1. banglamailnews72@gmail.com : banglamailnews : Zakir Khan
সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেছেন, উন্নত জাতি গঠনে নতুন নতুন জ্ঞানের প্রয়োজন। আর বই হলো জ্ঞানের আধার স্মরণ – যদি কিছু মনে না করেন – খ্যাতিমান ব্যক্তিত্ব ফজলে লোহানী —– মেসবা খান ————– হামদর্দ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভা অনুষ্ঠিত… ——————————- লেখক শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় – – – “নেশার কাজল চোখে দিয়েছি, ঘুরিয়ে আঁচল আমায় বেঁধেছি আমার মনের ময়না তাকে এমনই ধরা যায়না ও ভালবাসতে শিখেছি হায় রে হায় রে হায়… “ #এভাবে_ই_হারিয়ে_যাই # খোরশেদ জহির খান এর নাটক “যে স্বপ্ন ভালোবাসি না” আমার ছোট ভাই মোঃ রকিব হাসান খান ২য় কন্যা সন্তানের বাবা হয়েছে “এ খালেক ফাউন্ডেশন” দেশ ও মানুষের কল্যাণে যথাসাধ্য প্রচেষ্টায়…………… মৃন্ময়ীর খোঁজে – – – – নাহিদ সোলতানা নিপা ভালোবাসার বাঁধন – – – – জি জে আফরোজ

##রাস আল খাইমাহ( আমিরাতের একটি প্রদেশ) ### কাওসারি জাহান

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৭ মার্চ, ২০২১
  • ৬৯৮ বার
সংযুক্ত আরব আমিরাত বলতেই আমাদের চোখের সামনে যে দেশ গুলো ভেসে উঠে তা হল ডুবাই, আবুধাবি, ওমান। কিন্তু এ দেশ গুলোর একদম উত্তরে একটি চমৎকার দেশ আছে, যা আমাদের অনেকের কাছেই বেশ অজানা। সেটি হল রাস আল খাইমাহ।
দেশটির মনোরম জলবায়ু আর মনোমুগ্ধকর প্রকৃতি যে কোন মানুষের মনকেই নাড়া দিবে। এটির আয়তন প্রায়ই ২ হাজার কিলোমিটার আর এখানে প্রায়ই ৩০০.০০০ লোকের বসবাস। যার অধিকাংশ আরব। দেশটির একদম কেন্দ্রে একটি উপসাগর রয়েছে যা এটিকে দুইভাগে বিভক্ত করেছে।
চার হাজার বছর আগে উম্মে আল নর সংস্কৃতির প্রতিনিধিরা এই অঞ্চলটিতে কৃষিক্ষেত্র ও পশুপালন বাড়ানোর জন্য হালকা বসবাস শুধু করেন। এ জমিতে সংগৃহিত পণ্য গুলো প্রায়শই ব্যাবিলনের কাছে বিক্রি হত। এ ভূখণ্ডে কয়েক দশক শতাব্দী পর আর্মেনিয়রা জুলফারে রাজধানী নিয়ে আরব খিলাফত গঠন করেছিল, যা ছিল রাস আল খাইমাহ। অষ্টাদশ শতাব্দীতে শুরু থেকেই জলদস্যুর কারণে আমিরাতের বিকাশ ঘটে, তবে ১০০ বছর পর তুর্কীর কাছ থেকে গ্রেট ব্রিটেনের সাথে সুরক্ষার চুক্তির বিনিময়ে এর বাসিন্দারা এ ধরনের কার্যক্রম ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। রাস আল খাইমাহ এর আধুনিক ইতিহাস বিশ শতকের গোড়ার দিকে শুরু হয়েছিল, ১৯০৯ এর শারজাহ থেকে এর স্বাধীনতা ঘোষণার মধ্য দিয়ে। আমিরাত ১৯৭২ সাল পর্যন্ত এই অবস্থান বজায় রেখেছিল, যখন এর শেখ সংযুক্ত আরব আমিরাতে যোগ দিতে রাজি হয়েছিল। এরপর থেকে আজ অবধি রাস আল খাইমাহ এই দেশে যোগদানের সর্বশেষ আমিরাত।
এটি আরব আমিরাতের অন্যান্য অংশ থেকে বেশ আলাদা। এখানে খুব ছোট ছোট বসতি ও সাধারণ ঘরবাড়ি রয়েছে। শহরে তেমন কোন গণ পরিবহন নেই।আমিরাতের অভ্যন্তরে সমস্ত চলাচল হয় ট্যাক্সি বা পায়ে হেঁটে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের আশেপাশের অঞ্চলগুলোতে বাস বা বিমানের মাধ্যমে পৌঁছানো যায়। বিমানবন্দরটি শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে।
এখানে প্রায় ৩০ টি হোটেল রয়েছে যার বেশিরভাগ ফাইভ স্টার। এখানে পুরো জায়গাটি খুব সুন্দর। ঠিক যেন ছবির মতো। এটি একটি প্রাচীনতম জায়গা, যেখানে হাজারো বছরের বেশি সময় পূর্বে নির্মিত ভবন গুলো টিকে আছে। এখানে রয়েছে ষোলশ শতকের পুরাতন মসজিদ ও প্রহরীদূর্গ। পুরাতন শহরের মূল আকষর্ন হল আমিরাতের শাসকদের প্রাক্তন বাসস্থান, আল হিসান দুর্গ। এই শহরের আরও একটি বিশেষ জায়গা হল, মাউন্ট জেবেল জাইস। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সর্বোচ্চ পর্বতটি রাস আল খাইমাহ এর উত্তরে অবস্হিত। এর উচ্চতা ১৯৩৪ মিটার। এত সুন্দর রাস্তা যে, রাস্তা দিয়েই শীর্ষে পৌঁছে যাওয়া যায়। উপরে উঠতে উঠতে দুপাশে চমৎকার সব দৃশ্য চোখে পড়ে।
এখানে খুব একটা বৃষ্টিপাত হয় না। গ্রীষ্মে রাস আল খাইমাহ এর উপসাগরের তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি ও শীতকালে ১২ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠে। উপসাগরের দারুণ নীল পানি পর্যটকদের খুব সহজেই মন কেড়ে নেয়। উপসাগরটি পুরো অঞ্চলটিকে দারুণভাবে শোভিত করে রেখেছে। যা যে কেউ দেখলেই মন ভালো হয়ে যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..