1. banglamailnews72@gmail.com : banglamailnews : Zakir Khan
সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০২:১৯ অপরাহ্ন

আমার বড় আব্বুরমাঝে স্পেস ,ব্ল্যাক হোল ,হুয়াইট হোল ,মানুষ ,পরিবার, সমাজ আর ইতিহাস সৃষ্টির কাহিনী — রাজিয়া সুলতানা

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২ আগস্ট, ২০২১
  • ২৭৭ বার
লকডাউন টাইম , পরিবারের চার সদস্য মিলে টিভি সেটের সামনে বসে একসাথে টিভি দেখা অর্থপূর্ণ বিনোদনের একটি অংশ ছিল। এখন লকডাউন শেষ। তো সেই সময়ে আমার বড় আব্বুটির প্রিয় বিষয় যেটি সেটিকে প্রাধান্য দেয়া হতো বেশি কারণ তার আগ্রহ সব চমকপ্রদ বিষয়ে। তারমাঝে স্পেস ,ব্ল্যাক হোল ,হুয়াইট হোল ,মানুষ ,পরিবার, সমাজ আর ইতিহাস সৃষ্টির কাহিনী , লেটেস্ট মোবাইল কম্পিউটার নিয়ে ইনফরমেশন , ফ্যাক্টরী তে বিভিন্ন জিনিস কিভাবে তৈরী হয় , এক্রিলিক পেইন্ট , ফিজিক্সের বিভিন্ন রকম পরীক্ষা নিরিক্ষা। মোটকথা ,গণিত আর ফিজিক্সের প্রতি তার বিশেষ দুর্বলতা। এমনি এক সন্ধ্যায় সে দেখছে ফিনিক্স পাখির মেটাল ডিস্প্লেট এ তার আর্টিস্টিক রূপের পরিবর্তন কি করে ধরা হয়। আমরা সবাই মুগ্ধ হয়ে দেখছি সেটা , তার বাবা ও অবাক হয়ে বললো ,অসাধারণ তো ! আমি তো বরাবর ই মিথোলজির ভক্ত। আর দেরি না করে সময়টাকে ধরে রাখতে তাকে দিয়ে অনলাইনে অর্ডার দেয়া হলো ফিনিক্স পাখির ডিস্প্লেট। আর এক্সট্রা শিপিং দাম দিয়ে বাসায় যখন সেটা পৌঁছলো , তার খুশি সত্যি যেন ফিনিক্সের চেয়ে কম দামী নয়। যখনি ফিনিক্সের দিকে চোখ পড়ে ,মনে হয় বর্তমান এই করোনা আক্রান্ত পৃথিবী যেন ফিনিক্সের মতোই পুনর্জন্ম পাবার প্রতীক্ষায় আছে ! আশা করছি , ফিনিক্সের মতোই নতুন রূপে পৃথিবীর জন্ম হবে।
“ফিনিক্স পাখি –
ফিনিক্স পাখির রয়েছে পুনর্জন্ম আর অমরত্বের বৈশিষ্ট্য। নিজের ধ্বংসস্তূপ থেকে নিজেই নতুন প্রাণ পায় কাল্পনিক এ পাখি। বলা হয়ে থাকে, পৃথিবীতে এমন কোনো ভাষার সাহিত্য নেই, যেখানে এই ফিনিক্স পাখি নিয়ে দু-এক লাইন লেখা হয়নি। আজকাল তো খবরের হেডলাইনেও দেখা মেলে এই ফিনিক্স পাখির।
পৌরাণিক কাহিনী-
পৌরাণিক অনেক কাহিনীই প্রচলিত ও জনপ্রিয়। পৌরাণিক কাহিনীর মধ্যে ফিনিক্স পাখির কাহিনী অন্যতম।পাখিমাত্রই এর জীবন আছে। আর অন্যসব জীবের মতো এরও মৃত্যু রয়েছে। তবে এর মৃত্যু অন্যসব জীবের মতো নয়। মৃত্যুর পর সেই ধ্বংসস্তূপ থেকে আবার এর পুনর্জন্ম হয়। বলা যায়, এই পাখির রয়েছে পুনর্জন্ম আর অমরত্বের বৈশিষ্ট্য। শুধু চিরঞ্জীবই নয়, উপকারীও, শক্তিধরসহ নানা গুণের কীর্তি রয়েছে এই পাখির নামে। আধুনিক যুগে এসেও ফিনিক্স পাখির জনপ্রিয়তা মøান হয়নি। পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী আগুন বা অনল থেকে জন্ম হয়েছে ফিনিক্স পাখির। চাইনিজ পুরাণ, গ্রিক পুরাণ এবং প্রাচীন মিসরীয়দের বর্ণনায়ও ফিনিক্স পাখির উল্লেখ পাওয়া গেছে। তবে নামের ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তন দেখা যায়।
গ্রিক পুরাণ-
প্রাচীন গ্রিক পুরাণ অনুসারে ফিনিক্স হলো এক পবিত্র ‘অগ্নিপাখি’। আর এটি এমনই একটি পবিত্র আগুনের পাখি, যার জীবনচক্র আবর্তিত হয় হাজার বছর ধরে। যমদূত আসার ঠিক আগেই ফিনিক্স পাখি নিজের বাসা নিজেই আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। আর তার ভস্ম থেকেই জন্ম নেয় নতুন জীবন, শুরু হয় আবার জাতিস্মর ফিনিক্সের অবিনাশী যাত্রা। গ্রিক ও রোমানরা ফিনিক্সকে কল্পনা করত ময়ূরের আদলে। গ্রিকরা বিশ্বাস করত, এই পাখির আদি নিবাস আরবে। ভোরবেলা সূর্য ওঠার আগে, ফিনিক্স তার বাসস্থানের পাশের এক কুয়ার পানিতে গোসল করত। মোহময় সুরে আবিষ্ট হয়ে সূর্য দেবতাও তার রথ থামিয়ে দিতেন ফিনিক্সের গান শোনার জন্য।
ঐতিহাসিকদের মতে, ফিনিশীয় সভ্যতাই নাকি প্রথম ফিনিক্স পাখির কল্পনা করেছিল।
মিসরীয় সভ্যতার বেনু-
বলা হয়ে থাকে, প্রাচীন মিসরের বেনু পাখিই আজকের ফিনিক্স। মিসরীয়রা ফিনিক্সকে বক জাতীয় পাখি মনে করে একে ডাকত বেন্নু বা বেনু পাখি বলে। বেনু নামের এই পাখিটি বাস করত পাথর ও অট্টালিকার ওপর। প্রাচীন মিসরীয় জনগণ তাকে দেবতুল্য পাখি হিসেবে উপাসনা করত, যেভাবে তাদের রাজা ওসিরিসকে পূজা করা হতো। মনে করা হতো, বেনু ঈশ্বর ওসিরিদের জীবন্ত প্রতীক ছিল। প্রাচীন মিসরের এই পাখি দেখতে ছিল হলুদ, কমলা, লাল আর সোনালি হরেক রকমের মিশেলে রাঙা এক স্বপ্নিল পাখি। এই বেনু পাখি ৫০০ থেকে ১ হাজার বছর বাঁচত। যখনই এর মৃত্যু ঘনিয়ে আসত, সে আগে থেকেই বুঝতে পারত। মৃত্যুর আগে নিজের বানানো বাসায় আগুনে ভস্মীভূত হয়ে মারা যেত ফিনিক্স পাখি। এরপর সেই ছাই থেকে নতুন প্রাণ নিয়ে বেরিয়ে আসত শিশু ফিনিক্স। ‘বেনু’ শব্দের অর্থই হলো আগুন থেকে ‘সুন্দর করে বেরিয়ে আসা’।
বিভিন্ন রূপকথায় জানা গেছে, মিসরীয় দেবতা অসাইরিসের হৃদয় থেকে জন্ম নেয় ফিনিক্স পাখি। আবার বলা হয়, দেবতার মন্দিরে লাগানো ছিল একটি গাছ। যে গাছটিকে পবিত্র হিসেবে মনে করা হতো। সেই গাছের গায়ে লাগানো আগুন থেকে জন্ম ফিনিক্সের।
এ ছাড়া অন্য গল্প থেকে জানা যায়, নীল নদের প্লাবনের সময় এই পাখিটি আশ্রয় নিয়েছিল উঁচু এক জায়গায়। তখন সেটা ছায়া পড়েছিল পানিতে, দেখে মনে হয়েছিল, যেন পানির ওপর একটুকরো সূর্য ভাসছে, যা মনে করিয়ে দেয় সূর্য দেবতা ‘রা’কে। এই পাখিকে সূর্য দেবতার আত্মাও মনে করা হতো।
ইহুদি পুরাণে মিলহাম-
ইহুদি পৌরাণিক কাহিনীতেও ফিনিক্স পাখির অস্তিত্ব। তবে সেখানে এই পাখি পরিচিত মিলহাম নামে। এই পাখির গল্প সেই দিন থেকে শুরু, যেদিন বিবি হাওয়া ও বাবা আদম অন্য প্রাণীদের সঙ্গে স্বর্গে ছিলেন। বলা হয়ে থাকে, বিবি হাওয়া নিষিদ্ধ ফলটি খাওয়ার পর অন্যদেরও সেই ফলটি খাওয়াতে আগ্রহী হন। সবাই সেই নিষিদ্ধ ফল খেলেও একমাত্র এই মিলহাম পাখি সেটা খেতে অস্বীকৃতি জানায়। তারই বিশ্বস্ততার পুরস্কারস্বরূপ একে অমরত্ব দান করা হয়। ইহুদি ধর্ম মতে, প্রতি এক হাজার বছর পর এই পাখির জীবনচক্র শেষ হবে, তারপর এটি আবার পুনরুত্থিত হবে।
হিন্দু পুরাণে গরুড়-
অনেকে সংস্কৃত উচ্চারণে ‘গরুড়’ পাখিকে ফিনিক্স পাখির সঙ্গে মেলান। রামায়ণে এর উল্লেখ পাওয়া যায়। গরুড় হলো দেবতা বিষ্ণুর বাহন। এটি একটি বৃহদাকার পৌরাণিক পাখি বা পক্ষীতুল্য জীব। গরুড় কখনো মুক্তডানা ইগলের মতো, কখনো ঈগলমানবের মতো। বর্ণনা করা হয়েছে, গরুড় সাপদের শত্রু। মহাভারতের আদিপর্ব অনুযায়ী গরুড় তার মাকে মুক্ত করতে স্বর্গে যান অমৃত নিয়ে আসতে। সব দেবতা তাকে নিবৃত্ত করতে চেষ্টা করলেও সফল হননি। তারপর অমৃত হরণ করে নিয়ে এসে মাকে মুক্ত করেন গরুড়। তবে অমৃত নিয়ে এলেও তিনি একবিন্দুও অমৃত পান করেননি। তার এই চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে খুশি হয়ে দেবতা বিষ্ণু তাকে অমরত্বের বর দেন।
পারস্যের হুমা-
পারস্যের ফিনিক্স পাখি পরিচিত ‘হুমা’ নামে। এই হুমা শব্দের অর্থ হলো ‘জান্নাতের পাখি’। অটোম্যানদের বিভিন্ন কবিতায় দেখা পাওয়া যায় এই হুমার। তারে কবিতায় প্রায়ই এই পাখিকে জান্নাতের পাখি বলে উল্লেখ করা হয়। এই পাখিকে দেখানো হয়েছে দয়ালু ও সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে। বলা হয়ে থাকে, এই পাখি কখনো বিশ্রাম নেয় না। সারা জীবন এটি পৃথিবীর ওপর উড়েই কাটিয়েছে। এই হুমা পাখিকে ঘিরে বিচিত্র ধরনের গল্প প্রচলিত রয়েছে। বলা হয়ে থাকে, একই সঙ্গে এই পাখির দেহে রয়েছে নারী ও পুরুষের দুটি সত্তা। তাদের প্রচলিত লোককথা অনুযায়ী এই পাখির এক পা ও পাখা পুরুষের আরেকটি পা ও পাখা নারীর। আবার কোনো কোনো গল্পে জানা যায় এই পাখির কোনো পা নেই। বলা হয়ে থাকে, হুমাকে যদি কেউ হত্যা করতে উদ্যত হয়, তবে এটি ৪০ দিনের মধ্যে মারা যাবে। তবে দেহের আকার-আকৃতি যেমনই হোক না কেন, এই পাখির কিছু বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সবাই একমত পোষণ করেছেন আর তা হলো এই পাখি যেখানে যেত, সেখানে সৌভাগ্য বয়ে নিয়ে আসত। এই পাখির ছায়া কারও গায়ে পড়লে তার জন্য অপেক্ষা করত সুখবর। কোনো অসুস্থ ব্যক্তিকে যদি এই পাখি স্পর্শ করত, তবে সে হয়ে যেত রোগমুক্ত। এই পাখি কোনো প্রাণীকে হত্যা করত না। এটি মৃত পশুপাখির মাংস, ফল-মূল খেয়ে জীবন ধারণ করত। তাদের লোককাহিনীতেও প্রচলিত রয়েছে, এই পাখি বাঁচত শত শত বছর। নিজেই আগুন জ্বালাত। সেই আগুন নিজেই পাখা ঝাপটিয়ে আরও বড় করত। তারপর সেই আগুনে নিজেই ভস্ম হয়ে যেত।
চাইনিজ পুরাণ-
চীন দেশে ফিনিক্স পাখি ফেংহুয়াং নামে পরিচিত। সেখানে ফিনিক্স পাখিকে পরিপূর্ণতার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়। প্রতিকূল পরিবেশে বড় হওয়া সেরা ধীশক্তির উপমা হিসেবেও চাইনিজরা এই ফিনিক্স পাখিকে ব্যবহার করে। চীনে লোককাহিনীর প্রাণী ড্রাগনের পরই ফিনিক্সের স্থান। চীনের বেইজিং শহরে ফিনিক্সের স্ট্যাচু এখনো সম্মানের প্রতীক হয়ে আছে। এটিকে চীনের পাখিদের নেতাও বলা হয়। তবে সে দেশে ফিনিক্স কিন্তু মরে না, কেবলই বেঁচে থাকে, অমর হয়ে।
জাপানি পুরাণ-
গ্রিক পুরাণের মতো জাপানি পুরাণেও দেখা যায় এই ফিনিক্স পাখির অস্তিত্ব। এই পাখিকে বলা হয় হোও। জাপানি পুরাণ মতে, ফিনিক্স পাখি জন্ম নেয় সূর্য থেকে। আর সূর্য থেকে জন্মায় বলে এর ডানায় থাকে সূর্যের সব রঙের মিশেলের পালক। সব ধরনের রংকে ধারণ করে এই পাখি হয়ে থাকে অসাধারণ সৌন্দর্যের আধার। এর গলায় থাকে মোহনীয় সুর। এই পাখির অসাধারণ সুন্দর ঝুঁটি প্রতিনিধিত্ব করে সূর্যকে। এই পাখি যেখানেই যায়, সেখানেই একে সম্মান জানাতে হাজির বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। জাপানি পুরাণে পুরুষ ফিনিক্সের নাম ইন এবং নারী ফিনিক্সের নাম ইয়াং।
প্রচলিত অনেক লোককাহিনী রয়েছে এই ফিনিক্স পাখিকে ঘিরে। এর মধ্যে জনপ্রিয় কাহিনী হলো কেউ যদি হিংসা বা ক্রোধ নিয়ে এই পাখিকে আঘাত করত, তাহলে নাকি এর ঝরে যাওয়া পালক থেকেও জন্ম নিত নতুন প্রাণ বা ফিনিক্স। এই পাখিতে বলা হয় অসীম ক্ষমতাধর, শক্তিধর ও পবিত্র। পবিত্র এই পাখির চোখের পানিও বাঁচাতে পারে কারও জীবন। মৃত্যুপথযাত্রীদের সাময়িক জীবন দেওয়ার ক্ষমতা রাখে এই পাখি।
কোথায় থাকে, দেখতে কেমন-
ফিনিক্স পাখিকে মনে করা হয় পৃথিবীর সব থেকে সুন্দর ও নিখুঁত প্রাণীগুলোর মধ্যে অন্যতম। কারণ হিসেবে বলা হয়, এই পাখিটির দেহের সবকিছুই নিখুঁত। বেশির ভাগ পুরাণে বর্ণনা করা হয়, তার দেহ লাল, হলুদ ও নীল পালকে আবৃত। তবে এই রঙের ক্ষেত্রেও রয়েছে আরও বৈচিত্র্য, যা তাকে আলাদা করেছে অন্যান্য পাখি থেকে। গ্রিক পুরাণ অনুযায়ী এই পাখির ছিল স্বর্ণের রঙের মতো লেজ। লাল, গোলাপি ও নীল রঙের পালকে আবৃত তার দেহ। অসাধারণ সৌন্দর্যের আধার এই পাখি। আবার এমনও বলা আছে, পাখিটির রং বেগুনি ও সাদার মিশেল। এর চোখ নিয়েও বিভিন্ন ধরনের মতবাদ প্রচলিত রয়েছে। কোনো কোনো সূত্র দাবি করে, ফিনিক্সের চোখে দেখা যায় উজ্জ্বল হলুদ রঙের ছায়া। আবার কেউ কেউ দাবি করে, তার চোখ হচ্ছে উজ্জ্বল নীলকান্ত মণির মতো। এর আকার কত বড় সেটা নিয়েও ভিন্ন ভিন্ন মত রয়েছে। কোনো কোনো সূত্র বলে, এটি ইগল পাখির মতো আবার কারও মতে এটি ইগলের থেকে বিশালাকার। তবে আকার যাই হোক এই পাখির দিকে তাকালে সৌন্দর্যে কেউ চোখ ফিরিয়ে নিতে পারবে না।
পৌরাণিক কাহিনীর এই ফিনিক্স পাখির গল্প নিয়ে বৈচিত্র্য রয়েছে। তবে বেশির ভাগ জনপ্রিয় পুরাণে বলা হয়ে থাকে ফিনিক্স পাখি বাস করে স্বর্গে। কখনো কখনো এটি স্বর্গের বাইরে অর্থাৎ পৃথিবীতে এসে এটি স্বর্গের প্রতিনিধিত্ব করে। তবে এটি ছাড়াও আরও অনেক গল্প প্রচলিত রয়েছে ফিনিক্সের বাসস্থান ঘিরে। যেমন গ্রিকরা দাবি করত ফিনিক্স থাকে আরবে।
ফিনিক্স পাখি সত্যিই আছে কি না সেটা এখনো যুক্তি-তর্কের বিষয়। এই পাখি দেখতে ঠিক কেমন ছিল তা জানাও সম্ভব নয়। তবে পাখিটি সম্পর্কে যতটুকু জানা যায়, তা থেকে আমরা আমাদের মতো করে পাখিটার একটা কাল্পনিক ছবি এঁকে নিতেই পারি। সেটি যদি সত্যি থেকেই থাকে, তবে পৌরাণিক কাহিনী ফিরে আসতে পারে সত্যি রূপে। অথবা এটি সত্যিই একটি পৌরাণিক কাহিনী হিসেবেই বেঁচে থাকবে বছরের পর বছর।
পুনঃজাগরণের প্রতীক এই ফিনিক্স পাখি।”
(তথ্যসূত্র : ইতিহাস ও মিথোলজি ,গুগল থেকে সংগৃহিত )

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..