কারে কীযে বলব আমি কথা
চুপে শুধু ঢেকে যাই এ ব্যথা,
অন্তর মাঝে বাজে কেন সুরে
আপন মানুষ আজ রয় কেন দূরে।
জানি না তো কিছু
ছাড়ি না তো পিছু
হবো না তো নিচু।
যা কিছুটা ছিল বাকি বলা
সময় এলে দেখে নিও তলা
হৃদয় মাঝে আছে কত জ্বলা
সুজন হয়ে করলে কেন ছলা।
উচাটন মন কেন বলে এত
গাঁথিস না রে মালা তুই আর সেতো,
বিবেক বুদ্ধি হারায়ে এই ক্ষণে
নেমেছি সেই ঘাটে শূন্য মনে।
আকুল হয়ে মরি
ভাসাই নিজে তরী
আঁকড়ে তারে ধরি।
এসে জীবন সায়াহ্নেতে দেখি
অবাক হয়ে বলি আমি এ কী!!
চেয়েছিলাম মনটা ভরে কারে
জানি সে তো কাছে আজ রয় না রে।
ভরবে কিনা জানি না তো খিদে
সারাজীবন গেল শুধু নিদে,
জাগব কবে বলো তুমি আজই
পূরণ করব ক্যামনে বলো কাজই।
ভাবি বসে ক্ষণে
বেদনা এই মনে
দেখবে শুধু জনে।
আড়াল থেকে চন্দ্রমুখী দেখে
দুয়ারে আজ দাঁড়ায় আছে সে কে,
মনে যারে খুঁজেছিল সে কী?
যার ছবিটা পটে এঁকে দেখি।
গোধূলী ঐ লগনে সে এসে
কেন হয়ে জড়ালো এক পেশে,
ধীরে ধীরে গড়ল প্রেম তাজমহল
সৃষ্টি করে ফেলল মধুর নহল।
করি কীযে উপায়
ভাবি আমি উহায়
দিলাম তারে দোহায়।
সামনে এসো না আর, থাকো সরে
নইলে চিরতরে যাবো মরে,
রাখা তখন বিপদ হবে ঘরে
মনের গহীনে সে যেন নড়ে।
মান-অভিমান করে রয়েছি নিজে
ভেবে পাই না এখন করি কীযে,
নয়নে অশ্রু ঝরে অবিরত
নালিশ কারে করি সবি ক্ষত।
শুকোবে না হয় তো
কোনোদিনও নয় তো
হোক তবু তার জয় তো।
পিছিয়ে যাব চলে ছিলাম যেথা
জীবন-যুদ্ধে যাহা ছিলাম সেথা,
কুড়েঘরে স্বপ্ন দেখব কভু
আকাশের চাঁদ যেন পাই ও প্রভু।
সব তারারা কী আর জ্বলতে পারে
অমাবস্যার রাত যে ঢাকে তারে,
দূর গগণে মিটিমিটি জ্বলে
চোখের ভাষায় যেন কিছু বলে।
পায় না কারো দেখা
মন্দ ভাগ্যরেখা
নেই কপালে লেখা।
হঠাৎ একদিন ঝরে পড়ে শূন্যে
খোঁজে ধ্রুবনীল আজ হয়ে হন্যে,
ধূসর হয়ে গেছে যত স্মৃতি
নেই তো তার সে আগের মতো প্রীতি।
ক্ষমা করো যত ত্রুটি আমার
পুড়ে সবই হোক না তবে তামার,
পুড়তে পুড়তে তৈরি সোনা খাঁটি
হয় যে শেষে পরিনত মাটি।
হীরা দিয়ে মোড়া
অঙ্গখানি জোড়া
হৃদয় তবু পোড়া।
গন্ধরাজের সুবাস দিলে মেখে
চমকে উঠে দেখি পথে সে কে!!
ধূসর মেঘে ছেয়ে আছে বদন
চলছে অবিরত যেন রোদন।
ধ্বংসলীলায় চলি আজ নীরবে
রইল কী আর রইল না ভাবি তবে,
এসে শেষ বেলাতে প্রদীপ জ্বালায়
ঝড়ে নিভে গিয়ে স্বপ্ন পালায়।
ঘিরে ধরে ব্যথা
নেইতো কেউ যে সেথা
খন্ডন করবে হেথা।
বিরহের সেই মুক্তোমালা পরে
গেলাম আজই দূরে চলে ওরে,
সুখের চাবি দিলাম হাতে তুলে
থেকো ভালো আমায় তুমি ভুলে।
সমাধিতে দিও গুচ্ছফুলের
যখন হবে সবকিছুতে ভুলের,
মরণ এসে ছোবল দেবে তখন
রইবে না যে হয় তো কোনো সে ক্ষণ।
বেসো একটু ভালো
দিও গোলাপ কালো
জ্বেলো প্রেমের আলো।
চারিদিকে অাঁধার আসবে নেমে
নিরবতায় যাবে সবই থেমে,
একাকী সেই শূন্য বাসর গিয়ে
থাকব আমি স্মৃতিটুকু নিয়ে।
এই শেষ হলো আমার জীবনগাঁথা।।
এ জাতীয় আরো খবর..
Leave a Reply