অথচ জীবন !
সেই বা কতটা স্বর্গীয়?
দুধের বাচ্চাও তো না খেয়ে মৃত্যু কষ্ট পায়,
দরিদ্র বাবা ধুকে ধুকে বিনা চিকিৎসায় একটু একটু করে রোজ মরে যায়।।
মানুষ মৃত্যুকে ভয় পায়,
মৃত্যুর কথা শুনতেই চমকে যায়, থমকে যায়,
পরকাল থেকে সকলে রেহাই পেতে চায়……
কাল যে বাচ্চাটার জন্ম হলো ?
ডাক্তার বলেছে তার নাকি এইডস!
কিন্তু কেন?
সে কি পাপ নিয়েই পৃথীবিতে এলো?
নামের কারণে মৃত্যু অপ্রিয় অবাঞ্ছিত,
এই পাপ মাথায় নিয়ে পৃথিবীতে না আসাই তো ভাল ছিল।।
রূঢ় পৃথিবীর নোংরা রাজনীতি,
যান্ত্রিকতার যাঁতাকল আর রসালো কথার ভীড়,
মাথার ঘাম পায়ে ফেলেও না খেয়ে দিন কাটায়
ইট ভাটার কর্মী।
পয়সার অভাব, গলায় সুর আর উঠে না, গান আর গায় না পদ্মার মাঝি, শরীর অসুখে ভর্তি।।
ঘরে কাজের মেয়েটা কাজ করছে পেটের দায়,
প্রমাণ ছাড়াই সব দোষ তার, কারণে অকারণে সন্দেহ বশত মার খায়;
আচ্ছা, এরা কি মার খাওয়ার জন্যই জন্মায়??
এসব প্রশ্নের উত্তর কে দেয়?
তিন ওয়াক্ত রুটির জন্য জীবন রাত দিন কত কঠিন পরীক্ষা নেয় !!
সম্পর্ক গুলোও কি পরিমাণ আজিয়াত দেয়,
বিনা কষ্টে হাতের রেখা, নিছক রেখা বৈ অন্য কিছুই
তো নয়!
শ্বাস-প্রশ্বাস নিতেও তো হৃদয়কে অনেক
কাঠ খড় পোড়াতে হয়।।
পৃথিবীর মানুষ গুলো প্রাণখুলে কয়দিন হাসে ?
শান্তিতে কয়দিন ঘুমায় ?
এক ঝামেলা শেষ তো, আরেক মুছিবত শুরু…..
ক্ষণে ক্ষণে চলার পথ বলা নেই কওয়া নেই হঠাৎ দিক বদলায়…..
যা কোনো দিন ভাবা হয় নি, তেমনি হঠাৎ অজানায় মোড় নেয় ।
আযাব তো জীবনও বেশুমার দেয়।।
এ জাতীয় আরো খবর..
Leave a Reply