১. সর্বপ্রথম শয়তান মানুষকে সবচেয়ে বড় পাপ শির্ক-কুফর করানোর চেষ্টা করে। যার পরিণাম চিরস্থায়ী জাহান্নাম। এটা শয়তানের প্রথম টার্গেট। ২. মানুষকে শির্ক-কুফর করাতে না পারলে শয়তান বান্দাকে বিদ’আত করানোর চেষ্টা করে। শয়তানের কাছে পাপের চেয়ে বিদ’আত বেশি প্রিয়। কারণ বিদ’আতীরা বিদ’আত করে নেকী মনে করে। তাই বিদ’আতীদের সাধারণত তাওবা করা নসীব হয় না। বিদ’আতের পরিণাম জাহান্নাম।
৩. শয়তান যদি দেখে বান্দাকে দিয়ে বিদ’আত করানো যায় না, বিদ’আত থেকে বান্দা খুব সতর্ক! তখন শয়তান বান্দাকে কবীরাহ গুনাহ করানোর চেষ্টা করে। যেমন- সুদ, ঘুষ, মদ পান, যেনা-ব্যভিচার, চুরি, মিথ্যা বলা ইত্যাদি।
৪. যদি শয়তান বান্দাকে কবীরাহ গুনাহও করাতে না পারে তখন সে সগীরা গুনাহ করানোর চেষ্টা করে।
৫. যদি শয়তান দেখে বান্দা খুব সতর্ক, সগীরাহ গুনাহও করে না, ভালোই আল্লাহই ভয় আছে। তখন শয়তান বান্দাকে মুবাহ (করলে সওয়াব বা গুনাহ নেই, এমন) কাজে বেশি ব্যস্ত রাখে।
৬. যদি শয়তান এটাতেও ব্যর্থ তখন সে শেষ স্তরে এসে বান্দাকে দু’টি ভালো-নেকির কাজের মধ্যে যে কাজটি কম নেকি বা কম গুরুত্বপূর্ণ, সেই কাজে লাগায়, বেশি গুরুত্বপূর্ণ বা বেশি নেকির কাজটিতে লাগতে দেয় না।
(শয়তানের ধোঁকার উক্ত ৬টি ভাগ বা স্তর করেছেন ইমাম ইবনুল কায়্যিম রাহিমাহুল্লাহ)
আমাদের সবার দেখা উচিত, আমরা শয়তানের ধোঁকার কোন স্তরে আছি। তারপর সেই স্তরসহ শয়তানের সবধরণের ধোঁকা থেকে বাঁচার চেষ্টা করা উচিত।
আল্লাহ আমাদের শয়তানের ধোঁকা থেকে হেফাযতে রাখুন।
আ-মীন।
Leave a Reply