বাসায় পড়ানোর সময় অভিভাবক খেয়াল করলেন যে, তাদের সন্তান ‘ন্যাচার’কে ‘নাটুরে’ (Nature) বলে উচ্চারণ করছে! কার কাছ থেকে উচ্চারণটি শিখেছে জানতে চাইলে সন্তান জানালো – স্কুলের ইংরেজির শিক্ষকের কাছ থেকে। ইংরেজি শিক্ষকের কাছে যেয়ে অভিভাবক বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলেন। তিনি দুঃখ ভারাক্রান্ত কণ্ঠে জানালেন, “চিন্তার কোন কারণ নাই, ছাত্ররা একটু ‘মাটুরে’ (Mature) হলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।” বিষম খেয়ে অভিভাবক প্রধান শিক্ষকের কাছে নালিশ করলেন – “কী ধরণের বিদ্যাপীঠ এটা, স্যার! ছাত্র বলে ‘নাটুরে’, শিক্ষক বলেন ‘মাটুরে’!” শুনে প্রধান শিক্ষক উদাস হয়ে বললেন, “সবাই শুধু বড় বড় কথা বলে। একজনও ভাল ‘লেকটুরে’ (Lecture) দিতে পারে না।” ক্ষিপ্ত অভিভাবক এবার উত্তেজিত হয়ে দেখা করলেন স্কুলের গভর্নিং সভাপতির সাথে। সভাপতি একটু হতাশ কণ্ঠে বললেন, “আমিও বুঝি। কিন্তু কী করবেন বলুন? এটাই যে এই অঞ্চলের ‘কালটুরে’ (Culture)।” অভিভাবকের মাথায় চক্কর দিলো। তিনি কোনমতে লোকাল সাংসদের সাথে দেখা করলেন। তিনি সব কিছু শুনে প্রবল চিৎকার, চেঁচামেচি করতে করতে বললেন, “আমি জানতাম, আমি আগেই জানতাম, এই স্কুলটার নাই কোনো ‘ফুটুরে’ (Future)!” অভিভাবক কাঁপতে কাঁপতে পড়ে গিয়ে মাথা ফাটিয়ে ফেললেন। জ্ঞান হারাতে হারাতে শুনতে পেলেন, কে যেন বলছে, “ফেসবুকে দিবো… একটা ‘পিকটুরে’ (Picture) তুলে দে!”
Leave a Reply