চারপাশের নিরবতায় অশনিসংকেত শুনে নির্বাক
চোখে তাকিয়ে থাকি শূন্যে…..
কিছু প্রশ্নের উত্তর খোঁজার অপেক্ষায়।
কতোটা নিচে নামলে মানুষকে আর মানুষ বলা
যায়না, এই প্রশ্নের উওর মেলা ভার!
মাঝে-মাঝে মনে হয়, মানুষ হয়ে জন্মই বুঝি
আমার আজন্ম পাপ!
প্রিয় স্বদেশ,
এই চরম দুর্দিনের চূঁড়ায় বসে আমার ব্যথাতুর
হৃদয় ক্রমশই ভারি হয়ে আসছে!
হিংসা-বিদ্বেষের লেলিহান শিখার উত্তাপ ছড়িয়ে
প’ড়ছে মানবতা বিরোধী হায়নাদের উৎপাতে।
লোভাতুর মানুষগুলো স্বার্থের জাল পেতে বসে
আছে সর্বত্র,
রাজ সিংহাসন দখলের প্রতিযোগিতা বদলে দিচ্ছে
মানুষের স্বরূপ, দুঃশাসনে অস্থির পৃথিবী!
চারিদিকে দানবের পৈশাচিকতা, লুটেরা ও হিংস্রতা,
আক্রোশ আর উপেক্ষা!
মহাকাল কখনো মেনে নিবে কি মানবতা
বিরোধী
বর্বরতা, ফ্যাসিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা কিংবা কোনো
মৌলবাদী মিছিলে নাম লেখানোর কথা?
ঈর্ষায় কাতর মুখগুলো দেখে আমি হতবাক!
দুষিত মনের সমস্ত পাপ-তাপ শ্রাবণ ধারায় ধুঁয়ে মুছে
হয়তো আবার আসবে সুদিন!
না-কি কালের গর্ভে সব হারিয়ে ক্রমাগত নিঃস্ব
হবো আমরা?
যেইদিন যায় চলে সেইদিন কস্মিনকালেও কি
ফিরে আসবেনা ?
পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট অথচ কঠিন ধ্বনি না’
আমার মর্মমূল স্পর্শ করে,
না’ বিলাপে ভারি হয়ে আসে প্রতিটি নিঃশ্বাস!
আশা-নিরাশার দোলাচলে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে আমি
প্রায়শই হতাশার চোরাবালিতে আটকে যাই।
আমার চোখ সব ঋতুতেই বৃষ্টি ঝরায়, বুকের গহীন প্লাবিত হয় কষ্টের জলোচ্ছ্বাসে!
মস্তিষ্কে বিষ্ফোরিত হয় আগ্নেয়গিরির উত্তাপ
আর কণ্ঠে বাজে রাগ ভৈরবী।
আমি প্রতিদিন চৈতন্য বোধ জাগ্রত করে
অপেক্ষার দিনগুনি…..
হয়তো-বা একদিন কেটে যাবে এই দুর্দিন,
নিস্তব্ধ রাত হাস্নাহেনার মৌ মৌ গন্ধে আবার
মুখরিত হবে।
ভীষণ প্রিয় মানুষটি সাদা ক্যামেলিয়া হাতে আমার
সম্মুখে দাঁড়িয়ে হাসি মুখে জানাবে সাদর সম্ভাষণ!
আর ভোর বেলায় পাখিদের কিচির মিচির ও
সবুজ ঘাসের উপর নূপুরের রুমঝুম শব্দে আবার
মেতে উঠবে কোলাহলপূর্ণ জনজীবন!
নব নব উৎসবে আন্দোলিত হবে প্রাণ, বসন্ত
ছড়িয়ে প’ড়বে ধরিত্রীতে।
প্রিয়তমের আকন্ঠ ভালোবাসায় স্নাত হয়ে
সোনালী রৌদ্দুর গায়ে আকাশের নিলীমায়
স্বপ্ন ছড়িয়ে দিবো আবার………
Leave a Reply