বর্ষার রাত হঠাৎ ঝড় বৃষ্টি বাদলা মাঝে অনামিকা চোখের ইশারায় নূরকে বলল,ছাদের উপর উঠার জন্য তারা উভয়ই দু’ছাদে ওঠে এল,প্রায় মধ্যরাত দূর থেকে দু’জনই অন্তরের সৌরভ উপভোগে মত্ত।মনে হয় রাতের পরীরা যেন নৃত্য করে বেড়াচ্ছে সে সময়।
নূর ইশারায় অনামিকাকে বুঝায় যদি কেউ দেখে ফেলে।অনামিকা ইশারায় আর চোখের ভাষায় বলে ঝড় বৃষ্টির মাঝে কেউ তাদেরকে দেখতে আসবে না।মনোষ্যচিত মাঝে বোধ হয় নারী জাতি স্বর্গের হুর তাই তারা অদৃশ্য সুন্দরী।তাদের রুপের পরশ পেলে পুরুষ তাকে ধরতে আর স্পর্শ করতে ইচ্ছা জাগে।সেই অনুরুপ অবস্থা নূরের হয়েছে অথচ দূরত্বের জন্যে তার আশা অপুর্নতা থেকে যায়।নূর ইশারায় অনামিকাকে বলে,সে কি রাত জেগে থাকবে।বিষ্ময়ে হত বুদ্ধি হয়ে নূর চোখের ইশারায় দু’হাত জোরে অনুরোধ করে……।চল নেমে যাই ঘুমাতে।চোখের ইশারায় হাসি মুখে টা টা দিয়ে ছাদ থেকে অনামিকা নেমে যায়।আপনার আবাসে।ঝড় বাদলের রাত তবু নূরের মনে হয়েছে,এ রাত
যেন তারাময়ী রাত্রি মতো।এ চেনা প্রকৃতি কুয়াশায় নয়।এ শূন্য হৃদয়ে এক ভালোবাসা ভরা মায়াময়।নূরের মনে হয়,অনামিকা তোমাদের মত নারীদের সংস্পর্শে পৃথিবী হয়েছে সুখময়।তুমি তো একজন নারী,তুমি কি পারনা তোমার সংস্পর্শে নূরের পৃথিবীকে সুখময় করে তুলতে।গভীরে বিকশিত রাতে স্মৃতিতে আজ কত আনন্দ ব্যথায় অশ্রু আকারে ঝরে তার হৃদয়য়ের গভীরে।হয়তো মরনের বীথিকার প্রেমের উচ্ছাস জীবনের যাতনায় মৃত্যুর মাধুরী ঝরা মন বষন্ত উৎসবে।নূরের মনে পরে হঠাৎ একদিন পার্কে একা একাই পায়চারী করছে তখন সে দেখে বিভিন্ন তরুন তরুনী গল্প করছে,পার্কে বিভিন্ন স্থানে উন্মত্ত বেদনা হৃদয়টা চৌচির হয়ে যেতে লাগে।সে সময় নিজেকে এত অসহায়ত্ব মনে হয় তার সেই মুহূর্তে।নূর শরবিদ্ধ পাখির মত ছটফট করে মনের অজান্তে ঘুরে ফিরে নাম না জানা সেই স্মৃতিময় মেয়েটিকে নিয়তির ছলনায় সুখের গভীরে বিষাদের ছায়া বিচ্ছেদের কঠোর মুর্তি এর মাঝে ইতিবৃত্ত অনুমেয়।
Leave a Reply