1. banglamailnews72@gmail.com : banglamailnews : Zakir Khan
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৪৯ অপরাহ্ন

ফাইভ-জি যুগে বাংলাদেশ – – – মাজহারুল ইসলাম মিচেল

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ২২৫ বার

‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসে’ ফাইভ-জি যুগে প্রবেশ করলো বাংলাদেশ। রবিবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ফাইভ-জি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত থেকে তিনি এই প্রযুক্তি উদ্বোধন করেন। ফাইভ-জি উদ্বোধন করায় অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, শিগগিরই বাণিজ্যিকভাবে দেশে ফাইভ-জি চালু করা হবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, সচিব মো. খলিলুর রহমান, টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিডিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার প্রমুখ।

রাষ্ট্রয়ত্ত মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটকের হাত ধরে বাংলাদেশে এলো ফাইভ-জি। অপারেটরটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন। ফাইভ-জি প্রযুক্তি চালু করতে টেলিটককে সহায়তা করছে হুয়াওয়ে ও নকিয়া। হুয়াওয়ে বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী ঝ্যাং ঝিং জুন অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ফাইভ-জি যদি আমরা মিস করি তাহলে ভবিষ্যৎ ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য সমস্যা হবে। তিনি দেশের মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কের বিবর্তন নিয়ে কথা বলেন। সজীব ওয়াজেদ বলেন, আমাদের লক্ষ্য হলো বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। ফাইভ-জি কেবল উন্নত দেশগুলো চালু করছে। আমরাও সে সময়ে চালু করতে যাচ্ছি। আমরা পিছিয়ে থাকতে চাই না।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশ প্রযুক্তি গ্রহণে আর কখনও পিছিয়ে থাকবে না। যখন যে প্রযুক্তি আসবে, হয়তো সবার আগে বাংলাদেশ সেই প্রযুক্তি গ্রহণ করবে। ফাইভ-জিতে বাংলাদেশ খুব বেশি দেরি করেনি। আগামী মার্চ মাসে মাসে মালয়েশিয়া ফাইভ-জি চালু করবে।

তিনি জানান, ২০১৮ সালে দেশে ফাইভ-জির টেস্ট অপারেশন চালানো হয়। সেই সফল পরীক্ষার ফলই আজকের দিনটি।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, টেলিটকের মাধ্যমে ঢাকা শহরের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়, ধানমন্ডি ৩২, বাংলাদেশ সচিবালয়, মানিক মিয়া এভিনিউ (সংসদ ভবন এলাকা) এবং ঢাকার বাইরে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকা ও টুঙ্গিপাড়ায় ফাইভ-জি কাভারেজের আওতায় আসছে।

আরও জানানো হয়, বিশ্বে ফাইভ-জি প্রযুক্তি চালুর ২ বছরের মধ্যে বাংলাদেশেও এই প্রযুক্তি চালু হলো। ফাইভ-জি প্রযুক্তির সুবিধার কথা বলতে গিয়ে বলা হয়, এই প্রযুক্তির মাধ্যমে মোবাইল গ্রাহকরা অধিকতর উন্নত গুণগত মানের ভয়েস কল ও ফোরজি থেকে বহুগুণ দ্রুত মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারে সক্ষম হবে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে ঢাকায় বসে প্রত্যন্ত অঞ্চলে রোগীর রোবট সার্জারি করা যাবে। ড্রাইভারবিহীন গাড়ি চালানো যাবে, স্মার্ট ফ্যাক্টরি স্থাপনের মাধ্যমে অটোনোমাস উৎপাদন সক্ষমতা অর্জন করে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা যাবে।

No description available.

মাজহারুল ইসলাম মিচেল

স্টাফ রিপোর্টার

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..