1. banglamailnews72@gmail.com : banglamailnews : Zakir Khan
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
# আহারে # খোরশেদ ।। সমাজে নতুন অপরাধী চক্র তৈরী হচ্ছে কিন্তু ভবিষ‍্যতে এদের রক্ষা করবে কে??।। – – – আশিক ফারুকী “অতঃপর” __ সালমা আক্তার বীরাঙ্গনা নই আমি মুক্তিযোদ্ধা – – – শাহনাজ পারভীন মিতা জলপাই রঙের স্বাধীনতা – – – আরিফুল হাসান প্লাস্টিকের উৎপাদন বন্ধ করতে হবে – উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ান হাসান – – – স্বাধীন আজম –   টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি, স্বপ্নমায়া – – – – মাহজাবীন আহমেদ বুড়ি মরে গেল – – – মোঃ আবদুল্লাহ ইউসুফ ইমাম প্রযুক্তির দুনিয়ায় শিক্ষার্থীদের এখন উন্নত জীবন গড়ার দারুণ সময়:– ————–টিপু সুলতান লেখক ও সমাজ চিন্তক ডায়াবেটিস নিয়ে সচেতনতাই পারে ডায়াবেটিস রোগ নির্নয় ও রোগের চিকিৎসা এবং সঠিক ব্যবস্থাপনা – – – ডা: সাদিয়া আফরিন 

প্রযুক্তি খাতের উদ্যোক্তাদের জন্য ৫০০ কোটি টাকার তহবিল

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৩০ মার্চ, ২০২১
  • ৩৮৭ বার
নতুন ও উদ্ভাবনী উদ্যোগে ঋণ দিতে ৫০০ কোটি টাকার একটি পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তহবিলের আওতায় গ্রাহক পর্যায়ে সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ সুদে ঋণ পাওয়া যাবে। ঋণ দেয়া যাবে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর মেয়াদে।
প্রত্যেক ব্যাংককে এ তহবিলের ঋণের ন্যূনতম ১০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তাকে দিতে হবে।
সোমবার(২৯ মার্চ) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রাম বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত্র একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছে।
সম্পূর্ণ নতুন ও সৃজনশীল উদ্যোগের জন্য ২১ থেকে ৪৫ বছর বয়সী যেকোনো উদ্যোক্তা এ তহবিল থেকে সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা ঋণ নিতে পারবেন।
ঋণখেলাপি কোনো উদ্যোক্তা ঋণ পাবেন না।
প্রকল্পের অগ্রগতি বিবেচনা করে ঋণের সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করতে তিন কিস্তিতে অর্থ বিতরণ করা হবে।
ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ এক বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৪ শতাংশ সুদে তিন ও ছয় মাস মেয়াদি কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে পাঁচ বছরের মধ্যে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকগুলো এ তহবিল থেকে ঋণ বিতরণের পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের আওতায় ঋণ দিতে পারবে।
তবে ২০২২ সালের জানুয়ারি হতে ব্যাংকের নিজস্ব ‘স্টার্ট-আপ’ তহবিলের স্থিতি থেকে আগে ঋণ বিতরণ করতে হবে। নিজস্ব তহবিল শেষ হওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনঃঅর্থায়ন সুবিধার আওতায় ঋণ দেয়া যাবে।
ব্যাংকগুলো ০.৫০ শতাংশ হারে অর্থায়ন নিয়ে এ তহবিল থেকে গ্রাহক পর্যায়ে ঋণ বিতরণ করবে।
পাশাপাশি তফসিলি ব্যাংকগুলোকে পরিচালন মুনাফা থেকে ১ শতাংশ অর্থ নিয়ে নিজস্ব স্টার্টআপ তহবিল করতে হবে।
ব্যাংকগুলোর নিজস্ব তহবিল গঠনে ২০২০ সালের হিসাব থেকে স্টার্টআপ তহবিলে অর্থ স্থানান্তর শুরু করতে হবে। আগামী পাঁচ বছর যা অব্যাহত থাকবে। নিজস্ব স্টার্টআপ তহবিল থেকে বিতরণ করা ঋণের সুদহার ৪ শতাংশের বেশি হবে না।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আবেদনকারী নতুন উদ্যোক্তাকে সরকারি বা যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত বেসরকারি উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান হতে উদ্যোক্তা উন্নয়ন, ব্যবসা পরিচালনা, বাজারজাতকরণ ইত্যাদি বিষয়ে অথবা অন্যান্য কারিগরি বিষয়ে (পণ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, যন্ত্রপাতি মেরামত ইত্যাদি) সাফল্যজনকভাবে প্রশিক্ষণ গ্রহণের সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
প্রাতিষ্ঠানিক কারিগরি শিক্ষা না থাকলে উদ্যোক্তার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যথাযথ বাস্তবভিত্তিক জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও নতুন উদ্যোগ পরিচালনার সক্ষমতা থাকতে হবে।
ঋণ বা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত গ্যারান্টি অথবা শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ অথবা কারিগরি প্রশিক্ষণের সনদকে জামানত হিসেবে বিবেচনা করা যাবে।
ব্যক্তিগত গ্যারান্টি বলতে ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠান ও ঋণগ্রহীতার মধ্যে সম্পাদিত চুক্তির আওতায় গৃহীত ঋণের আদায় সুরক্ষার লক্ষ্যে উভয়পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য কোনো ব্যক্তির অঙ্গীকারনামাকে বুঝাবে। তবে, দুইজনের বেশি ব্যক্তিগত গ্যারান্টিকে বাধ্যতামূলক করা যাবে না।
ডিগ্রিধারী উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রে তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতার মূল সনদ অথবা কারিগরি প্রশিক্ষণের মূল সনদ জামানত হিসেবে ব্যাংকে জমা রাখতে হবে।
স্টার্ট-আপ তহবিলের মেয়াদ হবে পাঁচ বছর। প্রয়োজনে আরও বৃদ্ধি করা হবে।
সব তফসিলি ব্যাংক এ তহবিল হতে পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা পাবে। প্রজ্ঞাপন জারির দিন হতে এ সুবিধা পাবে উদ্যোক্তারা।
এ তহবিল থেকে একজন উদ্যোক্তা যেকোনো একটি উদ্যোগে একবারের বেশি ঋণ নিতে পারবেন না।
মাসিক বা ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে উদ্যোক্তা ঋণ পরিশোধ করতে পারবেন।
তবে যথাসময়ে ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে তা বিদ্যমান নিয়মে খেলাপি হবে।
উদ্যোক্তা খেলাপি হলেও ব্যাংকগুলোকে প্রভিশন রাখতে হবে কম। যেমন সাব-স্ট্যান্ডার্ড ঋণের বিপরীতে রাখতে হবে ৫ শতাংশ। সাধারণভাবে যেখানে ২০ শতাংশ রাখতে হয়।
সন্দেহজনক মানে শ্রেণিকৃত ঋণের বিপরীতে ৫০ শতাংশের পরিবর্তে ২০ শতাংশ রাখতে হবে।
এ ছাড়া ক্ষতিজনক মানে শ্রেণিকৃত ঋণের বিপরীতে শতভাগের পরিবর্তে ৩০ শতাংশ রাখতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..