এখন প্রতিদিন ঐ জায়গা টায় গিয়ে দাড়াই।
তুই যেখানে দাড়াতি।
ঠিক ঐ জায়গাটায় তাকিয়ে থাকি,যেখানে তুই তাকাতি।
কত বছর হয়ে গেল,তবুও বোঝার চেষ্টা করছি কেন তুই আমার প্রেমেই পরলি না!
দোতালার বারান্দায় চোখ পড়ল,ওখানেই রকিং চেয়ারটা ছিল।আমার তখন বড্ড মাথা ব্যথা করত,পড়তে পারতাম না।তবুও চশমা লাগিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা তোর বারান্দার দিকে তাকিয়ে থাকতাম।
ব্যপারটা আমার অধিকারের পর্যায়ে ছিল যেন।
বিশ্বাস কর,একটুও পছন্দ করতাম না তোকে,পারলে গলা চেপে ধরি এতটা অপছন্দ করতাম।
স্পর্শা যখন বলত তুই আমাকে পছন্দ করিস তখন খুব রাগ লাগত।
যখনি ছাদে যেতাম,তাকিয়ে থাকতি।কি যেন বলতে চাইতি।স্পর্শা বলত আমার জন্য দাড়িয়ে আছিস।
রাগ হত,আবার কেমন যেন ভালো ও লাগত।
হাসি পেত ভেবে যে কেমন অধর্য হচ্ছিস আমার জন্য।
এত অপছন্দের ছিলি তাও কেন অধিকার খাটিয়ে চাশমিশ ডাকতাম?!
যেদিন বাসা বদলাব,সারাদিন বারান্দায় বসে ছিলাম।
তুই আসলি না।
সকালে যাওয়ার কথা ছিল ,আমি তা বিকাল করলাম।
বাবা গাড়ি ডাকতে গেল,আমি নিচে গিয়ে দারালাম স্পর্শা ও ছিল সাথে।গাড়ি আসল,একবার তাকালাম তোর বারান্দার দিকে এরপর গাড়িতে উঠে গেলাম।
সকাল থেকেই গুড়িগুড়ি বৃষ্টি পড়ছিল।হঠাৎ আকাশ ভেঙ্গে পড়া শুরু করল।
দুরে কোথাও বাজঁ পড়ায় হঠাৎ সৎবিদ ফিরে আসতেই টের পেলাম গাল ভিজে গেছে চোখের পানিতে।
কেন কাঁদছি?
স্পর্শা তো বলেছে তুই আমাকেই ভালোবাসিস,তাহলে কেন আজ বারান্দায় আসলি না?
অভিমানেই কাঁদছি হয়ত।
কিন্তু আমিতো তোকে বড্ড অপছন্দ করি!
এসব ভাবতে ভাবতে নতুন বাসায় পৌছে গেছি।
চোখের পানি বন্ধ হয়ে গেছে,বৃষ্টি ও।
এ জাতীয় আরো খবর..
Leave a Reply