ক্রাশকে চুমু অথবা থাপ্পড় দেওয়ার মতো সাংঘাতিক লেভেলের ডেয়ার দেওয়া হয়েছে আমাকে। বিশ্বাস করেন, ক্রাশকে পছন্দ করি। কিন্তু চুমু খাওয়ার মতো দুঃসাহস আমার এই ছোট্ট মনে নেই। কথায় আছে ঘর শত্রু বিভীষণ। কিন্তু আমার হচ্ছে ক্লাস শত্রু, কোচিং শত্রু এবং প্রাইভেট শত্রু। এই শত্রু কারা বোঝেননি? আমার বান্ধবীরা! সুযোগ পেয়ে এমন ধোলাই যে দেবে তা আমি কল্পনাতেও আনিনি। যাকগে বন্ধুমহলে আমি বেশ সাহসী মেয়ে। ভয়ে নেতিয়ে যাওয়ার বিষয়টা হাসি-ঠাট্টার মধ্যে পড়ে যাবে। কারো হাসির পাত্রী তো আমি হতে পারব না। দেখাই যাক এই ডেয়ারটাতে আমি জয়ী হতে পারি নাকি। যেহেতু চুমু খাওয়া সম্ভব নয় তাই থাপ্পড় দেবো বলেই ঠিক করলাম। ভাবতেই কষ্ট লাগছে!
ক্রাশ আর আমি এক এপার্টমেন্টেই থাকি। এবং পাশাপাশি ফ্ল্যাটে। আমার বাবা সরকারী চাকুরীজীবী। তার বদলির জন্যই আমাদের বাংলাদেশের প্রায় সব জেলাতেই ঘুরে বেড়াতে হয়। ছোটো পরিবার হওয়ায় খুব বেশি সমস্যাও হয় না। কিন্তু মা ভীষণ রাগ করেন। বারবার ঘর গোছানোর কাজ তার বিরক্ত লাগে। শুধু কি তাই? কাজের লোক খুঁজে পাওয়া’ও দায়! ক্লাস নাইনে উঠার পর কুমিল্লা থেকে বদলি হয়ে এলাম সিলেটে। পুরনো বন্ধু-বান্ধবীদের ছেড়ে আসতে ভীষণ কষ্ট হয়েছিল। কিন্তু কিছু করার নেই। ছোটোবেলা থেকেই তো এভাবে ঘুরছি। এক বছর যাবৎ অন্য এলাকায় ছিলাম। কিছুদিন ধরে নতুন এপার্টমেন্টে এসেছি। দ্বিতীয় দিনই ক্রাশের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। আর সেদিনই তাকে প্রথম দেখে আমি শেষ! যাকে রোমিও ভাষায় বলে ফিদা। বয়স কম বিধায় আবেগে ভেসে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছিল। আমাদের প্রথম দেখা কোনো সিনেমাটিকভাবে হয়নি।
শুনুন কী হয়েছিল সেদিন। এখানে নতুন আসায় কাজের লোক পাইনি আমরা। তাই ঘরের কাজ মাকে একাই করতে হতো। বাড়ির একমাত্র মেয়ে এবং একমাত্র সন্তান হওয়ায় আকাশসম ভালোবাসার সঙ্গে আমার রয়েছে বাড়াবাড়ি রকমের স্বাধীনতা। কখনো কোনো কাজে আমার হাত রাখতে হয় না। পুরো দু’দিন লেগেছিল আমাদের ঘর গুছাতে। ময়লা অনেক জমে গিয়েছিল। এত ময়লা ঘরে রাখা সম্ভব নয়। এপার্টমেন্টের নিচে ডাস্টবিন রয়েছে। আমি ভাবলাম এত কাজ করে মা তো ক্লান্ত; আমি গিয়ে বরং ময়লাগুলো ফেলে আসি। মা প্রথমে রাজি হতে চাইলেন না। কিন্তু আমিও তো হাল ছাড়ার পাত্রী নই। সত্যি বলতে সেদিন হাল ছেড়ে দেওয়াটাই আমার জন্য উত্তম ছিল। তাহলে এত লজ্জাকর পরিস্থিতিতে আমায় পড়তে হতো না। আমরা থাকি তিন তলায়। দু’হাত ভর্তি ময়লা নিয়ে লিফ্টের কাছে গিয়ে দাঁড়ালাম। কিন্তু হাত আটকে থাকায় বাটন প্রেস করতে পারছিলাম না। বিরক্ত হয়ে নিচু হয়ে ময়লার পলিগুলো রেখে সোজা হয়ে দাঁড়াবো অমন সময়ে কারো থুঁতনির সঙ্গে আমার মাথায় বাড়ি লাগে। ইশ! হুট করে যেন ঝড় বয়ে গেল। আমিই এত ব্যথা পেয়েছি, না জানি ঐ লোকের থোতার কী অবস্থা! চোখমুখ কুঁচকে ফেলেছিলাম। মাথা ডলতে ডলতে সামনে তাকাতেই একজন পুরুষের গলা দৃশ্যমান হলো। কী আজব! লোকটা এত লম্বা নাকি? লোকটা অত লম্বা হবে কী-না জানিনা। তবে আমি একটু বেঁটে। আবার ততটাও নই। ঠিক ঠিক ফাঁচ ফুট। আমি এবার তার মুখের দিকে তাকাতেই ব্যথায় বিকৃত করা আমার মুখ ‘হা’ হয়ে যায়। এত সুন্দরও কোনো মানুষ হয়? সরি, এখানে হবে এত সুন্দরও কোনো ছেলে মানুষ হয়? ছেলেরা সুন্দর হলে আমার কেন জানি হিংসা লাগে। ছেলেরা কেন সুন্দর হবে? সুন্দর হবে শুধু মেয়েরা। আর ছেলেরা ভালোবেসে তখন নাম দেবে মায়াবতী অথবা মায়াবিনী।
উহ্! ভাববেন না উনি সেই মাত্রায় সুন্দর। অথবা ফর্সা। আমি উনার সৌন্দর্যের বর্ণনা দিচ্ছি শুনুন, উনার গায়ের রং শ্যাম। উচ্চতায় পাঁচ ফুট ছয় কিংবা সাত হবে। বড়োজোর আট-ও হতে পারে। নট শিওর! কিন্তু নাকের পাশে ছোট্ট একটা তিল আছে। হায়ে! ঘায়েল আমি। আরও একবার ঘায়েল হলাম তার কণ্ঠস্বর শুনে। তিনি বললেন,’সরি। আপনি ব্যথা পাননি তো?’
আমার মনের ভেতর তখন দ্রিমদ্রিম আওয়াজে কালবৈশাখীর প্রবল ঝড় বইছে। ঝড়ে গাছপালা নুইয়ে যাওয়ার মতো স্বপ্নের জগতে আমিও বোধ হয় এদিক-সেদিক দুলছিলাম। তার প্রশ্নে নিজেকে স্বাভাবিক রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করে বললাম,’হুম।’
তারপর সে আগে লিফ্টে উঠল। আমি লিফ্টে উঠব তখন মনে পড়ে গেল আমার ময়লার কথা। ইশ! এই ময়লা নিয়ে এখন লিফ্টে উঠব? তাও ক্রাশের সাথে? ধুর ছাই বলে লজ্জাশরমের মাথা খেয়ে ময়লা নিয়েই লিফ্টে উঠলাম। তিনি লিফ্টের এক মাথায় আর আমি লিফ্টের অন্য মাথায়। মাঝখানে ময়লা। সত্যি বলতে ময়লাগুলোকে ভিলেনই মনে হচ্ছিল আমার। একটু পরপর তাকে আড়চোখে আমি দেখছিলাম। প্রথম ভালোলাগা বলে কথা! সে কী অনুভূতি! আমি খেয়াল করলাম, উনি কেমন যেন আনইজি ফিল করছে। আরও অবাক করার বিষয় হলো, উনার চোখ দেখে মনে হচ্ছিল উনি কিছু বলতে চাচ্ছে। কিন্তু বলতে পারছে না। তাহলে কি উনিও? ইশ… ভাবতেই তো কেমন জানি আনন্দ আনন্দ লাগছে। মনে মনে গানও গেয়েছিলাম সেদিন,
‘শোনো গো দখিনা হওয়া
প্রেমে পড়েছি আমি’
পুরো গান শেষ হওয়ার আগেই লিফ্ট খুলে গেল। ক্রাশের আগে আমিই ময়লা নিয়ে বের হলাম। একেবারে ছেচ্রা সাজাটা তো বেহায়াপনা মনে হবে তাই না? ক্রাশ এলো আমার পিছু পিছু। ডাস্টবিনে ময়লাগুলো ফেলেই আবার ফিরে আসছিলাম তখন উনার মুখোমুখি হয়ে গেলাম। অনিচ্ছা নিয়ে পাশ কাটিয়ে চলে আসার সময় উনি পিছু ডেকে বললেন,’শুনুন?’
উনার ডাক শুনে মনে হচ্ছিল আমি আকাশে-বাতাসে উড়ছিলাম। লজ্জামিশ্রিতভাবে হেসে আমি বললাম,’জি?’
উনি তখনও আনইজি ফিল করছিলেন। এরপর জড়তা কাটিয়ে বলল,’আসলে কথাটা বলা ঠিক হবে কী-না বুঝতে পারছি না।’
‘কী যে বলো তুমি! তুমি বলো না কী বলবে? আমার নাম জানতে চাও? নাকি নাম্বার চাও? কোনটা চাও বলো, বলো!’ মনে মনে পুলকিত হয়ে বললাম আমি।
ক্রাশ আমাকে অবাক করে দিয়ে বলল,’আপনি যেই ফ্লোরে কাজ করেন আমরা’ও ঐ ফ্লোরেই থাকি। আপনি যদি আপনার বর্তমান কাজের পাশাপাশি আমাদের কিছু ছুটা কাজ করে দিতেন তাহলে খুব উপকার হতো। আমাদের ছুটা কাজের মেয়েটা প্রেগন্যান্ট। তাই কাজটা ছেড়ে দিয়েছে। এখনকার সময়ে কাজের লোক পাওয়া খুব ভার। তাই আপনাকেই বললাম। সবাই যেরকম বেতন দেয় আমি তার থেকে একটু বেশিই দেবো। করবেন?’
বিশ্বাস করেন, ঐ মুহূর্তে আমার ইচ্ছে করছিল…. ইচ্ছে করছিল কোনো কচু গাছ দেখে সেখানেই ঝুলে পড়ি। শেষমেশ ক্রাশ আমাকে কাজের মেয়ে বানিয়ে দিল? মাবুদ! এই দিন দেখার আগে রাত হলো না কেন? তাহলে আমি ঘুমিয়ে পড়তাম, এই দিনও আমায় দেখতে হতো না। ভেতরে ভেতরে আমি খুব কাঁদছিলাম। মন কাঁদছিল আর-কী! আমায় চুপ থাকতে দেখে উনি বললেন,’চুপ করে আছেন যে?’
কথা বলতে গিয়ে খেয়াল করলাম বাচ্চাদের মতো আমার ঠোঁট উল্টে যাচ্ছে। কন্ঠস্বর রোধ হয়ে রয়েছে। কথা কেমন জড়িয়ে জড়িয়ে যাচ্ছে। এত নরম হলে তো চলবে না। তাই বিষাদিতভাবে কাঠ কাঠ গলায় বললাম,’আমি কোনো কাজের মেয়ে না। আমরা এই বাড়িতে নতুন এসেছি।’
এরপর আর এক মুহূর্তও দেরি না করে ফ্ল্যাটে চলে গেলাম। ক্রাশের কী অবস্থা হয়েছিল সেটা আর আমি জানি না। নিজের রুমে এসে বারবার আয়নায় নিজেকে দেখছিলাম। আসলেই নিজেকে ফকিন্নির মতো লাগছিল। তার মধ্যে হাতে ছিল ময়লা! ক্রাশেরই বা দোষ কী? রাগ কমে গেল আমার। এরপর থেকে প্রায়ই তাকে আমি লুকিয়ে লুকিয়ে দেখতাম।
এই হচ্ছে ক্রাশের সাথে আমার প্রথম সাক্ষাৎ। ক্রাশের বিষয়ে এতকিছু বললাম অথচ এখনও তার নামটাই বললাম না! উনার নাম রুদ্র। নামটা সুন্দর না? হতেই হবে। যেখানে মানুষটা সুন্দর, মন সুন্দর, ব্যবহার সুন্দর সেখানে নাম তো সুন্দর হবেই। আর আমি? আমি নবনী।
‘হ্যাঁ রে, নবনী। আর কত দাঁড়িয়ে থাকবি? চল এবার।’ বাজখাঁই গলায় কথাটি বলল আমার পরম বন্ধু নামক শত্রু তিথি। শত্রু বললাম তার কারণ হচ্ছে এই সাংঘাতিক লেভেলের বিশ্রী ডেয়ারটা তিথিই আমায় দিয়েছে। আগেরবার ওকে যেই ডেয়ার দিয়েছিলাম সেটারই শোধ আজকে তুলছে। অসভ্য! ওকে কী ডেয়ার দিয়েছিলাম সেই গল্প অন্যদিন করব। আমি ভাবছি আজকের কথা। এই কাজটা আমি কীভাবে করব? কত আশা নিয়ে ছিলাম, ক্রাশ আমায় নিজে প্রপোজ করবে। প্রেম হবে, বিয়ে হবে, সংসার হবে। তা বোধ হয় আর হবে না!
‘এত কী ভাবছিস দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে? যতই ভাবিস লাভ হবে না কিছু। ডেয়ার পূরণ করতেই হবে।’ বলল তিথি। তিথির সঙ্গে তাল মেলাল আমার বাকি বন্ধু নামক শত্রুরাও।
আমি কটমট করে বললাম,’করব, করব। আমি কি এত ভীতু নাকি? তবে মনে রাখিস, আমার না হওয়া প্রেমটা ভেঙে যাওয়ার জন্য দায়ী তোরাই থাকবি। কোনোদিন ভালো হবে না তোদের।’
‘তোর মতো বান্ধবী থাকলে এমনেও জীবনে ভালো কিছু আশা করা যায় না। বেশি দেরি করলে কিন্তু আজ আর তার সাথে দেখা হবে না।’
কেমন বান্ধবী দেখলেন আপনারা? আমায় কাঁদায় ফেলে এমন ভাব করছে যেন, ওদের পায়ে কাঁদা লেগেছে। যাগকে সেসব। এখন ক্রাশকে কীভাবে থাপ্পড় দেবো বলুন তো? থাপ্পড় দিলে প্রেম হওয়ার সম্ভাবনা একদমই থাকবে না। তাছাড়া এভাবে হুট করে থাপ্পড় দেওয়ার মানে হয় বলেন? আচ্ছা থাপ্পড় না দিয়ে যদি চুমু দেই তাহলে কেমন হয়? হাঁটতে হাঁটতে ভাবতে লাগলাম গিয়ে বলব,’একটা চুমু খাই আপনাকে?’ ইয়াক ছিঃ! কী রকম সস্তা আবদার। ইংরেজিতে বলব,’আই ওয়ান্না কিস ইউ?’ উহ্ না! খুবই বেহায়াপনা মনে হচ্ছে। উনি আমাকে খারাপ মেয়ে ভাববে এটা ভেবেই খারাপ লাগছে। ডেয়ার বরং বাদ দিই। এবার না হয় হার মেনে নিলাম। কী বলেন?
আমার হার মানার কথা বলার আগেই তিথি আমাকে সামনের দিকে ঠেলে দিয়ে বলল,’ঐযে রুদ্র ভাইয়া আসছে।যা তাড়াতাড়ি।’
‘ইয়ে..মানে একটা কথা ছিল তিথি।’
‘কথা পরে শুনব। আগে ডেয়ার পূরণ কর। যা।’
এক প্রকার ঠেলেঠুলেই আমায় পাঠিয়ে দিয়ে ওরা গাছের আড়ালে লুকিয়ে রইল। এদিকে ভয়ে আমার হাত-পা কাঁপছে। শরীরে জ্বরও মনে হয় চলে এসেছে। রুদ্র পার্কিংলটের বিপরীতে থাকা একটা বেঞ্চিতে বসল। বেঞ্চের সাথে লাগানো একটা রঙ্গন ফুলগাছ। পুরো গাছটিতে থোকা থোকা লাল রঙ্গন ফুল ফুঁটে রয়েছে। মুখের মাস্কটা ঠিকঠাকমতো লাগিয়ে ধীরপায়ে আগানো শুরু করলাম। ঐদিনের পর রুদ্রর সঙ্গে সরাসরি আর দেখা হয়নি। আমিই তাকে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখতাম। একবার দেখাতেই চেহারা মনে থাকার কথা নয়। তবুও রিস্ক নিতে চাই না বলে মাস্ক পরে নিয়েছি। যতই তার দিকে এগোচ্ছি ততই হৃদস্পন্দনের শব্দ প্রবলভাবে শুনতে পাচ্ছিলাম। তখন দেখলাম কয়েকজন ছেলে রুদ্রর সামনে গিয়ে দাঁড়াল। হ্যাংলা-পাতলা রোগা করে তালগাছের মতন লম্বা এক ছেলে অন্য একটি ছেলের শার্টের কলার ধরে রেখেছে।
আমি আর না এগিয়ে দাঁড়িয়ে পড়লাম। আমাদের দূরত্বও এখন বেশি নয়। এখান থেকেই ওদের কথোপকথন আমি শুনতে পাচ্ছিলাম। তালগাছের মতো লম্বা ছেলেটি বলল,’রুদ্র পাইছি শালারে। সেদিন কী বলছিল মনে নাই?’
রুদ্র আনমনে ফোন টিপছিল। হুট করে ফোনটা অফ করেই ঝড়ের বেগে থাপ্পড় বসিয়ে দিল মাঝখানের ছেলেটিকে। ছেলেটা কাচুমুচু ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে রয়েছে। কেঁদে ফেলবে ফেলবে ভাব। রুদ্র বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে বলে,’শালা! সেদিন খুব তো পাওয়ার দেখিয়েছিলি। আমায় নাকি মারবি? মার দেখি আমায়। দেখি তোর গায়ে কত জোর!’
কথা শেষ করেই নাক বরবার দিল আরেক ঘুষি। খেয়াল করলাম আমার হাত-পা কাঁপছে। মানে সিরিয়াসলি? এই ছেলেকে আমি থাপ্পড় মারতে এসেছিলাম? তাও বিনা দোষে! রুদ্রর বাঘের থাবার মতো একটা থাপ্পড় যদি আমার গালে পড়ে তাহলে তো আমি এখানেই কাইৎ! আল্লাহ্ বাঁচিয়েছে যে এই ঘটনাটা আগেই ঘটেছে। নয়তো নবনী তুই আজকে মরতি। ছেলেগুলো চলে গেল। রুদ্র ঘুরেফিরে তাকাতেই আমি সঙ্গে সঙ্গে উল্টো পথে হাঁটা শুরু করি। তখনই পেছন থেকে ওর ডাক শুনতে পাই,
‘এই মেয়ে এই? হ্যাঁ, তোমাকেই বলছি। এদিকে এসো তো।’
আমার হাঁটু হিড়হিড় করে কাঁপছে! নবনী রে তুই বোধ হয় আজ শেষ! কেন ডাকছে সে?
Leave a Reply