১লা নভেম্বর – ২০১৮, গণভবনের সন্ধ্যেবেলা। আমরা অনেকেই জানি না সেদিন গণভবনে সাড়ে তিন ঘণ্টা কি হয়েছিলো?
সেইদিন ছোট একটি মিনি পার্লামেন্ট বসেছিলো…
সরকারে ছিলেন আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর বিরোধী দলীয় নেতা ছিলেন বঙ্গবন্ধুর সহচর ও আপনজন ড.কামাল হোসেন। তার সাথে ছিলেন বিজ্ঞ বিজ্ঞ পার্লামেন্টেরিয়ান।
শুরু হয়ে গেল অধিবেশন। শুরুতে স্বাগত ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর বিরোধীদলকে বলা হলো : আপনাদের দাবি এবং অভিযোগ গুলো বলুন?
ড.কামাল সাহেব বললেন সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে আপনি পদত্যাগ করুন।।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি পদত্যাগ করব।আপনারা এখানে যারা আছেন কেউ কি একজন নিরপেক্ষ ব্যক্তির নাম বলতে পারবেন??খুঁজে পাবেন?এ সময় সবাই চুপ করে রইলেন।এ সময় ড. কামাল হোসেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন,একজনের নাম বলুন।সবাই মাথা নিচু করে রইলেন।কেউ কোন উত্তর দিতে পারলেন না।
মওদুদ ও আব্বাসকে বলেন,আপনারা যে অনির্বাচিত সরকার চাচ্ছেন ১/১১-র কথা ভুলে গেছেন?? তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসে প্রথমেই আমানউল্লা আমানের অসুস্হ স্ত্রী ও ইকবাল মাহমুদের অবিবাহিত মেয়েকে যখন গ্রেফতার করে তখন আমি শেখ হাসিনা প্রথম প্রতিবাদ করেছি।আপনারা তো অনেকেই চুপ থেকে তখন তাল মিলিয়ে চলছেন। দুজনই চুপ।
ড. কামালকে আবার বললেন, আপনিতো সংবিধান রচনা করেছেন।আপনি বলেছেন এই সংসদে ১৫৩ জন বিনা ভোটে নির্বাচিত।প্রার্থী না থাকলে আমরা কি করব?আপনি নিজেওতো বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন, তখন কি আপনি পদত্যাগ করেছিলেন?
……….. কামাল হোসেন চুপ।
ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির কথা বলার পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ মামলাতো আমরা করিনি, ১/১১ সরকার করেছে।কোর্টের ফয়সালা কোর্ট করবে।আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।আমার বিরুদ্ধেও ১৬ টি মামলা ছিল আমি তা কোর্ট এ ফয়সালা করেছি….. জমিরউদ্দীন চুপ।
ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বেগম খালেদাকে কারাগারে রেখে বিএনপির নির্বাচনে যাবার সুযোগ নেই।জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, এটি আপনাদের দলীয় বিষয়।আমরা চাই সব দলের অংশগ্রহণে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন…………………..ফখরুল সাহেব চুপ।
ব্যারিস্টার মওদুদ ও ফখরুল সাহেবকে বলেন, আপনারা কোনটিকে রাজনৈতিক মামলা বলছেন? আমিতো কাউকে খুন করি নি। বরং বিএনপির আমলে তারেক রহমান ও সরকারের মন্ত্রীরা আমাকে ২১ আগস্ট গ্রেনেড মেরে হত্যা করতে চেয়েছিল।খালেদা জিয়ার ছোট ছেলের মৃত্যুর সংবাদে ছুটে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমাকে ঢুকতে দেয়া হয় নি। সে সময় আপনি (মওদুদ আহমেদ) ছিলেন। সাথে সাথে মওদুদ বলেন, আমি দোতালায় ছিলাম। প্রধানমন্ত্রী ক্ষুব্ধ কন্ঠে বলেন, তা হলে দোতালায় বসে নির্দেশ দিয়েছিলেন আমাকে যেন ঢুকতে না দেওয়া হয়…………………মওদুদ চুপ।
ডাঃ জাফরউল্লাহ চুপচাপ বসে ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবাইতো কিছু বলছেন, আপনি কিছু বলবেন না! আপনি কিছু বলুন?ডাঃ জাফরউল্লা বলেন,আপনি একটি সুষ্ট নির্বাচন দিন, নোবেল পুরস্কার পাবেন। বঙ্গবন্ধু আমাকে ৩১ একর জমি দিয়েছেন, আপনিও ১৪ একর জমি দিয়েছেন। কিন্ত আপনার দেওয়া জমিটা এখনো দখলে পাই নি।আমার ক্যান্সার হাসপাতালের উদ্বোধন এর জন্য সময় চাই?প্রধানমন্ত্রী বলেন, আব্বাও দিয়েছে আমিও দিয়েছি। অথচ টেলিভিশনে গিয়ে আমার আর সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলেন। আপনি সেনাবাহিনী প্রধানকে যে ভাবে বক্তব্য দিয়েছেন খালেদা জিয়া থাকলে এতোদিনে জেলে যেতেন।
…………………….ডাঃ জাফরউল্লা চুপ।
হ্যাঁ! এটাই বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা।
এ জাতীয় আরো খবর..
Leave a Reply