শিক্ষার্থীদের জন্যে ছুটি মানে কেবল বিশ্রাম বা অবকাশ নয়।বরং এটি একটি সৃজনশীল ও উৎপাদনশীল সময় হতে পারে,যদি তারা সঠিকভাবে এর সদ্ব্যবহার করতে পারেন।ছুটির মত এমন সময়কে কাজে লাগিয়ে শিক্ষার্থীরা নিজেদের জীবনকে আলোকিত করতে পারেন,সহজে!আজকের প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্বে শিক্ষার অনেক ক্ষেত্রেই আমরা গুগলের উপর নির্ভরশীল।গুগল শুধু একটি সার্চ ইঞ্জিন নয়,এটি একটি জ্ঞানের ভাণ্ডার।যা শিক্ষার্থীদের জ্ঞানকে আরো সমৃদ্ধ করার অসীম সম্ভাবনা তৈরি করবে!
গুগল শিক্ষার্থীদের জন্য চমৎকার সম্ভাবনার জগৎ:
গুগল সার্চের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সহজেই বিশ্বের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনলাইন কোর্স খুঁজে পেতে অনেকটাই সহজ!যেমন Coursera,edX,Udemy এর মতো প্ল্যাটফর্মের সাথে সংযুক্ত।যেখানে হার্ভার্ড,অক্সফোর্ডের মতো বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে কোর্স করার সুযোগ পাওয়া যায়।এসব কোর্সের শেষে সার্টিফিকেটও পাওয়া যায়।যা তাদের জীবনের পেশাগত সাফল্য অর্জনের জন্য অন্যতম সহায়ক!
গুগল স্কলার এবং গবেষণার সুযোগ: উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্যে নয়,গুগল হচ্ছে সুন্দর স্কলার একটি আদর্শ প্ল্যাটফর্মও।এখানে বিভিন্ন গবেষণা প্রবন্ধ,জার্নাল ও থিসিস পাওয়া যায়।যেকোনো শিক্ষার্থী বিজ্ঞান,প্রযুক্তি,সামাজিক বিজ্ঞান বা যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গভীর গবেষণা করতে পারেন।এমনকি একাডেমিক কাজে ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ উৎস ও রেফারেন্সও এখানে সহজেই পাবেন!
ইউটিউবের মাধ্যমে ইন্টারেক্টিভ শিক্ষামূলক ভিডিও: গুগল মালিকানাধীন ইউটিউব প্ল্যাটফর্মটিও একটি বড় শিক্ষার উৎস!এখানে অসংখ্য শিক্ষামূলক চ্যানেল রয়েছে।যেমন Khan Academy,TED-Ed,National Geographic এবং CrashCourseসহ অনেক বিষয়। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন কঠিন বিষয় যেমন গণিত,পদার্থবিজ্ঞান,ইতিহাস এবং ভাষার পাঠ সহজভাবে শিখতে পারে ভিডিও টিউটোরিয়ালের মাধ্যমে।
নতুন দক্ষতা ও প্রযুক্তি শেখা: ছুটির সময় গুগলের সাহায্যে শিক্ষার্থীরা নতুন প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জন করতে পারে।যা তাদের কর্মজীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।উদাহরণ স্বরূপ,প্রোগ্রামিং,গ্রাফিক্স ডিজাইন,ডিজিটাল মার্কেটিং,কন্টেন্ট রাইটিং বা ভিডিও এডিটিং শেখার জন্যে বিভিন্ন টিউটোরিয়াল এবং গাইড খুঁজে পেতে পারে।গুগলের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে এই দক্ষতাগুলো অর্জন করতে পারবেন।যা আপনাদের ক্যারিয়ার গড়ার ক্ষেত্রে এক অনবদ্য সহায়ক!
ব্লগ ও নিবন্ধ পড়া: গুগল সার্চের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিষয়ে লেখা ব্লগ,নিবন্ধ ও প্রতিবেদন পড়তে পারেন।এটি তাদের নতুন জ্ঞানের জগতে প্রবেশ করতে সাহায্য করবে।বিশেষ করে বিজ্ঞান,প্রযুক্তি,স্বাস্থ্য,
ভাষা শেখার সুযোগ: গুগল ট্রান্সলেট,ডুওলিঙ্গো এবং অন্যান্য ভাষা শিক্ষার প্ল্যাটফর্মের সাহায্যে শিক্ষার্থীরা নতুন ভাষা শিখতে পারেন।নতুন ভাষা শিখলে তা কেবল একাডেমিক অর্জনই নয়।বরং বিশ্বব্যাপী যোগাযোগ এবং সংস্কৃতির সাথে সংযুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করতে সহায়ক ভুমিকা রাখবে।
অতএব শিক্ষার্থীদের মনে করতে হবে,প্রযুক্তি নতুন চিন্তার জগতে প্রবেশের সুন্দর সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে!তারা গুগলের সাহায্যে শিক্ষা,জ্ঞান ও বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি নিজেদের মধ্যে সৃজনশীলতা এবং কৌতূহলকে সহজে জাগ্রত করতে পারে।এটি তাদের ভবিষ্যত জীবনে নানাভাবে সহায়তা করবে।যেমন উচ্চশিক্ষার জন্যে প্রস্তুতি,পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি এবং নিজস্ব সৃজনশীল চিন্তাভাবনার ধরনটিও দারুণভাবে বেগ পাবে!
ছুটি কিংবা অবসরে যেকোন সময়কে কাজে লাগিয়ে,শিক্ষার্থীরা তাঁদের ভবিষ্যতের জন্যে সুদৃঢ় ভিত্তি গড়তে পারেন।যা তাদের ব্যক্তিগত এবং পেশাগত জীবনে সফলতার পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে।প্রযুক্তি ও ইন্টারনেটের সঠিক ব্যবহার তাদের জীবনকে আলোকিত করতে পারে এবং তাদের মধ্যে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের সম্ভাবনা তৈরি করতে সহায়তা করবে!
টিপু সুলতান
লেখক ও সমাজ চিন্তক
১২/১১/২০২৪
Leave a Reply