সনদ দিয়েতো কবি হয় না, কবি হলো সামাজিক স্বীকৃতি, এসব সনদ হলো উৎসাহমূলক। এখন এমন সংগঠন আছে যাদের সংগঠনের নামের বানান ভুল আছে, আবার ফেইসবুকে একটা গ্রুপ খুলে বসছে ব্যবসা ও সস্তায় নাম কামানোর জন্য। তারা কবিতা তো লিখতে পারে না, আবার কবিতা বা কবি কাকে বলে তাও জানে না। দুই লাইন লিখলে বানান ৩ টা ভুল থাকে। তারা আবার কবিদের সনদ দেয়। আবার অনেকে মূর্খতার মতো নিজের ছবি কবির সনদের নিচে দিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে নিজের ঢোল নিজে পিটায়। আবার আমাদের কিছু কবিরা সেই সব গ্রুপে কবিতা দিয়ে সনদ কুড়ায়। আপনাকে আগে বুঝা উচিত, আপনার কবিতা যে মূল্যায়ন করবে তার যোগ্যতা কতটুকু? সে যে আপনাকে সনদ দিবে তার লেখার মান কতটুকু? সে যে সনদে আপনার ছবির সাথে নিচে তার ছবি দিয়ে নিজেকে পরোক্ষভাবে প্রচার করছে। এটা কি আপনি বুঝেন না, যে ঐ সকল সংগঠক সনদ ও সাটিফিকেট কখনো দেখেনি। দেখলে এই ভুলটা করতো না। এরা কখনো স্কুল কলেজের সনদ পায় নি তাই এমনটা মূর্খের মতো ভুলটা করছে।
সরকারি বেসরকারি সনদ বা সার্টিফিকেটে কোন প্রতিষ্ঠান প্রধান বা স্বাক্ষরকারী করো ছবি থাকে না, এমন কি চেয়ারম্যান সাটিফিকেটে চেয়ারম্যানের কোন ছবি থাকে না, অথচ সাহিত্য সংগঠন খুলে সনদে নিজের ছবি দিয়ে সবাইকে ফুটানি দেখায়। সবাইকে জানায় ইস্ সে একজন সংগঠনের মালিক। আরে বাবা নিজেকে এতো প্রচার করার দরকার হলে বড় পোস্টার ছাপিয়ে সারা ফেইসবুক পাড়ায় টাঙায়ে দাও। তাহলে তো তোমাকে সবাই চিনবে। তাই বলে সনদের অপমান কেন করবে?
এরকম সনদ প্রদানকারী সংগঠক ও সংগঠনকে প্রত্যাখান করার জন্য সবাইকে আহ্বান করছি। আর সাহিত্য সংগঠনের যারা জ্ঞানী ব্যক্তিবর্গ আছেন, তারা যেন এদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন, এসব মূখ্যতার কাজ যেন না করে।
আমি কখনো কবিতা পোস্ট করে কোন সনদ আশা করি না। তাই আজ এসব সনদ প্রত্যাখান করলাম।
Leave a Reply