হঠাৎ যদি কোনদিন তোমার সাথে ব্যস্ত রাস্তায় দেখা হয়ে যায়! তুমি কি মুখ ঘুরিয়ে চলে যাবে নাকি আর একপা এগিয়ে এসে জানতে চাইবে; বিন্দু, কেমন আছ? কেমন চলছে তোমার সংসার? আমার কথা কি তোমার মনে পড়ে নাকি ভুলে গিয়ে বেশ সাজিয়ে গুছিয়ে সংসার করছো? বাচ্চা কয়টা? ওদের কী নাম রেখেছো?
যদি আদুরে আঙ্গুল স্পর্শ হয়ে যায় আমাদের অজান্তেই; তবে কি মুখোমুখি দাঁড়িয়ে বলবে একটু কম? আমি বরাবরের মতোই বলবো একটু বেশি। কারণ আমাকে জিতিয়ে দেওয়ারতেই তোমার সকল খুশি।
যদি কখনো পরিবারকে নিয়ে কেনাকাটা করছো হঠাৎ দেখলে তোমার পছন্দের দু’জন মানুষ একই জিনিস পছন্দ করেছে! তখন কি তুমি ওখান থেকে সরে যাবে নাকি দু’জনের জন্যে কিনবা নিরবে নিভৃতে আমার প্যাকটি রেখে বিল দিয়ে চলে যাবা। আর এক টুকরো চিরকুটে লেখা থাকবে একটু কম।
বাজার করছো এটা সেটা আরো কতো কি। বাসায় মেহমান খুব তাড়া। হঠাৎ নাসিকায় দোলা দিল পুরোনো সেই মিষ্টি সুঘ্রাণটা। তখন কি তাকে হন্নে হয়ে চারিদিকে খুঁজবে তাকে নাকি মনের ভিব্রান্তি ভেবে আনমনে জায়গাটা ত্যাগ করবে।
খুব মন খারাপ করলে আমাদের পছন্দের সেই পদ্মার পারে গিয়ে চুপ করে বসে বসে আকাশে পরিবর্তন দেখ।আর মুঠোয় মুঠোয় বাদাম খাও। আর সূর্যটা যখন পশ্চিম দিগন্তে ডলে পরে বিদায় নেয় তাকে কি সাক্ষী রেখে বল একটু কম বিন্দু।
খুব যখন অস্ত্যির লাগে বিন্দু সাথে কথা বলতে পারছো না তখন কি এখনো মনে হয় শালার চাকরিটা ইচ্ছে করে ছেড়ে দেই। দায়িত্বে অটেল তুমি। কিন্তু মানুষটা আজ নেই তোমার চারিপাশে। কতোই না বিচিত্র মানুষের জীবন তাই না।
এখনো কি সকল কিছুই নিয়ম মেনে করো।আচ্ছা তোমার বাচ্চা কয়টা। ওরা এখন কতটা বড়। তোমার সাথে ওদের বুঝি খুব ভাব। তুমি আর আমি ঠিক করেছিলাম আমাদের মেয়ে হলে নাম রাখবো কথা আর ছেলে হলে কাব্য। আচ্ছা তোমার ছেলে নাকি মেয়ে। আমাদের ঠিক করা নাম রেখেছো বুঝি।
এখনো কি আমার কথা ভেবে ভেবে নির্ঘুম রাত কাটে। আবার সকালে সেই রুটিন। আচ্ছা এখনো তুমি আগের মতোই আছ নাকি কিছুটা বদলে গিয়েছো। তোমাকে কতো মেয়ে পছন্দ করতো আর তুমি আমার মাঝেই ডুব সাঁতার দিতে। একটু কম। আর আমি হেসেই লুটোপুটি একটু বেশি।কারণ তোমার কাছে আমার খুশি সবচেয়ে দামি। আমি দেখতে তেমন নয় মুটামুটি আকর্ষনীয় ছিলাম আর তুমি আমার বিপরীতমুখী ছিলে। খুব সুদর্শন যুবক। এক কথায় অতুলনীয়।
জীবনের কি নিষ্ঠুর পরিহাস! আমাদের জীবনের ঘটলো।
হঠাৎ তোমার বাবা মারা গেল। সংসারের দায়িত্ব এসে পড়লো তোমার উপরে। তাই আর তোমার সাথে ঘর করা হলো না আমার। ততোদিনে আমার বিয়ে হয়ে গিয়েছে। আজ আমার একটি মেয়ে হয়েছে ওর নাম ‘কথা’। আজ কথা-র জন্মদিন। তাই আজ বাহিরে বের হলাম দীর্ঘদিন পরে।
তুমি খুব করে চাইতে আমাদের মা মেয়ের জন্মদিন যেন একই দিনে হয়। আর তুমি মজা করে বলতে যে, মেয়ের মা আর মেয়ে তার বাবার কাছে পৃথকভাবে দুই দিন আবদার করতে পারবে না আর এক আয়োজনে দুই অনুষ্ঠান আর ডাবল আনন্দ এক খরচ। সময় বাঁচবে খরচ বাঁচবে। একটু কম!
সকল কিছুইতো কতো সুন্দর করে গুছানো ছিল শিশির তবে কেন তুমি এখন আর আমার নও। আর আমি কেন আর তোমার নই। এখনো কি ভরা জোছনায় তাকিয়ে খুঁজ করো আমারে।ভালোবাসি শিশির একটু বেশি। তাতেই তুমি খুশি।
এ জাতীয় আরো খবর..
Leave a Reply