1. banglamailnews72@gmail.com : banglamailnews : Zakir Khan
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:১৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
# আহারে # খোরশেদ ।। সমাজে নতুন অপরাধী চক্র তৈরী হচ্ছে কিন্তু ভবিষ‍্যতে এদের রক্ষা করবে কে??।। – – – আশিক ফারুকী “অতঃপর” __ সালমা আক্তার বীরাঙ্গনা নই আমি মুক্তিযোদ্ধা – – – শাহনাজ পারভীন মিতা জলপাই রঙের স্বাধীনতা – – – আরিফুল হাসান প্লাস্টিকের উৎপাদন বন্ধ করতে হবে – উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ান হাসান – – – স্বাধীন আজম –   টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি, স্বপ্নমায়া – – – – মাহজাবীন আহমেদ বুড়ি মরে গেল – – – মোঃ আবদুল্লাহ ইউসুফ ইমাম প্রযুক্তির দুনিয়ায় শিক্ষার্থীদের এখন উন্নত জীবন গড়ার দারুণ সময়:– ————–টিপু সুলতান লেখক ও সমাজ চিন্তক ডায়াবেটিস নিয়ে সচেতনতাই পারে ডায়াবেটিস রোগ নির্নয় ও রোগের চিকিৎসা এবং সঠিক ব্যবস্থাপনা – – – ডা: সাদিয়া আফরিন 

কবি আল মাহমুদের সংক্ষিপ্ত জীবনী —- রেশমা বেগম

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই, ২০২৪
  • ২১৫ বার
আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি
আল মাহমুদের জন্মদিবসে
বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন —🌷❣️
কবি আল মাহমুদের সংক্ষিপ্ত জীবনী —-
🌸আল মাহমুদ আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি। তিনি একেধারে একজন কবি,উপন্যাসিক প্রাবন্ধিক,ছোটগল্প লেখক,শিশু সাহিত্যিক এবং সাংবাদিক।
🌹বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় অংশে সক্রিয় থেকে তিনি আধুনিক বাংলা কবিতাকে নতুন আঙ্গিকে,চেতনায় ও বাক্ ভঙ্গিতে বিশেষভাবে সমৃদ্ধ করেছেন।
তিনি ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সম্মুখ সমরে অংশ নিয়েছেন। তিনি সরকার বিরোধী দৈনিক গনকন্ঠ পত্রিকার সম্পাদনা করেছেন।
🥀জন্ম ও বাল্যকাল–
আল মাহমুদ ১৯৩৬ সালে ১১ ই জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মোড়াইল গ্রামের জন্মগ্রহণ করেন।
তাঁর প্রকৃত নাম মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ।
কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার সাধনা হাইস্কুল এবং পরে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড হাই স্কুলে পড়াশোনা করেন।
মূলত: এই সময় থেকেই তাঁর লেখালেখি শুরু।
আল মাহমুদ বেড়ে উঠেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়।
আজীবন আত্মপ্রত্যয়ি কবি ঢাকায় আসার পর কাব্য সাধনা করে একের পর এক সাফল্য লাভ করেন।
🌺কর্মজীবন —
সংবাদপত্রে লেখালেখির সূত্র ধরে কবি ঢাকায় আসেন ১৯৫৪ সালে। সমকালীন বাংলা সাপ্তাহিক পত্র/পত্রিকার মধ্যে কবি আব্দুর রশিদ ওয়াসেকপুরী সম্পাদিত ও নাজমুল হক প্রকাশিত সাপ্তাহিক কাফেলায় লেখালেখি শুরু করেন। তিনি পাশাপাশি দৈনিক মিল্লাত পত্রিকায় প্রুভ রিডার হিসাবে সাংবাদিকতা জগতে পদচারনা শুরু করেন।
কাব্যগ্রন্থ লোক লোকান্তর (১৯৬৩) সালে সর্বপ্রথম তাঁকে স্বনামধন্য কবিদের সারিতে স্থান করে দেয়।
এরপর কালের কলস (১৯৬৬), সোনালী কাবিন (১৯৬৬), মায়াবী পর্দা দুলে (১৯৬৯) কাব্যগ্রন্থ গুলো তাকে প্রথম সারির কবি হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত করে।
১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের পর তিনি গল্প লেখার দিকে মনোযোগী হন। ১৯৭৫ সালে তাঁর প্রথম ছোট গল্পগ্রন্থ পানকৌড়ির রক্ত প্রকাশিত হয়। ১৯৯৩ সালে বের হয় তার প্রথম উপন্যাস কবি ও কোলাহল। আল মাহমুদ সাংবাদিক হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন।
১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন এবং যুদ্ধের পরে দৈনিক গনকণ্ঠ নামক পত্রিকায় সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন। এই পত্রিকায় সামসুদ্দিনন পেয়ারা,মরহুম আসাফউদ দৌলা,ফজলুল বারী প্রমুখ রিপোর্টার হিসেবে কাজ করেন। তিনি স্বাধীনতা পরবর্তী আওয়ামী লীগ সরকারের সময় এক বছরের জন্য একবার জেল খাটেন। পরে ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু তাকে শিল্পকলা একাডেমীর গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের সহপরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেন। দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালনের পর তিনি পরিচালক হন। পরিচালক হিসাবে ১৯৯৩ সালে অবসর গ্রহণ করেন।
❣️সাহিত্য জীবন—
১৯৫৪ সাল অর্থাৎ ১৮ বছর বয়স থেকে তার কবিতা প্রকাশ পেতে থাকে। এ সময় তিনি ঢাকা আসেন এবং পত্রিকায় কাজ নেন ও সাহিত্যে পুরোদমে মনোযোগী হন। ঢাকা থেকে প্রকাশিত সিকান্দার আবু জাফর সম্পাদিত সমকাল পত্রিকা এবং কলকাতার নতুন সাহিত্য, চতুষ্কোণ, ময়ূখ ও কৃত্তিবাস ও বুদ্ধদেব বসু সম্পাদিত বিখ্যাত ‘কবিতা’ পত্রিকায় লেখালেখির সুবাদে ঢাকা- কলকাতার পাঠকদের কাছে তার নাম
সুপরিচিত হয়ে ওঠে এবং তাকে নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত হয়।
তিনি আধুনিক বাংলা কবিতার শহরমুখী প্রবণতার মধ্যে বাটি বাংলার জনজীবন,গ্রামীণ আবহ, নদী নির্ভর জনপদ,চরাঞ্চলের জীবন প্রবাহ এবং নরনারীর চিরন্তন প্রেম বিরহকে তার কবিতায় অবলম্বন করেন। আধুনিক বাংলা ভাষার প্রচলিত কাঠামোর মধ্যে স্বাভাবিক স্বতঃস্ফূর্ততায় আঞ্চলিক শব্দের প্রয়োগ তাঁর
অনন্য কীর্তি।
🌹১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দে মাত্র দুটো কাব্যগ্রন্থের জন্য তিনি বাংলা একাডেমী পুরস্কার লাভ করেন। তাঁর সবচেয়ে বড় সাড়া জাগানো সাহিত্যকর্ম সোনালী কাবিন।
🌸১৯৯০- এর দশক থেকে তার কবিতায় বিশ্ব স্রষ্টার প্রতি বিশ্বাস উত্তীর্ণ হতে থাকে; এর জন্য তিনি প্রগতিশীলদের সমালোচনার মুখোমুখি হন। তবে ঈশ্বর অনুগত্যের কারণে তার কবিতার ভুবন আহত বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি আদৌ।
🌺 মৃত্যু:
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কবি আল মাহমুদ ৮২ বছর বয়সে বার্ধক্য জনিত নানান জটিলতায় মারা যান।
ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতলে ১৫ই ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সাল শুক্রবার রাত ১১ টা ৫ মিনিটে তিনি
শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি ❣️
রেশমা বেগম ,
১১.৭.২০২৪ ইং
May be an image of 1 person

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..