যে বিশাল ভূমির উপর বিশ্ব ইজতেমাকে উছিলা করে লক্ষ লক্ষ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের সমাগম ঘটেছে, তা হঠাৎ করেই হয়ে যায়নি। যতটুকু জানা যায়, তাবলীগ জামাতের সর্বপ্রথম ইজতেমা শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৬০ বছর পূর্বে ১৯৪৬ সালে কাকরাইল মসজিদের পাশে রমনা পার্কে।
* এরপর ১৯৪৭ সালে তাবলীগ জামাতের প্রধান মারকাজ কাকরাইল মসজিদে।
* এরপর ১৯৪৮ সালে তৎকালীন চট্টগ্রামের হাজী ক্যাম্পে।
* এরপর ১৯৫৮ সালে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়েছিল নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে।
তারপর থেকে ইজতেমায় অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা বাড়তে থাকায় ১৯৬৬ সালে টঙ্গীর খোলা মাঠে তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়,যা অদ্যবদি পর্যন্ত চলে আসছে।
এই বিশ্ব এজতেমায় প্রায় ৪০ থেকে ৫০ লক্ষ মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
প্রায় ১৩০টি দেশ থেকে অর্ধালক্ষের উপরে মেহমান এতে অংশগ্রহণ করেন।
*তাবলীগ জামাতের প্রাণপুরুষ হযরত মাওলানা ইলিয়াস (র:) সর্ব প্রথম এই তাবলীগের কাজ শুরু করেন দিল্লির মেওয়া থেকে।(জন্ম ১৩০৩ হি:১৮৮৪ইং
২| দ্বিতীয় আমির ছিলেন হযরত মাওলানা ইউসুফ (র:)
৩|তৃতীয় আমীর ছিলেন মাওলানা এনামুল হাসান কান্ধলভী (র:)
*বাংলাদেশে সর্বপ্রথম তাবলীগ জামাতের আমীর ছিলেন, খুলনা জেলার বামনডাঙ্গা গ্রামের প্রাণপুরুষ মাওলানা আব্দুল আজিজ
(র:) যা বর্তমানে মজলিসে শুরার ভিত্তিতে পরিচালিত।
মজলিসের শুরার সদস্য গনের মধ্য থেকে অন্যতম হলেন,
১|মাওলানা জুবায়ের সাহেব (দা:বা:)
২|মাওলানা রবিউল হক সাহেব ( দা:বা:)
৩|মাওলানা ওমর ফারুক সাহেব (দা:বা:)
৪|মাওলানা আব্দুল মতিন সাহেব(দা:বা:)
সবচেয়ে খুশির সংবাদ হল, এত বড় বিশাল এন্তেজামের কোন কেন্দ্রীয় তহবিল বা ফান্ড নেই। এবং বয়ানের জন্য কোন পোস্টারিং, লিফলেট করা হয় না, পূর্ব ঘোষিত কোন নামও প্রকাশ করা হয় না।
আল্লাহ তাআলা মুরুব্বিদের এই মেহনত এবং বিশ্ব ইজতেমা কে কবুল আর মঞ্জুর ফরমান আমীন।
আগামী ২,৩,৪ ফেব্রুয়ারী বিশ্ব ইজতেমাকে আল্লাহ তায়ালা ভরপুর কামিয়াব করুন আমীন।
Leave a Reply