1. press.sumon@gmail.com : banglamailnews : Zakir Khan
বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০৬:৫৫ অপরাহ্ন

রূপসী বাংলার অবহেলিত সৈকত বিদেশী পর্যটকদের দৃষ্টি নেই। ।। নাসিম আনোয়ার।।

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ২৬৬ বার
ব-দ্বীপ।
সোনার বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ পুরোটাই একটি জীবন্ত ছবি। শুধুই সাগর সৈকত নয়। বাংলাদেশের নদ নদী আর হাওর বাওর থেকে শুরু করে,এমন কোনো এলাকা নেই যা পর্যটকদের দৃষ্টি কেড়ে নেবে না।
অথচ দুর্ভাগ্য হলেও সত্য বাংলাদেশে বিদেশি পর্যটক নেই বললেই চলে।
কোন অবস্থাতেই আমরা বিদেশি পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারছি না। কিন্তু কেন!??
পাহাড় আর সাগর বেষ্টিত কক্সবাজার বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের গর্বিত জনপথ।
প্রকৃতির এই নীল আকাশ রূপালী সাগর আর সবুজ পাহাড়ে ঘেরা সোনালী সৈকতের কেন্দ্র যে সমস্ত মনমুগ্ধকর দৃশ্য যেকোনো মানুষের মন কেড়ে নেবে।
কক্সবাজারের ইতিহাস সম্পর্কে এখানে উল্লেখ না করলেও এইটুকু বলতে হচ্ছে যে, অরণ্য ভূমি, বেলাভূমিতে সবুজ কার্পেটের মতো সৈকত জুড়ে রয়েছে, সবুজ সাগর লতা, যা বিজ্ঞানের ভাষায় সী কোস্টাল।আকাশচুম্বী সারি সারি ঝাউগাছে ঘেড়া ১২০ কিলোমিটার সাগর সৈকত ১২০ কিলোমিটার সাগর সৈকত। পৃথিবীর আর কোন দেশেই এত বড় ও সাগর সৈকত নেই। স্বাধীনতার পর থেকে বিগত সরকার দেশের পর্যটন শিল্পকে লাভজনক শিল্পে পরিণত করতে পারেনি। যদিও শেখ হাসিনা সরকার বেশ কিছু মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
কক্সবাজার সহ শুধুমাত্র দক্ষিণ বাংলার পর্যটন শিল্পকে বিস্তার ঘটিয়ে বিদেশী ভ্রমণ পিপাষু পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে, বাংলাদেশের একমাত্র আয়ের উৎস হতে পারে পর্যটন খাত।অথচ দূর্ভাগ্য হলেও সত্য,একটি অশুভ দৃষ্টি রয়েছে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের ওপর।
এবার আসি পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকতে।সাগর কন্যা নামে খ্যাত এই সৈকত। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের দৃষ্টি কেড়ে নেয়ার মতো দর্শনীয় স্থান বরগুনা-বাগেরহাট,সাতক্ষীরার সাগর সৈকত আর সুন্দরবন বেশিষ্ট্য উপভোগ করার মতো নানা স্থান।
তবে দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের হেলা ফেলার কারণে অপূর্ব এই স্থানগুলো রয়েছে চরম অবহেলায়।
দুর্গম যোগাযোগ ব্যবস্থা উপেক্ষা করে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেশীয় পর্যটকরা ভ্রমণ করছেন,সোনার চর সমুদ্র সৈকত।
পটুয়াখালী জেলা সদর থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে এই সোনার চর।
কক্সবাজার জেলার শৈবালের দ্বীপ কোনো অংশেক কম নয় সাগর সৈক সোনারচর।
প্রায় ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সৈকতে আকর্ষণীয় অসংখ্য দৃশ্যের মধ্যে লাল কাঁকড়ার বিচরণ আপনার মনকে আনন্দে ভরিয়ে দেবে।যেতে যেতে পাবেন মায়াবি দ্বীপচর তাপসী। তাপসী থেকে অল্প দূরে সোনার চর। বঙ্গোপ সাগরের বুকে।
সাগরকন্যা কুয়াকাটা থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে প্রায় ১০ বর্গ কিলোমিটার।সম্ভাবনাময় ভ্রমণ পিপাসুদের আরো একটি স্থান চর বিজয়।সেখানে নানা পাখির কিচির মিচির শব্দ আর লাল কাকড়া ছুটাছুটি। এমন অসংখ্য স্পষ্ট রয়েছে ভ্রমণ পিপাষুদের দর্শকদের জন্য।
পর্যটন শিল্প নিয়ে গবেষণা করছেন,সাগর কন্যা কুয়াকাটার সাংবাদিক নাসির উদ্দিন বিপ্লব এবং কক্সবাজারের সাংবাদিক এম.এ.হাসিব বাদল,পার্বত্য অঞ্চলের রাজধানী খ্যাত রাঙামাটি শহরের অভিজাত হোটেল,সুফিয়া ইন্টারন্যাশনালের সত্তাধিকারী সাইফুল ইসলাম বলেন,অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আমাদের পর্যটন শিল্প বিশ্বের পর্যটকদের দৃষ্টি কেড়ে নেবে বলে আশা রাখি।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..