1. banglamailnews72@gmail.com : banglamailnews : Zakir Khan
রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ০৭:৫২ পূর্বাহ্ন

গুণগত মান ও সেবার লক্ষেই কাজ করে যাচ্ছে জামান এলিভেটর ### মতিয়ার রহমান

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ১০২০ বার
বহুতল ভবনে লিফট বা এলিভেটর থাকবে না, এই সময়ে এটা প্রায় অকল্পনীয়। দ্রুত গতিতে ওঠা-নামা করার জন্য লিফটের বিকল্প নেই। যুগ যত এগোচ্ছে মানুষ তো আকাশ ছুঁতে চেষ্টা করছে। একের পর এক গগণচুম্বি অট্টালিকা তৈরি হচ্ছে বিশ্বের বহু জায়গায়। বিশ্বে গত দশ বছরে বহুতলের সংখ্যা রেকর্ড ছাড়িয়েছে। বহুতল যত বাড়ছে লিফট বা এলিভেটর প্রযুক্তি তত উন্নত হচ্ছে। বাংলাদেশও এই ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে।  আর এই এগিয়ে নেয়ার জন্য যে প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করে  যাচ্ছেন জামান এলিভেটর অন্যতম।  যার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান  ইঞ্জিনিয়ার এম আরিফুজ্জামান। লিফট বা এলিভেটর সেবায়  কাজ করে যাচ্ছেন । বয়সে তরুণ, একজন সৎ,মেধাবী ও পরিশ্রমী মানুষ। আর এর উপর নির্ভর করেই তিনি যাত্রা শুরু করেন জামান এলিভেটরের।  ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া শেষ করে চাকুরী করা অবস্থায় উদ্যোক্তা হওয়ার মনছবি স্থির করেন। বর্তমানে তিনি সফল উদ্যোক্তা। আর যেকোনো সফলতার পেছনেই থাকে কষ্ট ও সংগ্রাম। সফল এই উদ্যোক্তার শুরুর গল্পটাও তেমনি কষ্ট ও সংগ্রামের। শুরু করেছিলেন ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা নিয়ে, যা ছিল চাকুরী করা অবস্থায় কিছু কিছু করে সঞ্চয়ের। এলিভেটর সম্পর্কে জেনে শুনেই নেমেছেন এই ব্যবসায়। তিনি বিশ্বাস করেন, সৎ ও পরিশ্রমী হলেই যে কোনো কাজে সফলতা আসবেই। বাংলামেইলনিউজডটকমের সাথে আলাপচারিতায় এসব কথা বলেন ইঞ্জিনিয়ার এম আরিফুজ্জামান। তিনি আরও বলেন , আমাদের প্রধান লক্ষ্য হলো গুণগত মান ও সেবা। আর সে লক্ষেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ২০০৭ সালে উদ্যোক্তা হওয়ার মনছবি,এরপর ২০১০ সালে ইঞ্জিনিয়ার এম আরিফুজ্জামান প্রতিষ্ঠা করেন জামান এলিভেটর। আমদানি করা হয় চীন তুরস্ক সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে।  বর্তমানে প্রায় ২৫০ এর অধিক কাস্টমার রয়েছে তাদের । প্রতিষ্ঠার শুরুতে তিনি নিজেই ভবনমালিকদের দ্বারে দ্বারে গিয়েছেন, লিফটের সুযোগ-সুবিধা ও নিরাপত্তার বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। হয়েছেন সফল, শুরু হলো লিফট বিক্রি আর এভাবেই আজকে ২৫০ এর অধিক কাস্টমার। গুণগত মান ও সঠিক সেবার কারণেই যা সম্ভব হয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন লিফট বিক্রি করছে জামান এলিভেটর। এর ডিজাইন এবং স্থাপনে দক্ষ প্রকৌশলীরা কাজ করছেন। দেশের বিভিন্ন ভবনে ব্যবহৃত হচ্ছে তাদের লিফট। সুনামের সাথে ক্রেতাদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তারা। জামান এলিভেটরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিপন হেনরী, বয়সে তরুণ, একজন দক্ষ ও পরিশ্রমী মানুষ। নানান প্রতিভা ও গুনের অধিকারী। দেশ-বিদেশের সব ভাষাই  তিনি বলতে পারেন। দীর্ঘ সময় সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত ছিলেন। কাজ করেছেন বিভিন্ন লিফট কোম্পানিতেও। জামান এলিভেটরকে দেশের কল্যানে আরও সফল ও সামনের দিকে এগিয়ে নিতে চান।  তিনি বলেন, জামান লিফট বিক্রির দিক থেকে ক্রেতাদেও কাছ থেকে ভালো সাড়া পাচ্ছেন তারা। কারণ জামান এলিভেটর কেনায় রয়েছে বিশেষ সুবিধা। এলিভেটরের এই সুবিধা আমরা সবসময় ক্রেতাদের দিয়ে যাবো। তিনি জানান, ইউরোপিয়ান স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী আমরা বাংলাদেশে এলিভেটর সেবা দিয়ে যাবো। লিফটের মূল্য রাখা হচ্ছে ক্রেতাদের হাতের নাগালে। সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবায় আমাদের রয়েছে নিজস্ব সার্ভিস টিম ও ডেডিকেটেড কাস্টমার কেয়ার। রয়েছে আরও নানান সুবিধা। এলিভেটর কেনার এক বছরের মধ্যে কোনো যন্ত্রাংশে সমস্যা হলে ঠিক করে দেওয়া হচ্ছে সম্পূর্ণ ফ্রিতে। এ ছাড়াও আছে এক বছরের ফ্রি মেইনটেনেন্স সুবিধা। এলিভেটরের যে কোনো সমস্যায় তাৎক্ষণিকভাবে সার্ভিস টিম পৌঁছে যায় গ্রাহকের কাছে। সেবাই  আমাদের প্রধান লক্ষ্য। জামান এলিভেটরের পাশাপাশি ইঞ্জিনিয়ার এম আরিফুজ্জামান তার নিজস্ব অর্থায়নে জামান ফাউন্ডেশন গড়ে তুলেছেন। এর মাধ্যমে সামাজিক উন্নয়নে কাজ করছেন প্রতিনিয়ত। বন্যায় যাদের ঘর ভেঙ্গেছে তাদের ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন, এলাকা ভিত্তিক বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান করেছেন এবং এই করোনাকালে খাদ্য, নগদ অর্থ দিয়ে অসহায়দের পাশে অকাতরে কাজ করছেন । তিনি গড়ে তুলেছেন  শিক্ষা মূলক কারিগরি প্রতিষ্ঠান জামান টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার।  যেখানে বিনামূল্যে লিফটের উপর ট্রেনিং করানো হয়। যারা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে পাশ করে বেকার অবস্থায় রয়েছেন তাদেরকে বিনামূল্যে ট্রেনিং দিয়ে বিভিন্ন কোম্পানিতে চাকুরির ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন এবং তা চলমান রয়েছে। তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন ভ্রাম্যমাণ কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যারা ৫ম থেকে ৭ম শ্রেণিতে পড়ালেখা করেছে তাদেরকে ফ্রী ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তুলাই ভ্রাম্যমাণ কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য। বিভিন্ন স্কুলে যায় ভ্রাম্যমাণ কারিগরি প্রতিষ্ঠানের গাড়ি এবং ফ্রী ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়। বিশেষ করে এস, এস, সি তে যারা ফেল করেছে তাদের ডাটা সংগ্রহ করে তাদেরকে ফ্রী ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে ভ্রাম্যমাণ কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। যারা নবীন ও শিশু, তাদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই ভ্রাম্যমাণ কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলেছেন ইঞ্জিনিয়ার এম আরিফুজ্জামান। তার স্বপ্ন জামান কারিগরি ইনিস্টিউট গড়ে তুলা। তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য ইঞ্জিনিয়ার এম আরিফুজ্জামানের পরামর্শ, প্রথমে লক্ষ্য নির্ধারন করো তারপর সেই অনুযায়ী সততার সাথে আজীবন পরিশ্রম  করে যাও তাহলেই সফল হতে পারবে, ইনশাআল্লাহ।
No description available.

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..