যখনি যাই দাড়িয়ে সবকিছু যাই মাড়িয়ে
চোখে ভাসে আকাশ ছোয়া স্মৃতিসৌধ,
যারা ছিল দামাল ছেলে সূর্যসন্তান বীর সেনানী
স্বাধীনতা শুধুমাত্র জীবনবোধ।
যাদের রক্তে ভিজে গেছে ধুলামাখা সবুজ মাঠ
স্বপ্নসৌধ র্নিমাণেতে অকাতরে জীবনদান,
উজ্জ্বল মহিমায় আত্মদান ঐশ্বর্যময় প্রস্হান
তারা কি পেলো প্রতিদানে জীবন বলিদান?
বিধবা মায়ের একমাত্র হারানো মানিক সন্তান
যুদ্ধে গেল মায়ের বারণ শুনলো না,
ভয় উৎকণ্ঠায় সময় কাটে চারিদিকে মৃত্যুখবর
যুদ্ধশেষে সবাই এলো সে শুধু ফিরলো না।
স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর মা এখনও বসে ভাবে
খোকা তার আসবে ফিরে সন্তর্পণে,
অন্ধ চোখটি ধরবে এসে পিছন থেকে চমক দিয়ে
ধরবে মুখটি আদুরে মা পরক্ষণে।
আমরা যারা স্বাধীন দেশে ইচ্ছেমতো মেলছি ডানা
লক্ষ বুকের রক্তঝরা সার্বভৌম দিন,
ছেলেহারা মা টি এখন কেমন আছেন জানি কি তা?
আমরা কি সব ভুলে গেছি স্বাধীনতার ঋণ?
(ব্যতিক্রমী পর্ব বিভাজন; স্বরবৃত্তে ত্রিপদী আঙ্গিকে ২৮ মাত্রায় লেখা কবিতা। মাত্রা: ৮+৮, ৮+৪; ৮+৮, ৮+৪। অন্ত্যমিল: কখগখ): ৩০/৯/২১; মিরপুর ডিওএইচএস।
Leave a Reply