একশত বছরের জন্মলগ্নের চিৎকারে
বিজয়ের পঞ্চাশটি বছর গত হলেও,
এখনো খুঁজি পিতার ছায়াকে
শহর থেকে গ্রাম, গ্রহ থেকে গ্রহন্তরে।
অতঃপর খুব ভোরে পা বাড়াই গোপালগঞ্জের দিকে
সেইখানে যেখানে মধুমতী বইছে নীরবে,
ছোট-ছোট ডিঙি ভেসে বেড়াচ্ছে তার বুকে।
গায়ের চাষাভুষা কৃষানীরা নাইছে
আর তাদের পোলাপানগুলো উদোম শরীরে
উল্ল্যাসে ঝাঁপ দিচ্ছে তার বুকে।
আমি আনন্দে আত্মহারা হয়ে তাকিয়ে দেখি
আমার সোনার বাংলার সোনার মানুষদের।
বউ-ঝিদের সেই আটপৌরে কাপড় পেচানো
কৃষকের গামছা পরে গোসল করা,
আর গায়ের খেটে খাওয়া হতদরিদ্র পোলাপান
কালাম,সবুর,আমেনাও হালিমার কাছে জানতে চাইলাম,
“তোরা কি চিনিস আমার বঙ্গবন্ধুকে?”
কিছুক্ষণ পর দম ছেড়ে বলে——-
কি কন আফা?আবার কন দি?
আমি আর একবার তেজদ্বীপ্ত কন্ঠে বলি
তোমরা কি চেন আমার পিতাকে?
যেছিল দরদী আর মায়ায় গরীবের বন্ধু!
শিশুখোকা থেকে ধীরে-ধীরে বঙ্গবন্ধু নামে,
বিশ্বের তথা জাতির পিতা হয়েছিলেন।
বাংলার মানুষ যাকে ভালবেসে বঙ্গবন্ধু নাম দিয়েছিল।
এবার ওরা সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে বলে ——
ও আফা,তা আগে কতি হবে তো,
কি কন, তারে চেনে না আবার কিডা!
সে তো আমাগের বাপ-দাদার শেখ সাব।
ওই যে মধুমতী বয়ে যাচ্ছে দেখিছেন
টুঙ্গিপাড়া ওই হানে ঘুমাইয়া আছে।
হের জন্ম না হলি আজ আমরা দেশটারে পাইতাম না
আফনিও এই কথা জিগাতি পারতেন না।
তবে আফা, আফনেরা হের নাম যাই দেন না ক্যান
হে আমাগের সোনার বাংলা
একখান মানচিত্র ও আমাগের নেতা।
আর আমাগের বাপ-দাদার কাছে হে মানে
আমার ভাই তোমার ভাই শেখ মুজিব শেখ মুজিব।
১৬/১২/২০২১
Leave a Reply