে, নিজের রুট কে মনে রাখতে এবং নিজের অহংকে বশে রাখতে গেলে বিশাল হৃদয়ের অধিকারী হতে হয়, অনেক উদার হতে হয়, যা সবাই হতে পারেন না- যারা পারেন তাঁরাই মহামানব। আপনি খুব খুব ভালো থাকবেন মিঠুন চক্রবর্তী স্যার ৷ ঈশ্বর আপনাকে দীর্ঘজীবী করুন ৷ যতদিন বাঁচব আপনি আমার হৃদয়ের সম্রাট হয়েই থাকবেন। বুকের বামদিকে আপনার জন্য এক এবং এক মাত্র আপনারই জন্য ভীষণ যত্নে ভীষণ সন্তর্পণে সরিয়ে রেখেছি , গোপনে বাঁচিয়ে রেখেছি অফুরন্ত ভালোবাসা ।আপনি বাঙালির গর্ব, ভারতবর্ষের গর্ব। আপনাকে সশ্রদ্ধ প্রণাম ।
                                                                                   ❤️❤️❤️❤️🙏🙏🙏🙏

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..