চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনভাইরাসের সংক্রমণে যুক্তরাষ্ট্রে মৃতের সংখ্যা বর্তমানে প্রায় ২ লাখ ৬০ হাজার। আক্রান্ত ১ কোটি ২০ লাখ ৭০ হাজার ৭১২ জন। এই অবস্থায় দেশটিতে চলছে শীত মৌসুম। সেখানে করোনা পরিস্থিতি এতটাই বেগতিক, দিনে হাজারেরও বেশি মৃত্যু হচ্ছে, হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিভিন্ন স্টেটের গভর্নরদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ভাবী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। পরে গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, দেশে লকডাউন দেওয়ার পরিকল্পনা নেই, তবে সবাইকে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরতে হবে।
পাঁচজন ডেমোক্র্যাট ও পাঁচ রিপাবলিকান গভর্নরের সঙ্গে আলোচনার পর নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানান বাইডেন। জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়েচেভেলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। ওই প্রতিবেদনে বাইডেনে বক্তব্যও তুলে ধরা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ১০ গভর্নরের সঙ্গে আলোচনার পুরো বিষয়বস্তু ছিল করোনাভাইরাসের মোকাবিলা করা।
বাইডেন বলেছেন, আমাদের দেশের প্রতিটি অঞ্চল, প্রতিটি সম্প্রদায় আলাদা। তাই জাতীয় স্তরে লকডাউন ঘোষণা করলে কাজ হবে না। বরং তাতে উল্টো ফল হবে।
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বাইডেন। এমসময় তিনি বলেন, দেশ একটা সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। শীত জেঁকে বসছে। পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হতে পারে। স্টেটগুলোতে লক ডাউন দেওয়া হবে না, তবে সবাইকে মাস্ক পরিধান করতেই হবে।
করোনা মোকাবিলার ছয় দফা পরিকল্পনা পেশ করেছেন বাইডেন। তার পরিকল্পনাগুলোর মধ্যে আছে, রাজ্যগুলিকে আর্থিক সাহায্য, স্বাস্থ্য পরিকাঠামো বৃদ্ধি, বেকারদের সহায়তা বাড়ানো, মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা, সহজে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা।
বাইডেনের দাবি, তার করোনা পরিকল্পনা নিয়ে মতৈক্য হয়েছে। তবে রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাট গভর্নররা তার প্রস্তাবে সম্মত হয়েছেন। তারা বলছেন, দেশ হিসাবে আমাদের এক হতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভাবী ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস বলেছেন, গভর্নরদের অর্থ দেয়া হবে। তাতে তারা কাজ করতে পারবেন এবং দেশের অর্থনীতি আবার আগের মতো ঠিক রাস্তায় ফিরবে। আর করোনার মোকাবিলায় আমরা ডেমোক্র্যাট বা রিপাবলিকান নই। আমরা অ্যামেরিকান।
এদিকে বাইডেনের অভিযোগ, তাকে এজেন্সিগুলো এখনও ব্রিফিং দিচ্ছে না। ট্রাম্প প্রশাসনও তাকে কোনো সহযোগিতা করছে না।
Leave a Reply