কয়েকদিন আগে একটা বাসা দেখে এসেছিলাম। আজ গিয়েছিলাম সেই বাসাটা কনফার্ম করতে। কিন্তু সেই বাসাটায় যে বর্তমান ভাড়াটিয়া আছে তাকে দেখে আজ আমি চমকে উঠেছি। কেননা সেদিন যে গিয়েছিলাম ওইদিনও আমি তাকে সুস্থ শরীরে দেখে এসেছি, কিন্তু সে কথা বলার সময় একটুও হাসে নি। আর আজ দেখি তার চোখদুটো নীল হয়ে কোটরে বসে গেছে একটা চোখের ভেতর লাল। আমি ভেবেছি মহিলার চোখে কোনও অসুখ হয়েছে- আমি তার দিকে তাকিয়েই জিজ্ঞেস করেছি আপনার চোখে কি হয়েছে?
সে মুখটা নিচু করে বলে আমার স্বামী আমাকে মেরেছে!
আমি চমকে উঠি, মহিলার কাছে যাই বলি মানুষ এতটা অমানুষ হয় কি করে?
তখন সে শরীরের আরও অন্যান্য যখমগুলো আমার হাত টেনে নিয়ে দেখায় মাংসের মধ্যে দলা দলা চাকা হয়ে গেছে। চোখের উপরে ব্যান্ডেজ ওখানে ফেটে গিয়েছে।
আমি জিজ্ঞেস করলাম তার স্বামী কি করে? সে বললো, জগন্নাথ ভার্সিটিতে চাকুরি করে নাম আবদুল কাদের সিরাজুম মুনির। মহিলার নাম সাহিদা।
আমি জিজ্ঞেস করলাম এত মার খেয়ে এখনও পড়ে আছেন কেন? নারী নির্যাতনের মামলা কেন করেননি?
সে বললো- মামলা খেটে ছয়মাস পর বেরিয়ে এসে আমাকে খুন করবে সে আওয়ামীলীগের রাজনীতি করে।
আর বাপের বাড়ি যাই না আমার ছোট ছোট তিনটে বাচ্চা ওদের ছেড়ে আমি থাকব কি করে! তাছাড়াও আমার বাবা খুব গরিব।
মহিলা আমার হাত টেনে ধরে রেখে বসিয়ে তার দুঃখের গল্প করেছে সন্ধ্যা পর্যন্ত তার স্বামীর নাকি আরও দুইটে বউ আছে।
আমি ভেবে ভেবে অবাক হয়ে যাচ্ছি ভার্সিটির মতো একটা পবিত্র জায়গায় এমন জংলী জানোয়ারেরা ঘোরে কি করে! আর এমন জঘন্য কাজ করেও সেই স্বামী অনুতপ্ত না হয়ে সারাক্ষণ স্ত্রীকে হুমকি ধমকি ভয় দেখিয়ে যাচ্ছে-
বলি- দেশের আইন আদালত মানুষ সব কি মরে গেছে?
Leave a Reply