1. press.sumon@gmail.com : banglamailnews : Zakir Khan
বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০৫:৩৯ অপরাহ্ন

আমার দেখা থাইল্যান্ডের আগের আর করোনাকালীন চনবুরি পাতায়াঃ – – – ডক্টর_মোহাম্মদ_আলমগীর_আলম

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০২২
  • ১৫৮ বার
এই লেখাটি যখন লিখছি তখনও পৃথিবীজুড়ে করোনার তান্ডব চলছে। তবে থাইল্যান্ডের পাতায়ায় যেহেতু লেখাটি লেখার আগে অসংখ্যবার সরাসরি ব্যাংককের সুবর্ণভুমি ও ডনমুয়াং এয়ারপোর্ট থেকে পাতায়া যাওয়া হয়েছে তাই এই লেখাটি লেখার সময়কালীন করোনাবিধ্বস্থ পাতায়ার বর্ণনার ফাঁকে ফাঁকে ফ্ল্যাশব্যাকে আমাদের আগেকার ভ্রমণের বর্ণনাও স্থান পাবে।
পাতায়া থাইল্যান্ডের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন নগরী। এটি রাজধানী ব্যাংকক থেকে ১৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত সমুদ্রবেষ্টিত একটি শহর। সুবর্ণবুমি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এই শহরের দূরত্ব ১২২ কিলোমিটার আর ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দূরত্ব ১৬২ কিলোমিটার। আমরা করোনা পরিস্থিতির আগে অর্ধশতাধিকবার এই দুটো বিমানবন্দর থেকে সরাসরি এভিস কোম্পানি থেকে অনলাইনে আগে থেকে বুকিং দেওয়া গাড়িতে নিজে ড্রাইভ করে পাতায়া গিয়েছি এবং জিপিএস ম্যাপে বা গুগল ম্যাপে কিংবা অফলাইন জিপিএস ম্যাপ হিয়ার উই গো এর মাধ্যমে চষে বেড়িয়েছি চনবুরির পাতায়াসহ পুরো প্রোভিন্স। এছাড়া আশেপাশের যতগুলো প্রোভিন্স আছে সেগুলোও ঘুরেছি বারবার। বিশেষ করে, চান্টাবুরি, রায়ং আর ত্রাতের মাইলের পর মাইল মেরিন ড্রাইভ রোডের সৌন্দর্য ভোলার নয়।
আমরা যে সময়ের গল্প দিয়ে শুরু করছি সে সময়টায় পুরো বিশ্বে শুরু হয়ে গেছে অমিক্রম নামে করোনার নতুন থাবা আর করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর পর তৃতীয় ঢেউয়ের ঢাক্কায় কাঁপছে পুরো বিশ্ব। করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়ার মতো আর সব আসিয়ান দেশগুলোর মতো থাইল্যান্ডের ভিসাও বন্ধ ছিল অনেকদিন। এরপর চৌদ্দ দিন কোরাইন্টিন, পরবর্তীতে সাত দিন কোরাইন্টিন এরপর আমরা যখন যাত্রা করি ২০২১ সালের ২৪শে ডিসেম্বরে তখন শুরু হয় টেস্ট এন্ড গো, স্যান্ডবক্স আর হ্যাপি কোরাইন্টিন এই তিন ধরনের প্যাকেজ। এরপর আবার কোরাইন্টিন ছাড়া আর সব প্যাকেজ বন্ধ করে দেয়। থাইল্যান্ড সরকার করোনা পরিস্থিতির হ্রাস-বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে ঘন ঘন পর্যটন নীতি পরিবর্তন করেছে এবং খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে তা কার্যকর করেছে। বাংলাদেশ যেহেতু স্যান্ডবক্স স্কিমের আওতায় পড়েছে তাই আমরা থাইল্যান্ডের ভিসা হওয়ার পর প্রথমে নিয়মানুযায়ী জনপ্রতি পঞ্চাশ হাজার ডলারের কোভিড ইন্স্যুরেন্স কিনে ইন্টারকন্টিনেন্টাল পাতায়া হোটেলের কাছ হতে সাত দিনের রুমের ভাড়ার সাথে সুবর্ণভুমি এয়ারপোর্ট হতে গাড়িতে হাসপাতাল হয়ে হোটেলে নিয়ে যাওয়া ও চার জনের করোনা টেস্টের প্যাকেজ কিনি। যাওয়ার আগে ল্যাব এইড থেকে করোনা টেস্ট করে গেলেও এয়ারপোর্টে গিয়ে আলাদা একটা কোরাইন্টিন/স্যান্ডবক্স ফর্ম পূরণ করে হেলথ ডেক্স হয়ে ইমিগ্রেশন অতিক্রম করতেই হোটেলের গাড়ি আমাদের দুই ঘন্টা গাড়ি চালিয়ে নিয়ে যায় পাতায়াতে অবস্থিত ব্যাংকক হাসপাতাল পাতায়ায় করোনার টেস্ট করাতে। এরপর হোটেলে টেস্ট রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত এক ধরনের নজরবন্দি থাকি। দশ-বারো ঘন্টা পরে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট আসলে তবেই হোটেলের কক্ষ থেকে বের হতে অনুমতি পাই। যদিও এর আগে প্রতিবারই এয়ারপোর্ট থেকে নিজেই গাড়ি চালিয়ে পাতায়ার হোটেলে আসতাম এবার করোনার রিপোর্ট আসার সাথে সাথে পাতায়া শহরের গাড়ি ভাড়ার একটা কোম্পানি থেকে আগে থেকে নয়দিনের জন্য বুকিং দেওয়া গাড়িটা নেওয়ার জন্য ছুটে যাই। গাড়ি নিয়ে এরপর বেড়িয়ে পড়ি থাইল্যান্ডের পুরো পূর্বাঞ্চল ঘুরব বলে।
গাড়ি নিয়ে আমরা প্রথমে গেলাম পাতায়া বীচে। এটি তিন কিলোমিটার দীর্ঘ। সেকেন্ড রোড দিয়ে গাড়ি চালিয়ে চলে গেলাম পাতায়া বীচের শুরুর প্রান্তে, এরপর পাতায়া বীচের মেরিন ড্রাইভ রোড ধরে এগোতে এগোতে প্রচন্ড হতাশা আর কষ্টের সাথে দেখতে লাগলাম করোনার করাল গ্রাসে মরুভূমির শূন্যতায় ভরা পাতায়া বীচকে। যে পাতায়া বীচের একপাশে ছিল সারি সারি রকমারি দোকানের পসার আর ফুটপাতে বাহারী পণ্যের ডালা মেলে বসা শত শত হকার, সেই পাতায়া বীচ যেন একেবারে শূন্যাতার হাহাকারে ভরা। অনেকগুলো ম্যাকডোলাডস, সেভেন ইলেভেন, উদম এগ, ফিনডিগ, বিগ সি, টেস্কো সুপার শপ, চেইন হোটেল, রেস্টুরেন্ট, মানি এক্সচেঞ্জ শপ আর বার বন্ধ হয়ে গেছে। হাজার দেহপসারীনিদের জন্য যে পাতায়া পৃথিবীর কাছে পরিচিত পাপের শহর হিসেবে তাদেরও সংখ্যা বহুলাংশে কমে গেছে, যেভাবে সাংঘাতিকভাবে কমেছে আন্তর্জাতিক ট্যুরিস্টদের সংখ্যাও। আমরা পাতায়া বীচে হাজার হাজার খালি চেয়ারের সাথে শত শত স্পিড বোট, জেট স্কি বা ওয়াটার বাইক পড়ে থাকতে দেখলাম। অথচ এই চেয়ারগুলোয় বসার লোকের অভাব ছিল না আর ওয়াটার বাইকের ঢেউ কাঁপাতো পুরো আন্দামান সাগরের পাড়ের এই পাতায়া বীচ। আমরা গাড়ি চালিয়ে এগুতে এগুতে কয়েকটা ওয়াটার বাইক ভাড়া দেওয়ার টিম দেখলাম যাদের হাতে আমি এর আগে কয়েকবার প্রতারিত হয়েছিলাম। ব্যাপারটা খুলেই বলি। আমরা তখন পাতায়া বীচের পাশের পাতায়া ম্যারিয়টে উঠতাম আর পাশের বীচে ওয়াটার বাইক ভাড়া করতাম। ওয়াটার বাইক ভাড়া করার সময় আমাকে বসিয়ে ওরা চারদিক থেকে বিভিন্ন এঙ্গেলে ছবি তুলত যাতে বাইকটা ফেরত দেওয়ার সময় কোন ক্ষতি হলে ওরা ধরতে পারে। একবার আমি বাইক নিয়ে সাগরে জলকেলি শেষ করে এসে বাইক জমা দেওয়ার সময় ওরা দেখালো বাইকে স্টিকার নাই। সাথে সাথে পুলিশ ডাকলো। ওদের ভাড়া করা পুলিশ এসে বললো ওদের দাবি করা দশ হাজার বাথ না দিলে ধরে নিয়ে যাবে। অনেক কষ্টে বুঝিয়ে তিন হাজার বাথ দিয়ে সে যাত্রায় পুলিশের হাত থেকে বেঁচেছি। তবে এই সব উটকো ঝামেলার কারণে সেবার ফ্লাইট মিস করে অনেক টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিলাম। এরপরেরবার আমার পারিবারিক বন্ধু বসুন্ধরা গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক তৌহিদকে নিয়ে নামলাম আন্দামান সাগরে। দুই বন্ধু ঘন্টা খানেক ধরে আন্দামান সাগরে ওয়াটার বাইক চালালাম, একসাথে অনেক মজাও করলাম। এরপর বাইক ফেরত দিতে এসে দেখি আগের একই অবস্থা। ওরা দেখালো নেমপ্লেটের স্টিকার নেই। সাগরে ঢেউয়ের ঢাক্কায় কোথাও হারিয়ে গেছে। আমার বুঝতে বাকি রইল না এবারও প্রতারণার ক্ষপ্পরে পড়েছি। ভালো করে বাকি স্টিকারগুলো খেয়াল করে দেখলাম ওরা ইচ্ছে করে স্ক্রু আলগা করে রেখেছে যাতে ঢেউয়ের ঢাক্কায় স্টিকার সাগরের পানিতে পড়ে যায়। ওরা বারবার জোর করলো আমরা যাতে ফেরত দেওয়া স্টিকারছাড়া বাইকে বসে ছবি তুলি। আমরা বুঝতে পারলাম এই ছবি ওরা তুলে সাক্ষ্য হিসেবে রাখবে আর এরপর ওদের ভাড়া করা পুলিশ ডাকবে যাতে আমাদের মতো টুরিস্টদের ডেকে ভয় দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিতে পারে। আমি তৌহিদকে আর ওর স্ত্রীকে আগের অভিজ্ঞতা বাংলায় বুঝিয়ে বলে ওদের চেয়ার ছেড়ে হোটেলের দিকে দ্রুত ছুটতে বললাম। ওরা কিছুদূর গেলে আমি আর তৌহিদ ওয়াটার বাইক ফেলে দিলাম দৌড়। আমরা ছুটছি আর ওরা আমাদের তাড়া করছে। সৌভাগ্যক্রমে ওরা আমাদের ধরে ফেলার আগেই আমরা পাতায়া ম্যারিয়ট হোটেলের রিসেপশনে পৌঁছে গেলাম। আমরা হোটেলের জিএমকে প্রতারণার বিষয়টা বুঝিয়ে বললাম। তিনি এই বিষয়ে আগেও অনেকের অভিযোগ পেয়েছেন বলে জানালেন আর প্রতিশ্রুতি দিলেন আমাদের সহযোগিতা করবেন। এরপর ওয়াটার বাইকের লোকজন হোটেলে ওদের সাজানো পুলিশ নিয়ে আসলো। জিএম ওদের বললেন যেহেতু স্টিকার হারানোর পরের অবস্থার আমাদের বাইকে বসা কোন ছবি ওরা দেখাতে পারছে না তাই ওদের দাবি অগ্রহণযোগ্য। আমাদের ফেরার ফ্লাইট থাকায় হোটেল কর্তৃপক্ষ এস্কর্ট দিয়ে আমাদের এয়ারপোর্টে যথাসময়ে ফিরতে সহায়তা করে। আরেকবার আমি এক ঘন্টার জন্য ওয়াটার বাইক ভাড়া করলেও বাইকে তেল পর্যাপ্ত না ভরে আমাকে বাইক দেওয়া হয়। আধঘন্টা ওয়াটার বাইক চালানোর পর মাঝসমুদ্রে তেল ফুরিয়ে যাওয়ায় আমি অলস বাইকের উপর বসে বৃথাই চিৎকার করেছি। পরে এক ঘন্টা পর আরেকটি বাইক দিয়ে আমার অচল বাইক দড়ি দিয়ে বেঁধে আমাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়। এসব অভিজ্ঞতার পর থেকে বাইকে চড়ার স্বাদ মিটে গেছে চিরতরে। তাই এবার যখন ঐ প্রতারক বাইকের মালিকদের অসহায় অবস্থায় অলস বসে থাকতে দেখলাম তখন তাদের জন্য একটুও মায়া হলো না। আমরা পাতায়া বীচ কয়েকবার গাড়িতে চক্কর দিয়ে গেলাম নিকটবর্তী জমথিয়ান বীচে।
জমথিয়ান বীচে যাওয়ার পথে ওয়াকিং স্ট্রিট আর পাতায়া জেটি অতিক্রম করলাম। সারি সারি স্পিডবোট, প্রাইভেট বোট আর জেটস্কি পড়ে আছে অলস অবস্থায়। কো লার্ন দ্বীপে যাওয়ার লঞ্চ গুলোও সারি সারি নোঙ্গর করা জেটির সাথে কিংবা অদূরে। পাতায়া জেটি থেকে অর্ধশতাধিকবার লঞ্চে গিয়েছি কো লার্ন দ্বীপে। কো লার্ন দ্বীপের এক প্রান্তে মানকি বীচ আর নুয়াল বীচ, এক প্রান্তে কো লার্ন বীচ, আরেক প্রান্তে তায়েন বীচ আর অন্য প্রান্তে তিয়েন আর সামে বীচ। মাঝখানের পুরোটাই সুউচ্চ পাহাড় আর উঁচু নিচু পাহাড়ি রাস্তা। পাতায়া জেটি থেকে কো লার্নের মূলত দুটো জেটিতে যাত্রীবাহী লঞ্চ ভেড়ে- কো লার্ন জেটি আর তায়েন বীচের জেটি। যাত্রাপথ আধঘন্টার হলেও লঞ্চ ছাড়তে সময় নেয় আরও আধ ঘন্টা থেকে এক ঘন্টা, যা কিছুটা বিরক্তিকরই বটে। দৈনিক ফেরির সংখ্যা কম হলেও তায়েন জেটির ফেরিতে উঠাই সবচেয়ে ভালো কারণ তায়েন জেটির সাথেই কো লার্ন দ্বীপের সবচেয়ে সুন্দর জায়গা তায়েন বীচ অবস্থিত। আমরা ভুলক্রমে অনেকবার কো লার্ন জেটিতে উঠে পড়ায় আবার অর্থ ব্যয় করে পাহাড়ি পথ পাড়ি দিয়ে তায়েন বীচে ফিরতে হয়েছে। লঞ্চের এক পথের ভাড়া মাত্র ৪০বাথ অথচ অনেক আনন্দদায়ক আর রোমাঞ্চকর ভ্রমণ। আমার দেখা এটি পৃথিবীর সবচেয়ে কম খরচের সমুদ্রবিহার। তায়েন বীচের দুই পাশের পাহাড় আর মাঝখানের সমুদ্রের মেলবন্ধন অসাধারণ সুন্দর। আর ঢেউয়ের তালে তালে যখন দোল খায় লঞ্চ তখন ভ্রমণটা অনেক উপভোগের মনে হয়। তবে অনেকেই লঞ্চের অপেক্ষার বিরক্তিতে ভাড়া করা স্পিডবোট বেছে নেন। কিন্তু মাত্র দশ বারো মিনিটে শেষ হয়ে যাওয়ায় স্পিডবোটে কো লার্ন ভ্রমণ অনেকটা শেষ হয়েও হইলো না শেষ – এর মতো। করোনার প্রকোপের কারণে আমরা পাতায়া জেটিতে কো লার্নে যাওয়ার কোন ফেরি বা লঞ্চ দেখতে পাই নি এবার। তাই পথ ধরলাম জমথিয়ান বীচের দিকে।
পাতায়া বীচ থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার গাড়ি চালিয়ে আমরা গেলাম জমথিয়ান বীচে। প্রায় ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ জমথিয়ান বীচের পাশের মেরিন ড্রাইভ সড়কটি উভমুখী, পাতায়া বীচের পাশের একমুখী মেরিন ড্রাইভ সড়কটিতে যেভাবে মারাত্মক ট্রাফিক জ্যাম থাকে এখানে ঠিক তার উল্টো চিত্র। টানা ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কের একপাশে হোটেল, রেস্টুরেন্ট আর শত শত দোকানের সারি আর অন্যদিকে দিগন্তবিস্তৃত জলরাশির সমুদ্র সৈকত। পাতায়া বীচের মতো এখানে আন্তর্জাতিক চেইন হোটেলের আধিক্য নেই বললেই চলে। তাই পর্যটকদের ভীড় এখানে সুবিস্তীর্ণ জায়গার তুলনায় সবসময় কিছুটা কমই থাকে। কিন্তু এবার গিয়ে যেভাবে শূন্যতা দেখেছি তা আসলেই কষ্টদায়ক। তবে জমথিয়ান বীচে যেহেতু উভমুখী গাড়ি চলাচল করে তাই এমাথা থেকে ওমাথা গাড়ি চালিয়ে পুরো সময়টাই সমুদ্র উপভোগ করা যায়। এবার কিছু কিছু জায়গায় সমুদ্র থেকে বালি সাগরের পাড়ে ভরে বীচ সম্প্রসারণের কাজ চলছিল, কিছু জায়গায় ইতিমধ্যেই বীচ সম্প্রসারণ করা হয়ে গেছে। আমরা কয়েকবার জমথিয়ান বীচে চক্কর দিয়ে বীচসংলগ্ন রেস্টুরেন্টে সী ফুড খেয়ে রাতে হোটেলে ফিরে এলাম।
(চলবে)

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..