আত্মীয় # by blood.
আত্মীয় # by law.
স্বজন# by classmates, colleagues and our neighbors, etc……..
বেশ কিছুদিন থেকেই কিছু কথা লিখতে ইচ্ছা করে কিন্তু সময় স্বল্পতায় হয়ে উঠে না। যতটা সময় পাই নিজের যেখানে ভালো লাগা(কবিতা) সেখানেই খরচ করি। নিজের ডেইলি লাইফ নিয়ে লেখা ফেভারিট কিছু না। তবে কিছু কিছু পরিস্থিতি শুধু আমি না আমার মতো আরো অনেকেই ফেইস করে, তাই লিখতে বসা…।
আত্মীয়/স্বজন আমাদের জীবনের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এদের ছাড়া জীবন ভাবা যায় না। আবার এই
আত্মীয়/স্বজনরাই( কেউ কেউ) আমাদের জীবনকে বিষিয়ে তুলতে পারে অতি সহজেই বিনা দ্বিধায় নির্লজ্জের মতো।
কিছু আত্মীয় স্বজন আছেন যারা জীবনেও আপনার খোঁজ খবর নিবে না। যেমন আমার কিছু আত্মীয় স্বজন আছেন যারা জীবনেও আমার বা আমার ফ্যামিলির খোঁজ খবর নেয় না,
কিন্তু!!!??
কিন্তু…. ওরা সব সময় চোখ রাখছে আমি ফেইসবুকে কি করছি, কি পড়ছি, কি পোস্ট দিচ্ছি এগুলো ওরা অনেক আগ্রহ নিয়ে দেখে/ গিলে এবং এগুলো নিয়ে হাজার প্রশ্ন ওদের
।
বিশেষ করে আমার কবিতা নিয়ে। এরা জীবনে আমার কবিতায় লাইক কমেন্ট ভালো মন্দ কিছু বলবে না, কিন্তু ঘরে বসে বসে আমার সব লেখার postmortem করবে।
আমি কেন লিখি?
আমি কেন বিরহের কবিতা লিখি?
আমি কি অনেক কষ্টে আছি?
মনে হয় আমার হাজবেন্ডের সাথে আমার বনিবনা নেই।
বিয়ের আগে হয়তো আমি ছেক খেয়েছিলাম, বিয়ের আগে অন্য কারো সাথে আমার প্রেম ছিল।
কেউ কেউ তো সীমার বাহিরে চলে যায়।
বাসায় গিয়ে আমার মাকে বলে আসে, পিয়াকে বইলেন “বেশি বেশি নফল নামাজ পড়তে”
#মনে হয় সমস্যায় আছে#
আমার হাজব্যান্ড কে জিজ্ঞেস করে, আমার কি বিয়ের আগে অন্য কারো সাথে প্রেম টেম ছিল নাকি?
আচ্ছা ঠিক আছে, ধরেই নিলাম আপনাদের সব কথাই ঠিক; এটাও ধরে নিলাম আপনারা আমার ভালো চান সেজন্যই নামাজ পড়তে বলছেন।
কিন্তু আমার কথা হলো!
আপনারা তো আমার বন্ধুর লিস্টেই আছেন, তাহলে এই কথা গুলো মেসেঞ্জারে আমাকেই বলতে পারেন!
কি পারেন না???
খামাখা আমার বেচারী “মা/বোন” কে কেন পেরেশানিতে ফেলেন?
আমার ‘মা’ আমাকে হাজার বার জিজ্ঞাসা করে আমি কেমন আছি, হাজার বার ভালো আছি বললেও সে বিশ্বাস করতে চায় না।
আর আমার হাজবেন্ডের কথায় আসি, আমি আর হিরু(husband) পুরো দুই ধরনের পরিবেশে বড় হয়েছি, আমার পরিবার ১০০% সংস্কৃতিমনা, সাহিত্য আমাদের প্রাণ, আর আমার হাজবেন্ডে একটু কনজারভেটিভ ফ্যামিলিতে বড় হয়েছে।
আমার হাজবেন্ডের সাহিত্যের সাথে সম্পর্ক নেই বললেই চলে, সে কবিতা তেমন বুঝে না, তারপরেও “ও” আপনাদের মত ছাগল না, যথেষ্ট বুদ্ধিমান।
এই সব মানুষগুলোর জন্যই জীবনের কত শখ থেকে সরে এসেছি। কত ভালো লাগা ভুলে গিয়েছি, মাঝ পথে ছেড়ে দিয়েছি। কত বছর আমার এই সব লেখা ডায়রী বন্দী হয়েছিল তার হিসেব নেই। কে কি ভাববে এই সব চিন্তা করে সব কিছু বাদ দিয়ে দিয়েছিলাম।
মোরাল অফ দা স্টোরি হলো….
এটা শুধু আমার কাহিনী না, অনেক মেয়েদের কাহিনী।
কিছু মানুষ পৃথিবীতে এসেছেই অন্যের জীবনকে বিষিয়ে তুলতে, পৃথিবীর ভাত নষ্ট করতে। খেয়াল করলে দেখবেন ছেলেরা প্রেম বিরহ নিয়ে লিখলে , তা নিয়ে এদের তেমন কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু মেয়েরা লিখলো তো হাজার রসালো কথা এদের, হাজার সমস্যা এদের। আর দুঃখজনক হলেও সত্যি এরা দূরের নয় এরা কাছের মানুষ, অতি পরিচিত মানুষ।
জীবনে চলতে হলে হাজার মানুষের সাথেই চলতে হবে/ হয়। এর মধ্যে কিছু সংখ্যক আছে যাদের অভ্যাস অন্যকে নিয়ে রসালো খবর তৈরি করা। এদের আপনি যত বেশি সময় দিবেন ততবেশি আপনাকে প্রভাবিত করবে। একটা সময় আপনিও ওদের মতোই ইতিবাচক চিন্তা ভাবনার পরিবর্তে নেতিবাচক চিন্তা ভাবনা শুরু করবেন। ওদের নিজেদের জীবন নিয়ে আলোচনা করার মত কিছু নেই তাই অন্যের জীবন নিয়ে রসালো আলোচনা করে সুখী হয়। এদের যত এড়িয়ে চলবেন ততই মঙ্গল, এদের যত সময় কম দিবেন ততই মঙ্গল।।
আর আমি??
এদের কে আমি প্রশ্ন করি না, প্রশ্ন করলেও সময় নষ্ট হয়।
এদের আমি ইগনোর করি।।
লেখাটা অনেক বড় হয়ে গেল,সে জন্য দুঃখিত। কিন্তু এসব প্রতিকূলতা পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা লিখলেও শেষ হবার নয়।।
Leave a Reply