[প্রাপ্তমনস্ককদের জন্য, নিজ দায়িত্বে পড়বেন]
রক্তের গন্ধ চারিদিকে। হিংস্রতা প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে রক্তের হোলিখেলা সবচেয়ে পছন্দের পন্থা। আদিম যুগ থেকে ধরে রাখা পদ্ধতি এটি। তবে প্রকাশিত হয়েছিল, পছন্দের মানুষকে অন্যের হতে না দেওয়ার জন্য। বলা যায়, ভালোবাসার জন্য।
কিন্তু এক্ষেত্রে আমি প্রিয়জনকে ছিনিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়াতে রক্তের বন্যা বইয়ে দেইনি। আমার মতো মানুষকে সিরিয়াল কিলার বলা হয়ে থাকলেও এদিক থেকে আমি সাইকো কিলার হিসেবেই চিহ্নিত।
খুন করতে ভালো লাগে। প্রথম প্রথম তো কেউ খুন করতে চায় না। কিন্তু প্রতিটি মানুষের ভেতরে একটি করে খুনি সত্তা থাকে। শুধু প্রকাশেরই দেরি। যখন একবার খুন করতে সক্ষম হয় তখন স্বয়ংক্রিয়ভাবেই আপন শক্তিতে একটার পর একটা খুন হতে থাকে।
আমার হাতে প্রথম হত্যা হয়, আমার পিতা। মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন, আর প্রতিদিনকার মতোই এসে আমাকে বেদম পেটাচ্ছিলেন। বেশিকিছু না শিলনোড়া দিয়ে মাথায় আঘাত করি প্রচণ্ড আক্রোশের সহিত। বাস ধপাস শব্দের সাথে পরলোক গমন।
সেই ছিটকে আসা রক্তের গন্ধে নেশায় পরিণত হলো আমার। এরপর থেকে একেরপর এক শিকারের সন্ধানে যাত্রা শুরু। নির্মমতার আবহ সৃষ্টি হয় তখন যখন সতেরো নম্বর খুন করি। সেটা নিজের স্ত্রীকে। কারণ বেশিকিছু না। অতিরিক্ত সন্দেহ করতো সে। ভাবত, মেয়ে নেশা কিন্তু নেশা তো অন্যকিছুরই আমার।
তাই অতিরিক্ত চ্যাঁচানি বন্ধ করতে রান্নাঘরে থাকা তীক্ষ্ণ ছুরি দিয়ে টুঁটিতে কোপ দেই। কণ্ঠনালি ছিদ্র হয়ে রক্তের ফোয়ারায় আমার মুখমণ্ডল জড়িয়ে যায়। ছিদ্রিত পথের দৃশ্যত নালি হাতের বলে টেনে ছিঁড়ে বের করে আনি। হাত রক্তে মাখামাখি! উষ্ণ, তরল রক্তের ছোঁয়ায় অনুভূতি এত আরামপ্রদ উহ্! আমার ভেতরটাকে হৃষ্ট, পুলকিত করে তুলেছিল সেদিন।
সেই প্রথম স্ত্রীর দেহের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, মাংস, হাড়-চামড়া আলাদা করেছিলাম। এত আনন্দ তার সাথে বিছানাতেও পেতাম না, যতোটা না সে আমায় সেইদিন দিয়েছিল। নিজ ফ্ল্যাটের রুম রক্তে ভাসিয়ে নিয়েছিলাম। সেই রক্তের মাঝেই শুয়েছিলাম, বসেছিলাম এবং কি খাবার পর্যন্ত খেয়েছিলাম। রক্তের গন্ধ, রক্তের নেশা বলে কথা! যা আমাকে বেঁচে থাকার তাগিদ দেয়।
বাঁচার তাগিদে এবার তোমাকেও আমার শিকারে পরিণত করতে পারি। নতুনত্ব হিসেবে, তোমার শরীরের মাংস রান্না করে খাব নাহয়। আচ্ছা, তোমার মাংসের স্বাদ কেমন?
সম্পূর্ণ কাল্পনিক হতে সৃষ্ট।
এ জাতীয় আরো খবর..
Leave a Reply