তোমার জেঠুর ছেলে আমেরিকায় থাকে
পাশের বাড়ির কাকুর ছেলে ডাক্তার,
নিজে ইনকাম করো খেটে খাও—
অনার্সটা কবে শেষ করবে আড্ডার!
চোখে পড়েনা মাকে তোমার
অর্ধেক খেয়ে জুগিয়ে রাখে তোমাকে,
হাড়ভাঙা পরিশ্রম সকাল সন্ধ্যা আমার—
তাতেও কোনো পরোয়া নেই তোমার
বন্ধ ঘরে মুখ পোড়াও তামাকে ?
চিন্তা করোনা সোসাইটির কথা একবারও
কতটা যন্ত্রণা কতটা অপমানিত হই,
তাইতো তোমার বড়ো হওয়া দরকার—
তোমাকে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার দেখতে চাই।
না পোষালে চলে যেও বাড়ি থেকে
যারা বাবা-মায়ের স্বপ্ন বোঝেনা
স্বার্থপরের মতো নিজের নিয়ে ভাবে,
তোমার বদলে দত্তক নেবো অন্য
ওকে মানুষের মতো মানুষ করবো;
যেন আমাদেরটাও বোঝে শুধু নিজেরটা নয়।
আমি আড্ডায় যাইনা বাবা আর
দশ বারোজন দল বেঁধে রিহার্সল করি,
আমার স্বপ্নকে আরো এক আরো এক—
এক এক করে বড় করে তুলি।
না বাবা আমি নেশা করিনা
তোমরা যেই স্বপ্নগুলো চাপিয়ে দাও
যেগুলো আমার নিজের নয়,
তিল তিল করে আমার স্বপ্নকে জ্বালাচ্ছে—
তাদের আমি পুড়িয়ে মারি;
আমি নিজের স্বপ্নকে বাঁচাতে জানি বাবা
এও জানি, ওপারার হারান কাকুর মেয়ের কথাও
গিটারিস্ট হতে পারেনি বলে বিষ খেয়েছিলো,
আমিও জানি বাবা আমিও জানি।
বাবা আমি শিল্পী হতে চাই
ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হতে চাইনা,
আমার জাদুতে নাচবে গোটা পৃথিবী—
তুমি আমায় শিল্পী হতে দিতে পারোনা?
আমি স্বার্থপর নই বাবা
হ্যাঁ, আমি আমার স্বপ্নকে ভালোবেসেছি,
মানুষের মতো মানুষ আমিও হবো
গর্ব করে বলবে সেদিন তুমি—
আমার ছেলে মস্ত বড় শিল্পী।
Leave a Reply