ফেসবুক থেকে প্রেম শুরু আমার।
দামি ক্যামেরায় তোলা, এডিট করা রূপের জেল্লা দেখে মুগ্ধ হয়েছিল ছেলেটা!
আমি বারবার বলেছিলাম,আমি বাস্তবে রুপবতী নই। তবুও ছেলেটি বলেছিল,আমি তোমার রুপকে না তোমায় ভালোবাসি!
একদিন আমার রুপের যাচাই করতে ভিডিও কল করে, আমিও ভালবাসে এই জেনে নিঃসন্দেহে কল টা তুলি। কিন্তু দ্বিতীয় বার ওই নম্বরটা থেকে আর কল আসেনি।
আমি চেষ্টা করেছিলাম অনেক, কিন্তু আমায় ব্লক করে দেয়!
এরপরেও যে রূপ দেখে ভালোবাসা হয়না এই কথাটার কতটা সত্যতা আছে?
তোমার মতন প্রেমিক’রাই হয়তো আমাদের বুঝিয়ে দেয়,রুপ দিয়ে পুরুষ মানুষ কাবু করা সহজ,গুন দিয়ে নয়!
যতোই নিজের সৌন্দর্য নিয়ে খুশি থাকতে চাইনা কেন, মানুষ যখন আমার সামনে সুন্দরী মেয়েদের বেশি গুরুত্ব দেয়,বিশ্বাস করো অল্প হিংসে হয়! তখন মনে হয় যে এই সমাজে হয়ত সবথেকে রূপের চর্চা টাই বেশি হয়, যার যত বেশি রূপ আছে তার গুরুত্ব তত বেশি!
জামাকাপড় কিনতে গেলে কোনো রং পছন্দ হলে, দোকানদার টাও প্রকাশ্যে বলে এই রং ফর্সাদের মানায় তুমি বরং অন্যকিছু দেখো!
শাড়ির ফাঁকে, ব্লাউজের ফাঁকে কালো পিঠ বা কোমর দেখে অনেকেই বলে ঢেকে রাখ ভালো লাগনা!
আবার ফর্সা মেয়েদের পেট,পিঠ দেখে তারাই বলে “ক্রাশ খেয়েছি”!
চাকরির আগে সারারাত ঘুম আসতো না,বহু পরিশ্রমের পর চাকরিটা হলো তবু চোখের নিচের কালো দাগটা ঘুচলো না!
এক আসড়ে আমার পাশে থাকা ফর্সা সুন্দরী বেকার মেয়েটা,চেনা পরিচিত চাকরিজীবী বন্ধুগুলোর ক্রাশ হলো! তবু আমার দিকে কেউ ঘুরে তাকায়নি সেদিন। যোগ্যতা সেদিনও সৌন্দর্য্যের কাছে হেরে গেছিলো।
হয় হয় কষ্ট হয়,সে আপনারা বুঝবেন না!
আপনারা সৌন্দর্য শুধুই রং’এর ভিত্তিতেই করেন, মনের সুন্দর সাতটা রং কে আপনারা এড়িয়ে গেছেন, এড়িয়ে যাচ্ছেন আজও!
আসলে রুপবতী হতে যে শরীরের সব রং’ই যথেষ্ট!
Leave a Reply