জ্যৈষ্ঠের কাঠফাটা তাপদাহে অপেক্ষায় দাঁড়িয়েছিলাম একা
শ্রাবণের তুমুল বৃষ্টিতে কাঁদতে কাঁদতে ভিজে ফিরেছি
শরতের নীল আকাশে ডানা কাটা ঘুড়ির মত ভেসে
শীতের তুষারে শিশির হয়ে ঝরেছি-
তাতে কী এসে যায়!
হেমন্তে যে আমায় ফেরাতে পারবে না ,আটকে দেব তোমায়;
কার্তিকের বাসন্তী রোদে আমি বাঁচিয়ে রাখব আমার বসন্তকে
দেবকাঞ্চন হয়ে গন্ধ ছড়াব রক্তকাঞ্চনে
কীর্তিকা -আর্দ্রা হয়ে জ্বলব দূর আকাশে
আর শেষ পাতাটি হয়ে ঝুলে থাকব শীর্ষ শাখায়-ঝরে যাব না
আমি ছেড়ে যাব না তোমায়!
রাত্রির নিরবতায় স্বপ্নের বিচরণে বহুদূর হতে অনুভবে ছুঁয়ে থাকব আমি
তুমি চোখ দিয়ে দেখ কান দিয়ে শোন ভালোবাস হৃদয় দিয়ে –
আমি মন দিয়ে দেখি , মন দিয়ে শুনি -ভালোবাসি মন দিয়ে
হয়ত করিনি কোনো দিবসের উদযাপন
তবুও আমার এ লাজুক হেমন্ত দিনের ভালোবাসা শুধু তোমার জন্য
মর্মর এ শব্দকথা এবার শুনে নিও মন দিয়ে-
Leave a Reply