পবিত্র কোরআন শরীফে আল্লহ তাআলা রমযান মাসের ফজীলত ছাড়াও আরো চারটি অতি সন্মানিত ও ফজীলতপুর্ণ মাস বলিয়া উল্লেখ করিয়াছেন।হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) সেই বরকতপুর্ণ চারটি মাসের নাম তাহার উম্মতদিগকে পরিস্কারভাবে বলিয়া দিয়াছেন।তিনি বলিয়াছেন,চারটি মাসের মধ্যে তিনটি উপর্যুপুরি।ঐগুলি হইল-যিলক্বাদ,যিলহজ্ব ও মহররম, আর আলাদাটি হইল রজব।(এবনে মাজা)
আল্লাহ তায়ালা বলিয়াছেন,”এই ফজিলতপূর্ণ মাসসমূহে তোমরা পাপাচার করিয়া নিজেদের প্রতি জুলুম করিও না।”
এই কথার মর্মানুযায়ী বুঝা যায় যে,আল্লাহ তায়ালা অন্যান্য মাস হইতে এই মাসগুলিকে গুরুত্ব দিয়াছেন অধিক।অতএব এই মাসগুলিতে ইবাদাত করিলে অন্যান্য মাসে ইবাদাত করিবার চাইতে বেশী সওয়াব পাওয়া যাইবে।
ফাজায়েলুশ শুহুর কিতাবে বর্ণনা করা হইয়াছে,হযরত রাসুলে খোদা (সাঃ) বলিয়াছেন-“যেই ব্যক্তি মহররম মাসের প্রথম ১০দিন রোজা রাখে সেই ব্যক্তি যেন দশ হাজার বৎসর দিনে রোযা রাখিল এবং ইবাদাত করিয়া রাত্রি যাপন করিল।
হযরত ওসমান(রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে-হযরত রাসুলে খোদা (সাঃ) বলেন,তোমরা আল্লাহর (প্রিয়) মাস মহররমের প্রতি সন্মান দেখাইও।যেই ব্যক্তি মহররম মাসের প্রতি সন্মান দেখায় আল্লাহ্ তায়ালা তাহাকে জান্নাতে সন্মানিত করিবেন এবং দোযখ হইতে মুক্ত রাখিবেন।(এবনে মাজা)
মাজালেছুল আবরার কিতাবে বর্ণিত আছে – হযরত রাসুলে খোদা (সাঃ) বলিয়াছেন,”যেই ব্যক্তি মহররম চাঁদের প্রথম রাত্রিতে দুই দুই রাকাত করিয়া ৮রাকাত নফলনামায পড়ে এবং প্রতি রাকাতে সুরা ফাতিহার পর ১০বার সুরা ইখলাস পাঠ করে আল্লাহ তায়ালা সারা বৎসর তাহাকে তাহার ধন-দৌলতকে এবং সন্তানদেরকে সর্বপ্রকার বালা-মুসিবত হইতে নিরাপদ রাখেন এবং তাহাকে আল্লাহর সন্তুষ্টির পথে পরিচালিত করেন।তাহার পূর্ব বৎসরের সমস্ত সগিরা গুনাহ ক্ষমা করিয়া দেন।
Leave a Reply