ঃ আরে, ও তো চাকরি করে। বাচ্চা সামলাবে কখন?
ঃ আরে, ও তো ঘরে বসে থাকে। আজকালকার দিনে কী করে বাচ্চা মানুষ করতে হয়, জানে নাকি?
ঃ চাকরি করা মেয়ে। আবেগ, ভালোবাসা কমই আছে এঁদের মধ্যে।
ঃ ঘরে বসে টিভিতে সিরিয়াল দেখে আর জীবনটাকে নাটক মনে করে। আবেগ যেন উথলে ওঠে!
ঃ চাকরি করা মেয়ে। মানুষের মুখের ওপর ঠাস ঠাস করে কথা শোনায়। বেয়াদব একেবারে…
ঃ ঘরে বসে বসে এক্কেবারে যা-তা হয়ে গেছে। লোকজনের সাথে স্মার্টলি দুটো কথাও বলতে পারে না। খ্যাত কোথাকার…
ঃ চাকরি করে? বুঝে গেছি। ও আর স্বামী-সন্তানের যত্ন নেবে কখন? নিজেকে নিয়েই তো ব্যস্ত সারাক্ষণ।
ঃ ঘরে বসে বসে নিজের কী আলুথালু অবস্থা করে রেখেছে! নিজের যত্নই নিতে জানে না, সে আবার স্বামী-সন্তানের যত্ন কী করবে?
ঃ চাকরি করছ, বেশ। কাজ শেষে ঘরে ফিরে আসলেই তো হয়। মার্কেট আর রেস্তোরাঁয় ঘুরতে হবে কেন? সংসারে একদম মন নেই।
ঃ সারাদিন ঘরে থাকলেই কী? সংসারে মন আছে নাকি? সারাক্ষণ মা আর বোনের সাথে ফোনে গুজুরগুজুর চলছেই।
ঃ চাকরি করছ তো সংসারের জন্যেই। এত ফালতু খরচ না করে, টাকাগুলো জমালেও তো পারো।
ঃ চাকরি তো করো না, তাহলে খামোখা এত ফালতু খরচ কেন করো? কয়দিন পর পর নতুন নতুন জামা বানানোর কী দরকার? অফিসে তো আর যাচ্ছ না যে এত কাপড় লাগবে। টাকাগুলো পানিতে না ফেলে জমানো শুরু করো।
ঃ মেয়ে চাকরি করছ, তাই টাকার এত গরম দেখাচ্ছ।
ঃ চাকরি তো করো না, টাকার মূল্য তুমি কী বুঝবে?
মোদ্দা কথা, নারী তুমি ঘর সামলাও বা অফিস, সব দোষ তোমারই।
এ জাতীয় আরো খবর..
Leave a Reply