মামাতো বোনের হবু বরের জায়গায় নিজের ভালোবাসার মানুষটাকে দেখে থমকে যায় সাশা।সে এখনো বিশ্বাস করতে পারছেনা তার দেখা সত্যি।তার এখনো মনে হচ্ছে সে কোন দুঃস্বপ্ন দেখছে যেটা ঘুম থেকে উঠলেই ভেঙে যাবে।কিন্তু স্বপ্ন তো ভাঙার নয় কারণ এটাতো বাস্তব।সাশা নিজের জায়গা থেকে সরে সামনে যাওয়া চেষ্টা করছে কিন্তু কোন এক অদৃশ্য শক্তি যেন তাকে আটকে রেখেছে।সাশার চোখে পানি জমে গেছে যেটা কিছুক্ষণ হলেই নিচে গড়িয়ে পড়বে।সাশা এখনো বিশ্বাস করতে পারছেনা তার ভালোবাসার মানুষটা তাকে ছেড়ে অন্যকাউকে বিয়ে করছে।চার বছরের সম্পর্কে কোনদিনও সাশার মনে হয়নি তার ভালোবাসার মানুষটা থাকে এভাবে ছেড়ে চলে যাবে,এভাবে ধোঁকা দেবে থাকে।কাল রাতেও সাশা তার ভালোবাসার মানুষটার সাথে কথা বলেছিল।কিন্তু তার তখনো মনে হয়নি আজ এই সময়ে সে এমন একটা পরিস্থিতিতে থাকবে।কারণ সে তো জানতো তার ভালোবাসার মানুষটা দেশে নেই এখন,সে কাজের জন্য বাইরে গিয়েছে।সাশা একদৃষ্টিতে বরের আসনে থাকা মানুষটার দিকে তাকিয়ে রইলো।কি সুন্দর সবার সাথে হেসে হেসে কথা বলছে মানুষটা।অবশ্য বলারই কথা কারণ আজ যে তার বিয়ে কিন্তু সাশা সে তো হাত থেকে পড়ে যাওয়া কাচের মতো পুরোপুরি ভেঙে গিয়েছে।সাশা আর সেখানে দাঁড়িয়ে থাকতে পারলোনা।দৌঁড়ে কমিউনিটি সেন্টার থেকে বেরিয়ে গেলো সাশা।তারপর গাড়ি নিয়ে আঁকাবাঁকা পথে সোজা বাড়িতে চলে এসে।এতো বড় বিশাল বাড়িতে এখন কেউ নেই,বাড়ি পুরো খালি।অন্য সময় হলে সাশা ভয়ে কাঁপতো কিন্তু এখন তার মোটেও ভয় লাগছেনা।সাশা নিজের রুমে গিয়ে সোজা ওয়াশরুমে চলে গেলো।সাওয়ার ছেড়ে দিয়ে নিচে বসে চিৎকার করে কাদঁছে সাশা।বাসাই কেউ না থাকার কারণে তার কান্না করার কারণের জবাবদিহিতাও আর কাউকে দিতে হবেনা।একসময় কান্না বন্ধ করে ফেলে সাশা তবে এতো সাওয়ার থেকে পানি পড়ছে।একসময় উঠে দাঁড়ায় সাশা।সাওয়ার অফ করে ড্রেস চেঞ্জ করে বাইরে বেরিয়ে আসে সাশা।কান্না করার ফলে প্রচুর মাথা ব্যথা করছে তার।একটা বক্স খুলে কয়েকটা ঔষধ বের করে খেয়ে নেয় সাশা।তারপর ধপ করে বিছানা শুয়ে পড়ে।কিছুক্ষণের মধ্যে ঘুমের দেশে তলিয়ে যায় সাশা।
________________________________________
ফোনের কর্কশ শব্দে ঘুমের ব্যঘাত ঘটে সাশার।আস্তে আস্তে চোখ খুলে সে।মাথাটা পুরো ভারী হয়ে গিয়েছে মনে হচ্ছে কোন বড় পাথর তার মাথার উপর কেউ রেখে দিয়েছে।এরমধ্যে আবার ফোনের কর্কশ শব্দ সাশার কানে এসে পৌঁছায়।বিরক্ত নিয়ে উঠে বসে সাশা।তবে ফোনের স্ক্রিন দিকে তাকিয়ে সাশার মুখে বিরক্ত বদলে কালো ছায়া ছেয়ে যায়।ফোনের স্ক্রিনে ‘অাহিল’ নামটা জ্বলজ্বল করেছে।হ্যাঁ এই ‘অাহিল’ নামক ব্যক্তিটাই হচ্ছে সাশার ভালোবাসার মানুষ।যে তাকে দীর্ঘ চার বছর ধরে ধোঁকা দিয়ে আসছে।ইচ্ছে না থাকার সত্বেও ফোনটা রিভিউ করে সাশা কারণ তার জানতে ইচ্ছে করছে অাহিল থাকে কি বলবে।
অাহিলঃসরি জান আসলে কাল সারাদিন ব্যস্ত ছিলাম তাই তোমাকে ফোন করতে পারিনি।
সাশাঃও আচ্ছা।তা কি এমন ব্যস্ততা ছিল তোমার যে তুমি আমাকে একটা মেসেজও কারার সময় পাওনি।(তাচ্ছিল্যভাবে হেসে)
অাহিলঃআরে জান প্লিজ রাগ করোনা।
সাশাঃআরে আমি রাগ কেন করবো।আচ্ছা সেসব কথা বাদ দাও এখন বলো ‘কাল বাসর রাত কেমন কাটলো তোমার?’
অাহিলঃবাসর রাত?জান তুমি এসব কি বলছো?
সাশাঃও মা তুমি কি ভুলে গেলে।আচ্ছা সমস্যা নেই আমি মনে করিয়ে দিচ্ছি।কাল তোমার সাথে না আইরিন নামের একটা মেয়ের বিয়ে হলো।জানো কালকে তোমাকে না খুব সুন্দর লাগছিল।ইচ্ছে করছিল তখনি তোমাকে একটা কামড় দিতে কিন্তু তুমি তো তখন নতুন বর তাই ইচ্ছেটা ধমিয়ে রেখেছিলাম।আচ্ছা সেসব বাদ দাও এখন,তুমি তো বললে না কাল তোমার বাসার রাত কেমন কাটলো?
অাহিলঃপাখি তুমি এসব কি বলছো?বিয়ে,নতুন বর,বাসর?তুমি কি পাগল হয়ে গিয়েছো?
সাশাঃহ্যাঁ আমি পাগল হয়ে গিয়েছি।ইনফেক্ট আমি তো পাগলই ছিলাম।চার বছর ধরে তুমি যা বলেছো আমি তাই মেনে নিয়েছিলাম।চোখ বন্ধ করে তোমাকে বিশ্বাস করেছিলাম কিন্তু তুমি?তুমি কি করলে?তুমি আমাকে মিথ্যা বলে অন্য একটা মেয়ে বিয়ে করে ফেললে।তারপর এমন নাটক করছো যেন তুমি কিছুই জানোনা।কি করে পারলে তুমি এমন করতে?কি দোষ ছিল আমার যে তুমি আমাকে এভাবে ধোঁকা দিলে?আমার সাথে সম্পর্কে থাকাকালীন অন্য একটা মেয়ে বিয়ে করতে কিভাবে পারলে তুমি?কি হলো বলো?বলছোনা কেন?
অাহিলঃকি বলবো আমি?আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না।তুমি কিসব বলে চলেছো তখন থেকে?
সাশাঃতোমাকে আর বুঝতে হবেনা।আজ থেকে তোমার আর আমার সম্পর্ক শেষ।ভালো থেকো।নতুন জীবনের জন্য শুভেচ্ছা।আর চিন্তা করোনা আমি আর কখনো তোর লাইফে বেক করবোনা।ভালো থেকো তোমার স্ত্রী আর পরিবার নিয়ে।
পরিবারের জোরজবরদস্তি জন্য বউভাতের অনুষ্ঠানে এসেছে সাশা।নতুন বরের বেশে বসে আছে তার ভালোবাসার মানুষটা।সাশা ধীরপায়ে স্টেজ উঠলো।সে ভেবেছিল অহিল থাকে দেখে চমকে যাবে।কিন্তু সাশাকে ভুল প্রমাণিত করে অাহিল উল্টো তারসাথে হেসে হেসে কথা বলছে যেন সে সাশাকে দেখে মোটেও অবাক হয়নি।কিন্তু অাহিলের এই কর্মকান্ডে সাশা প্রচুর অবাক।তার ভাবতেই কষ্ট হচ্ছে যে কিভাবে তার ভালোবাসার মানুষটা বদলে গেলো।পাল্টে গেলো সে,এখন সে অন্যকারো।সাশা আর সেখানে দাঁড়ালোনা,চলে এলো নিজের বাড়ির।
_________________________________________
দেখতে দেখতে ১ বছর চলে গেলো।আজ দীর্ঘ দিন পর সাশা তার বাড়ি ফিরবে।সেইদিনের পরের দিনই সাশা পড়ালেখার অযুহাতে তার বড় ভাইয়ের সাথে আমেরিকা চলে যায়।আজ একটা বছর সে তার পরিবার থেকে দূরে।আজ একটা বছর সে তার ভালোবাসার মানুষটাকে দেখতে পাইনি।সেইদিনই অাহিলের সাথে সাশা সব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে পাড়ি জমায় আমেরিকা।এয়ারপোর্টে প্লেন ল্যান্ড করার পর প্লেন থেকে নেমে কিছুটা পথ যাওয়ার পর সাশা দেখা পায় তার বাবা-মায়ের।তারা দুজনতো তাদের দুই সন্তানকে দেখে খুশিতে আত্মহারা।
দেশে ফেরার পর থেকেই সাশার আবার অাহিলের কথা মনে পড়ছে।এই একটা বছর মনে পড়েনি যে তা নয় কিন্তু দেশে আসার পর যেন একটু বেশিই মনে পড়ছে।সুন্দর নীল রঙের একটা শাড়ি পড়ে বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে সাশা।কারণ আজ যে থাকে পাত্রপক্ষ দেখতে আসবে।সাশাও আর না করেনি।কি লাভ না করে?তার কাছে না করার তো কোন কারণ অবশিষ্ট নেই।তাই সেও তার বাবা-মায়ের কথায় রাজি হয়ে গেলো।কিছুক্ষণ পরেই সাশার মা তাকে নিয়ে নিচে চলে যায় কারণ পাত্রপক্ষ থাকে দেখতে চাইছে।সাশা তাদের সালাম করে চুপচাপ মাথা নিচু করে বসে পড়ে।কিন্তু একটা নাম শুনে সাশা থমকে যায়।মাথা উঁচু করে সামনে বসা ব্যক্তিটাকে দেখে সে থমকে যায়।হঠাৎ দাঁড়িয়ে পরে সাশা।সাশা হঠাৎ দাঁড়িয়ে যাওয়ার কারণে সবাই অবাক হলেও সেই ব্যক্তিটি অবাক হয়নি।সাশা অবাক নয়নে ব্যক্তিটির দিকে তাকিয়ে আছে কারণ তার সামনে বসে আছে আহিল নাম ব্যক্তিটি।যে তাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিল।কিন্তু সাশার মনে প্রশ্ন জেগে উঠলো যে আহিল এখানে কি করছে।
সাশাঃবাবা-মা উনি এখানে কি করছেন?
সাশার বাবাঃতুমি কার কথা বলছো মামুনি?
সাশাঃআহিল নামক ব্যক্তিটার কথা।(গম্ভীরভাবে)
সাশার বাবাঃআরে আহিল বাবার জন্যই তো তোমাকে দেখতে আসা হয়েছে।
সাশাঃকি?এসব তুমি কি বলছো বাবা?উনার জন্য কেন আমাকে দেখতে আসা হবে?বাবা-মা তোমরা কি কিছু জানোনা?
সাশাঃকি জানবে মানে?আরে তোমরা তো জানো উনি বিবাহিত।আইরিন আপুর সাথে ওনার বিয়ে হয়ে গিয়েছে তাও একবছর আগে।আর তোমরা তো বিয়েতে উপস্থিত ছিলে।তাহলে কেমন করে তোমরা এটা করতে পারলে?
সাশার বাবাঃআরে মামুনি তুমি আমার কথাটা শুনো।
সাশাঃকি শুনবো আমি?হ্যাঁ?কি শুনবো?এই লোকটা তোমাদের বোকা বানালো আর তোমরাও বোকা বনে গেলো।
আহিলঃআঙ্কেল আন্টি আমি একটু ওর সাথে একা কথা বলতে চাই।
সাশার বাবাঃঠিক আছে আহিল বাবা।
সাশাঃকি ঠিক আছে?আমি এই লোকটার সাথে কোন কথা নেই।
কিন্তু আহিল সাশার কোন কথা না শুনে থাকে টেনে সাশার রুমে নিয়ে গেলো।রুমে ডুকে দরজা বন্ধ করে দিলে আহিল।
সাশাঃএই আপনি দরজা বন্ধ করলেন কেন?দরজা খোলা রেখে যা বলার বলুন।আর আপনি কি-ই বা বলবেন?বলার মতো কি আর কিছু বাকি আছে আপনার?আমাকে কষ্ট দিয়ে হয়নি যে আবারো কষ্ট দিতে আবার লাইফে ফিরে এসেছেন।কি চাই আপনার?কি চাই?যার কারণে আপনি আবার আমার লাইফে ফিরে এসেছেন?
আহিল হঠাৎ করে সাশাকে দেয়ালের সাথে চেঁপে ধরে আর এক হাতে হাত মুখ।সাশা উমউম করছে কিন্তু আহিল তাও মুখের সামনে হাত দিয়ে রেখেছে।
আহিলঃঅনেক বলেছো তুমি।এবার আমি বলবো আর তুমি শুনবে।তুমি এমন কেন বলোতো জানপাখি?কখনো তুমি কেন আমার কথা শুনোনা?কেন তুমি আমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলে?তুমি জানো তুমি চলে যাওয়ার পর আমার কি অবস্থা হয়েছিল?না তুমি জানোনা।তুমিতো জানতেই চাওনি।যদি চাইতে তাহলে আজ আমরা অন্যকোন পরিস্থিতিতে থাকতাম।
আহিল আস্তে আস্তে সাশার মুখে থেকে হাত সরিয়ে নেয়।
সাশাঃআপনি তে খুব ভালো অ্যাক্টিং করতে পারেন মিস্টার আহিল আহমেদ।আপনার তো বিজনেসম্যান নয় এক্টর হওয়া উচিত ছিল।তাহলে আপনি আরো ভালো নাম কামাতে পারতেন।এই আপনার লজ্জা করেনা নিজের বউকে ছেড়ে অন্য একটা মেয়ের জন্য বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে এসেছেন।লজ্জা করেনা নিজের বউকে ছেড়ে অন্য একটা মেয়েকে এভাবে ধরে রেখেছেন।
আহিলঃতুমি যাকে যেদিন দেখেছো যেটা আমি নয় সেটা অন্যকেউ ছিল।
সাশাঃহ্যাঁ,হ্যাঁ আমিতো কানা।সেইদিন সেখানে আপনি না আপনার জমজ ভাই ছিল আর বিয়েও তার হয়েছে আপনার নয়।
আহিলঃহ্যাঁ সে আমার জমজ ভাই অহিল ছিল।
সাশাঃও প্লিজ মিস্টার আহিল আর নাটক করবেননা।দীর্ঘ চার বছর আপনার নাটক দেখার পর এখন আমি আর আপনার নাটক সহ্য করতে পারছিনা।
আহিলঃআমি কোন নাটক করছিনা জানপাখি।তোমার কি আমার কথা বিশ্বাস হচ্ছে না?
সাশাঃনা হচ্ছে না।যখন নিজের আপন মানুষগুলোই বিশ্বাস ভাঙে তখন কাউকে বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়,খুব কষ্ট হয়।আমি সেদিন নিজের চোখে দেখেছি আর আপনি বলছেন আমি ভুল দেখেছি।না মিস্টার আহিল আমি এতটাও বোকা নয় যে দ্বিতীয়বার তোমার কথায় বিশ্বাস করবো।
আহিলঃওকে ফাইন।জাস্ট ওয়েট ওয়ান মিনিট।
আহিল নিজের ফোন দিয়ে একটু দূরে গিয়ে কাকে যেন ফোন দেয় তারপর আবার ফিরে আসে সাশার কাছে।
আহিলঃগেলেই দেখতে পাবে,চলো।
আহিল সাশার হাত ধরে হালকা আওয়াজে দরজা খুলে তাকে বাইরে নিয়ে আসে।করিডোরে দাঁড় করিয়ে দেয় সাশাকে।
বিরক্ত নিয়ে ভ্রু-কুচকে নিচে তাকাই সাশা।কিন্তু নিচে তাকিয়ে পুরোই অবাক হয়ে যায়,এটা কি দেখলো সে।আহিল?হ্যাঁ আহিলের মতো অন্যকেউ নিচে বসে সবার সাথে কথা বলছে আর তারপাশে বসে আছে সাশার মামাতো বোন আইরিন।সাশার এখনো বিশ্বাস হচ্ছেনা।
আহিল আবার সাশাকে রুমে নিয়ে আসে।
আহিলঃও আমার জমজ ভাই অহিল।আমি তোমাকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য বলিনি যে আমার একটা জমজ ভাই আছে কিন্তু এটাই আমার কাল হয়ে দাঁড়ালো।
সাশা আহিলের কথা শুনে পুরোই স্তব্ধ হয়ে গেলো।হঠাৎ করেই সাশা জরিয়ে ধরে আহিলকে।
সাশাঃআমাকে ক্ষমা করে দিও।আমি না জেনে তোমাকে এতোটা কষ্ট দিয়ে ফেলেছিলাম।আমার উচিত ছিল তোমার সাথে কথা বলে পুরোটা ক্লিয়ার করা কিন্তু আমিই বা কি করতাম।আমি তো ভেবেছিলাম তুমি আমাকে ছেড়ে…..
কান্নার কারণে আর কিছু বলতে পারছেনা সাশা।আহিলও কিছু বললোনা আর।পুরো ঘরে কান্নার আওয়াজ ছাড়া আর কিছু শোনা যাচ্ছেনা।একসময় কান্না থামিয়ে সাশা আহিলকে প্রশ্ন করে।
সাশাঃতাহলে তুমি এতোদিন আসেনি কেন?
আহিল একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলতে শুরু করলো–
আহিলঃসেইদিন তুমি ফোন কেটে দেওয়ার পর আমি অনেকবার তোমার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু তুমি আমার ফোনটা রিভিউ করোনি।আমি তখনো চলে আসছে চেয়েছিলাম কিন্তু চাইলেও তা সম্ভব ছিলনা।এরপরের দিন আমি সবকাজ ছেড়ে এখানে চলে আসি।কিন্তু তাড়াহুড়ো করার কারণে আমার গাড়ি এক্সিডেন্ট হয়ে যায় আর আমি ৭ মাস পর্যন্ত কোমায় ছিলাম।যখন আমার জ্ঞান ফেরে আমি ভেবেছিলাম তুমি আমার কাছে থাকবে কিন্তু না ততক্ষণে অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছিল।আমার পুরোপুরি সুস্থ হতে ১ মাস সময় লাগে।তারপর আমি তোমার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করি কিন্তু বারবার ব্যর্থ হচ্ছিলাম।একদিন আমি জানতে পারি আইরিন ভাবি তোমার মামাতো বোন ভয় তখন আমার খটকা লাগতে শুরু করে।তারপর আমি খোঁজখবর নিতে শুরু করে আর এক পর্যায়ে আমার কাছে সব পরিষ্কার হয়ে যায়।আমার জীবনে আমার ভালোবাসার মানুষটা
#শুধু_তুমি ছিলে।আমি জীবনে শুধু তোমাকেই ভালোবেসেছিলাম আর ভবিষ্যতেও তোমাকেই ভালোবাসবো জানপাখি।
সাশা আবার আহিলকে জরিয়ে ধরলো।
_________________ সমাপ্ত _________________
Leave a Reply