## রেহনুমা মাকে কোলে নিয়ে বসালাম,বুকে মাথাটা রাখতেই শীতল হল মন।নাড়ীর টান মনে হয় একেই বলে।তাকে জিজ্ঞেস করলাম, মা আমার বুকে মাথা রেখে তোমার কেমন লাগছে?বল্ল,ভালো লাগছে খুব। তখন সেই সুন্দর মুহূর্ত আমি মিস করলাম না।বললাম আমাদের মাতৃভাষাটাও ঠিক তেমন।এই ভাষার জন্য সালাম রফিক জব্বার জীবন দিয়েছিল ১৯৫২ সালে।কত রক্ত ঝরেছে মায়ের মুখের ভাষাকে রাষ্ট্র ভাষা করার জন্য।আমার চোখে জল চলে এলো।আমি খুব ভালোবাসি আমার দেশ আর বাংলা ভাষাকে।অনেক কষ্টের অর্জন এই ভাষা, এই
বাংলাদেশ। আরো অনেক রেফারেন্স দিলাম ওকে।আমি কাঁদছি আর কাঁদছি মেয়ে আমার দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে আছে।জানিনা এত ছোট বয়সে সে কি বুঝল।কতটা তার মাঝে আমি দেশের প্রতি মায়া, বাংলা ভাষার প্রতি অনুরাগ জাগিয়ে তুলতে পেরেছি।আজকের শিশু আগামী দিনের যোগ্য নাগরিক হয়ে উঠতে পারলেই কেবল বাংলাদেশ বিজয়ীর বেশে আজীবন বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে।এরপর ওকে আমার আর কিছু বলতে হয়নি।সোজা পড়ার টেবিলে বসে খুবই মার্জিত আর সুন্দরভাবে বাংলাভাষা পড়া আর লেখা দুটোই আমাকে সে মুখস্থ বল্ল আর লিখে দিল।আমি অনেক দোয়া করেছি এই ভেবে যে ওকে আমি এই বয়সেই মাতৃভাষার প্রতি, দেশের প্রতি মমতা জাগাতে সক্ষম হয়েছি।আপনারাও পারবেন ছেলেমেয়েদের রোবট না বানিয়ে প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলুন,খাঁটি বাঙ্গালি হিসেবে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করুন।ছোট বেলা থেকেই এসব শিশুদের ভিতর ঢুকিয়ে দিতে পারলেই কেবল এই দেশে যত অনাচার,অশান্তি দলাদলি,ঘুষ,অনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ হবে বলে আমি আশা করি।মহান বিজয়ের মাসে নয় বাকী এগারো মাসেও আমরা বাঙ্গালিত্ব মনে আর রক্তধারায় ধরে রাখবো এই কামনা করি।দেশ বাঁচলে আমি আমরা সবাই বেঁচে থাকবো শান্তিতে, সুরেলা ঐকতানে।ধন্যবাদ সকলকে।
Leave a Reply