1. banglamailnews72@gmail.com : banglamailnews : Zakir Khan
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
# আহারে # খোরশেদ ।। সমাজে নতুন অপরাধী চক্র তৈরী হচ্ছে কিন্তু ভবিষ‍্যতে এদের রক্ষা করবে কে??।। – – – আশিক ফারুকী “অতঃপর” __ সালমা আক্তার বীরাঙ্গনা নই আমি মুক্তিযোদ্ধা – – – শাহনাজ পারভীন মিতা জলপাই রঙের স্বাধীনতা – – – আরিফুল হাসান প্লাস্টিকের উৎপাদন বন্ধ করতে হবে – উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ান হাসান – – – স্বাধীন আজম –   টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি, স্বপ্নমায়া – – – – মাহজাবীন আহমেদ বুড়ি মরে গেল – – – মোঃ আবদুল্লাহ ইউসুফ ইমাম প্রযুক্তির দুনিয়ায় শিক্ষার্থীদের এখন উন্নত জীবন গড়ার দারুণ সময়:– ————–টিপু সুলতান লেখক ও সমাজ চিন্তক ডায়াবেটিস নিয়ে সচেতনতাই পারে ডায়াবেটিস রোগ নির্নয় ও রোগের চিকিৎসা এবং সঠিক ব্যবস্থাপনা – – – ডা: সাদিয়া আফরিন 

প্রজ্ঞা ও আত্মা’র তাৎক্ষণিক বাজেট প্রতিক্রিয়া ২০২১-২২: আরেক দফায় সস্তা হবে তামাকপণ্য, বাড়বে তামাকজনিত ক্ষতি — মো: হাসান শাহরিয়ার

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৪ জুন, ২০২১
  • ৪১৭ বার

 

প্রস্তাবিত বাজেটে সিগারেট বাজারের প্রায় ৭২ শতাংশ দখলে থাকা নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। অথচ  বিগত বছরের তুলনায় জনগণের মাথাপিছু আয় বেড়েছে ৯ শতাংশ। প্রস্তাবিত বাজেট কার্যকর হলে সিগারেটের প্রকৃতমূল্য হ্রাস পাবে এবং তরুণ ও দরিদ্র জনগোষ্ঠী ধূমপানে উৎসাহিত হবে। একইসাথে বিড়ি এবং বহুল ব্যবহৃত জর্দা-গুলের দাম ও শুল্ক অপরিবর্তিত রাখায় নিম্ন আয়ের মানুষ বিশেষত নারীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়বে। প্রস্তাবিত বাজেট পাশ হলে লাভবান হবে তামাক কোম্পানি, সরকার হারাবে বাড়তি রাজস্ব আয়ের সুযোগ। লক্ষ লক্ষ মানুষের অকাল মৃত্যু, পঙ্গুত্ব এবং তামাকের নানাবিধ আর্থ-সামাজিক ও পরিবেশগত ক্ষতি অগ্রাহ্য করে তামাক ব্যবসা উৎসাহিত করার এই বাজেট প্রস্তাব সার্বিকভাবে চরম হতাশাজনক এবং একইসাথে প্রধানমন্ত্রীর ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ’ ঘোষণার সাথে সাংঘর্ষিক।

 

প্রস্তাবিত বাজেটে নিম্ন ও মধ্যম স্তরের সিগারেটের দাম ও শুল্ক অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। উচ্চ এবং প্রিমিয়াম স্তরে ১০ শলাকা সিগারেটের দাম যথাক্রমে ৫ টাকা (৫.২%) এবং ৭ টাকা (৫.৫%) বৃদ্ধি করে ১০২ টাকা এবং ১৩৫ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে এবং উভয় স্তরেই ৬৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বহাল রাখা হয়েছে। এর ফলে উচ্চ এবং প্রিমিয়াম স্তরে শলাকাপ্রতি সিগারেটের দাম বাড়বে যথাক্রমে ৫০ পয়সা ও ৭০ পয়সা, যা মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির তুলনায় অতি নগণ্য। অন্যদিকে, ক্রটিপূর্ণ করকাঠামোর কারণে এই দামবৃদ্ধির একটা অংশ তামাককোম্পানির পকেটে চলে যাবে। তামাক কোম্পানিগুলোর আয় বাড়বে এবং তারা মৃত্যুবিপণনে আরো উৎসাহিত হবে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। অথচ তামাকবিরোধীদের দাবি অনুযায়ী মূল্য স্তরভিত্তিক সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করলে সরকার অতিরিক্ত ৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় অর্জন করতো যা করোনা মহামারি সংক্রান্ত ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় ব্যবহার করা সম্ভব হতো।

 

জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর বিড়ি এবং ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্য জর্দা, গুলের কর ও মূল্য প্রস্তাবিত বাজেটে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে, যা অত্যন্ত হতাশাজনক। মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি বিবেচনায় নিলে এসব তামাকপণ্য আরো সস্তা হয়ে পড়বে। ফলে দরিদ্র জনগোষ্ঠী বিশেষত নারীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি আরো বেড়ে যাবে।  বাংলাদেশে বর্তমানে তামাক ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৫০ শতাংশেরও বেশি মানুষ ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহার করেন। বাস্তবতা হলো মোট তামাক রাজস্বের ১ শতাংশেরও কম আসে ধোঁয়াবিহীন তামাক থেকে। সরকার ধারাবাহিকভাবে ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্য থেকে বাড়তি রাজস্ব আয়ের ব্যাপক সুযোগ হারাচ্ছে। এভাবে তামাক কোম্পানিকে সুবিধা প্রদান করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জন সম্ভব নয়।

 

প্রস্তাবিত বাজেটের প্রতিক্রিয়ায় প্রজ্ঞা’র (প্রগতির জন্য জ্ঞান) নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের বলেন, “তামাকবিরোধী সংগঠনগুলোর কর ও দাম প্রস্তাবের কোন প্রতিফলন নেই প্রস্তাবিত বাজেট। তামাক কোম্পানিকে সুবিধা দিয়ে এই বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে। এই প্রস্তাব পাস হলে আরেক দফা সস্তা হবে তামাকপণ্য, বাড়বে তামাকজনিত মৃত্যু ও ক্ষয়ক্ষতি। তাই চূড়ান্ত বাজেটে আমাদের কর ও মূল্য প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানাচ্ছি। ”

 

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে একটি শক্তিশালী তামাক শুল্ক-নীতি গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছিলেন কিন্তু পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও উক্ত নির্দেশনার কোনো প্রতিফলন প্রস্তাবিত বাজেটে নেই।

 

অন্যান্য কর প্রস্তাবগুলোর মধ্যে, সিগারেট, বিড়ি, জর্দা, গুলসহ সকল তামাক কোম্পানির বিদ্যমান ৪৫ শতাংশ করপোরেট কর বহাল রাখার পাশাপাশি সকল প্রকার তামাকজাত পণ্য প্রস্তুতকারী করদাতার ব্যবসায় থেকে অর্জিত আয়ের উপর বিদ্যমান ২.৫% সারচার্জ বহাল রাখা হয়েছে।

 

করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের আঘাতে দেশের স্বাস্থ্যখাতসহ সামগ্রিক অর্থনীতি অত্যন্ত নাজুক অবস্থার মধ্যে পড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে অধূমপায়ীর তুলনায় ধূমপায়ীর কোভিড-১৯ সংক্রমণে মারাত্মকভাবে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। তবে সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তামাকপণ্যের ব্যবহার নিরুৎসাহিত করতে প্রস্তাবিত বাজেটে কোনো কার্যকর কর ও মূল্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি, যা সার্বিকভাবে জনস্বাস্থ্য ও তামাকবিরোধীদের জন্য হতাশাজনক।

 

বার্তা প্রেরক,

মো: হাসান শাহরিয়ার,

প্রকল্প প্রধান (তামাক নিয়ন্ত্রণ), প্রজ্ঞা,

মোবাইল: ০১৭১১৩০৯১৭৩, ০১৭১২০৬১৫৩৭।

টেলিফোন- ৪৮০৩৩১১৯

ইমেইল: progga.bd@gmail.com

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..