লক্ষ্যবস্তুর পরিবর্তনের যথাক্রমিকতার সামান্য হেরফের হয়েছে মাত্র। চল্লিশ বছর আগে টাঙ্গাইলের আনন্দময়ী কেবিনে এমনতর আড্ডা হতো হররোজ।
জীবন গতিময়তার সুঘ্রাণে পরিতোষপ্রাপ্ত হওয়ায় পরস্পর সদ্ভাব নিয়ে সবাই বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এই বিচ্ছিন্নতা অনেকটা সময়ের দাবি, জীবন যাপনের অবধারিত অধ্যায়।
———————–
আনন্দময়ীর আড্ডার প্রতিরূপ ফুটে উঠেছিলো ম্যাজিক লণ্ঠন আড্ডায়। আমরা সেই সাদৃশ্য ধরে রেখেছি। যদিও এটি কোনো এপিক নয়। তবু এই চিত্রটি পঞ্চাশ বছরেও দেখি নি। হ্যাঁ, আনন্দময়ীতে আড্ডা হয়েছে আরও অধিক সংখ্যক কবির সমন্বয়ে। কিন্তু কোনো গ্রুপছবি আমার কাছে নেই, কখনো চোখেও পড়ে নি।
————————-
ম্যাজিক লণ্ঠন আড্ডায় সম্মিলিত বন্ধনের ঔজ্জ্বল্য দৃষ্টিগোচর হওয়ায় সুস্হির, বিজ্ঞ ও আত্মস্হিত হয়ে মধুর ক্ষণটি ক্যামেরায় ধরে রেখেছি। এমন একটি ছবি আর কখনই কোনো ক্যামেরায় ধারণ করা সম্ভব হবে না। কারণ, ব্যবহৃত ছবিটির একজন ইতোমধ্যে জীবনের শক্তি ও বিন্যাসের মিশ্রণে স্বল্পায়ু নিয়ে পার্থিব জীবনকে গুডবাই জানিয়েছেন। তাই, স্হিরচিত্রটি খুবই মূল্যবান।
————————–
গ্রুপ ছবিটির দুজন : কবি মাহবুব সাদিক ও কবি সাযযাদ কাদির আমাদের সরাসরি শিক্ষক ছিলেন।
পৃথিবীর মানুষ সংখ্যায় শর্তাধীন কিন্তু শ্রেষ্ঠ নয়। তবে সময়ের প্রেক্ষিতে এ-দুজন শ্রেষ্ঠ মানুষ। উপর স্তরের গুণাবলি সমৃদ্ধ সাহিত্যিক : তাদের মহিমা প্রচারযোগ্য।
—————————-
ছবিটির বাঁদিকের প্রথমজন : শফিক ইমতিয়াজ।
কবিতা, ছড়া, গল্প ও প্রবন্ধ লিখে দোরগোড়া মজবুত করে নিয়েছেন।
পেশায় প্রফেসর ড. শফিক ইমতিয়াজ।
——————————
ছবির দ্বিতীয়জন : সাযযাদ কাদির।
কবিতা, গল্প, উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ ও অনুবাদে অনেক আগেই বাংলা সাহিত্য-পাঠকের মন জয় করে নিয়েছেন।
পেশায় ডাকসাইটে সাংবাদিক ছিলেন। আমরা এই মহান মানুষটিকে চিরতরে হারিয়েছি।
—————————–
ছবির বাঁদিকের তৃতীয়জন : মাহবুব সাদিক।
কবিতা, গল্প, উপন্যাস, শিশুতোষ ও প্রবন্ধ লিখে বাংলা সাহিত্যে নিজস্ব স্বকীয়তা উজ্জ্বল করে তুলেছেন।
পেশায় প্রফেসর ড. মাহবুব সাদিক।
——————————-
ছবির চতুর্থজন : আলমগীর রেজা চৌধুরী।
কবিতা, গল্প, উপন্যাস ও প্রবন্ধ লিখে জনপ্রিয় হয়েছেন।
পেশায় সাংবাদিক।
——————————-
ছবিটির পঞ্চমজন : জাহাঙ্গীর ফিরোজ।
কবি হিসেবেই তার ব্যাপক পরিচিতি।
পেশায় সাংবাদিক।
——————————
ছবিটির ষষ্ঠজন আমি রতন মাহমুদ।
কবিতা, ছোটগল্প, উপন্যাস, নাটক, কিশোর সাহিত্য, ভ্রমণ কাহিনী ও প্রবন্ধ লিখে সামান্য পরিচয় অর্জন করেছি।
পেশায় নানাবিধ কর্ম করলেও মূলত অর্থনীতির ছাত্র।
Leave a Reply