আয়োজক আলেমগণ তাঁর হাতে হাদিয়ার খাম তুলে দিলেন। তিনি খামের সাইজ দেখেই বললেন আপনারা অনেক টাকা দিয়েছেন। এরপর সবার সামনে খাম খুলে দেখলেন যে, অনেকগুলো এক হাজার টাকার নোট। আমার ধারণা অনুযায়ী ৪০ হাজারের নিচে হবে না।
তিনি দুই হাজার টাকা নিলেন তেল খরচ এবং রাস্তার টোল প্রদানের জন্য। দুই হাজার টাকা দিলেন গাড়ির চালককে। এক হাজার টাকা নিলেন নিজের জন্য। বাকি টাকা আয়োজকদের দিয়ে বললেন, এ টাকা দিয়ে আপনারা ইমাম সমাজ একটি সমৃদ্ধ পাঠাগারের সূচনা করুন।
তিনি যখন খাবার খেতে গেলেন, দেখলেন অনেক রকমের খাবার রান্না করা হয়েছে। জিজ্ঞাসা করলেন যে, কে রান্না করেছে? তারপর পকেট থেকে টাকা বের করে সুন্দর করে খামবন্দি করে অনেক টাকা উপহার দিলেন সে মহিলাকে। পরে শুনলেন রান্নাতে পাশের বাসার আরেকজন মহিলা সহযোগিতা করেছেন। তাকেও হাদিয়া দিলেন।
খাবার শেষে তিনি আমাকেও হাদিয়া দিলেন। আমার গাড়ির চালককেও দিলেন। আমার সাথে থাকা দুইজন তালিবুল ইলমকেও হাদিয়া দিলেন।
বলছি শায়খ
#আবদুল_মালিক_হাফি. এর কথা। গতকাল খুব কাছ থেকে নানা ধরণের ফিতনায় জর্জরিত মেহেরপুর জেলায় নিজের চোখে দেখা ঘটনাটি বর্ণনা করলাম।
বয়ানের হাদিয়া নিয়ে বক্তাদের নানা অনিয়ম নিয়ে কয়েকদিন পরপর আলোচনা হয়। শায়খের ঘটনাটি আমাদের সকলের জন্য অনেক বড় শিক্ষা।
#মাওলানা_আবদুল_মালেক হাফি. শুধু বড় আলেম ব্যাপারটি এমন না। তিনি সর্বোচ্চ আখলাকে হাসানার অধিকারী মানুষ। বাংলাদেশের জন্য তিনি আল্লাহপ্রদত্ত অনেক বড় নিয়ামত। আল্লাহ তাকে সুস্থতার সাথে দীর্ঘ নেক কর্মমুখর হায়াত দান করুন।
এ জাতীয় আরো খবর..
Leave a Reply