(আসসালামু আলায়কুম আপনারা সবাই কেমন আছেন আশা করি ভালো আছের আজকে আমি যে গল্পটা লেখবো এইটা আমার জীবনের প্রথম অনু গল্প লেখা আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে এজন দায়িত্বশীল ভাইয়ের গল্প এখানে তুলে ধরা হয়েছে গল্পটা সত্য ঘটনা অবলম্বনে গুছিয়ে লিখতে পারবো কিনা জানিনা)
ব্যস্ত শহর জাপানে রাতের বেলা রেলিস্টেশনে কর্মীরা রাস্তা ঝাড়ু দিতেছিলো সেখানে অনেক মানুষ ছুটাছুটি করছে নিজেদের কাজে সেখানে আধ মরা হয়ে বসে আছে সিবিয়াও রাত তখন অনেক গভির তার মতো সেখানে অনেকেই পরে ছিলো কিন্তু সবার অনস্থা সিবিয়াও এর মতো ছিলো না কেও হয়তো ছিলো রাস্তার ভিকারি আবার কেও নিজেদদের আশ্রয় এর জন্য ওইখানে ছিলো তখন ২টা কেয়ারটেকার ওখানদিয়ে যাচ্ছিলো তখন তাদের চোখ যায় সিবিয়াও এর উপর তারা তার কাছে যায় এবং তারা তাকে জিজ্ঞেস করে
-কি হইয়েছে তোমার এইভাবে রাস্তায় আধমরার মতো শুয়ে আছো কেনো?
সাবিয়াও কিছু বলতে পারে না শুধু কুকাতে থাকে,তখম ১জন কেয়ারটেকার সাবিয়াও কে চেক করতে থাকে তখন তারা তার পকেটে একটা টিনের কউটো দেখতে পায় তারা ভাবে এটা কোনো কাজের না তাই তারা পাশের একটা নদির কাছে ফেলে দেয়
পেছন থেকে সাবিয়াও হাত বারিয়ে ভাংগা গলায় শুধু এইটুকু বলেন নাাা তার এই ভাংগা গলার কন্ঠটা কেওশুন্তে পায়না তখনি সাবিয়াওর পৃথিবীটা থমকে যায় সেও চলে যায় তার মা এবং ছোট্ট বনের কাছে ফিরবেনা আর কোনো দিন চলে গেছে না জানার দেশে
কাওকে আর তাদের জন্য বোঝা মনে করতে হবেনা সবাই খশি থাকুক
………………………….(ফ্লেশব্যাক)……………………………
অনেক বছর আগে একটা খুব ধনী পরিবারের ছেলে ছিলো সাবিয়াও যে ছিলো একজন আর্মি অফিসার তার মা এবং তার জানের থেকেও বেশি প্রিয় তার ছোট্ট বোন সিনবিয়াও তার বয়স মাত্র ৩ সবে মত্র কথা বলতে পারে তখন আ্যামেরিকা এবং জাপান এর যুদ্ধ শুরু হয়েছিলো তাই সাবিয়াও তাদের বাড়ির উঠানে মাটি খুদে এতে তাদের সব টাকা এবং কিছু খাবার রেখে দিলো আর তার মাকে বলল
-মা এখানে খাবার আর এই জিনিস গুলো সুরক্ষিত থাকবে যখন আমাদের দরকার হবে তখন এখান থেকে নিতে পারবো,,,তুমি বরং এখন আশ্রয় কেন্দ্রে যাও আমি সব কাজ শেষ করে বোনকে নিয়া আচ্ছি।
তখন সাবিয়াও এর মা আচ্ছা বলে আশ্রয় কেন্দ্রে চলে গেলো ঘন্টা খানিক পর সাবিয়াও সব কাজ শেষ করে তার বনকে পিঠে বেধে রউনা দিলো আশ্রয় কেন্দ্রে উদ্দেশ্য রাস্তায় বের হতেই দেখে যুদ্ধ শুরু হয়েছে তার বোন সিনবিয়াও তখন যুদ্ধ কিছুই বুজতোনা,,,,,,, সাবিয়াও কোনো মতে পালিয়ে তার বোনকে নিয়ে একটা ব্রিজের নিচে গিয়ে দারায় অনেক্ষন পর তারা বের হয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে যায় তখন একজন ভদ্র মহিলা এসে বলে
– সাবিয়াও আমি তোমাকে কখন থেকে খুজছি তুমি কথায় ছিলে
-আন্টি আমি একটু বাড়িতে কাজে ছিলাম তাই একটু দেরি হয়ে গেলো আমি তো মা কে পাঠিয়ে দিয়েছি মা আসেনি
তখন এই ভদ্র মহিলাটা মাথা নিচু করে ফেললো তার চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পরলো তখন সাবিয়াও বলল-
-কি হলো আন্টি আমার মা আসেনি
তখন ভদ্রমহিলাটি কাদতে কাদতে বললো তোমার মা আর নেই রাস্তায় আসার সময় বোমব্লাস্ট হয়ে আগুনে পুরে মারা যায়,,
তখন সাবিয়াও এর মাথায় যেনো আকাশ ভেংগে পরে সে কি করবে এখন তার বোনকে কি বলবে সে ছুটে তার মার কাছে যায় দেখে তার মার পুরা লাশটা নিচে পরে আছে সে চোখের পানি আর ধরে রাখতে পারে না
সে দৌরে সিনবিয়াও এর কাছে আসে এসে দেখে তার বোন কান্না করছে বলছে মার কাছে যাবে যে নাকি মার কোলে ২৪ঘন্টা থাকতো সে সারা জীবন কিভাবে থাকবে বোনের কান্না দেখস সাবিয়াও তাকে শান্তনা দিতে থাকলো আর বলল
-দেখ বোন মা একটু অসুস্থ তাই সে আসতে পারছেনা মা যখন সুস্থ হবে তখন নিয়ে যাবো,, তখন কোনো মতে সিনবিয়াও কে মানিয়ে নেয়া গেছে কিন্তু আর কতদিন এই মিথ্যা কথা বলবে,,,
তার পরে সাবিয়াও তার মার লাশকে দাফন করে,,কিন্তু এখন তারা থাকবে কথায়?অনেক ভেবে সাবিওর মনে পরে তাদের একটা আত্মিয় কথা সাবিয়াও তার বোন সিনবিয়াও কে নিয়ে ওই আত্মিয়দের বাসায় যায় তারা তার মার কথা জিজ্ঞাস করলে সাবিয়াও বলে
-আন্টি আমার মা অসুস্থ তাই সে আস্তে পারে নি সুস্থ হলে আসবে
সেদিন আন্টি আর কিছু জিজ্ঞেস করেনি রাতে তারা খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পরে
কিন্তু মা-বাবা ছাড়া কি কেও আর সার্থ্য ছাড়া কাজ করে তাদের বেলাও তাই হলো,আস্তে আস্তে আত্মিয়দের কাছে তারা বোঝা হয়ে দারিয়ে ছিলো ছোট্ট মেয়েটাকে দিয়ে ঘরের সব কাজ করাতো খাবার দিতো না আর সাথে মুখের খারাপ কথা তো আছেই।
একদিন,, ওই আন্টিটা জানতে পেরে গেলো যে তাদের মা মারা গেছে সেদিন থেকে দুই ভাই বোন দের ওপর আরো অত্যাচার করতে লাগলো,,রাতে যখন সাবিয়াও সিনবিয়াও এর জন্য ভাত চেতো তখন দিতোনা একদিন আন্টি তাকে বলে তোমার মার শাড়ি গুলো বিক্রি করো আমাদের ঘরে চাল নেই চাল আনতে হবে কারন সাবিয়াও এর মার কাপরের দাম ছিলো অনেক সাবিয়াও দুটো খাবারের আশায় তারমার কাপর বিক্রি করে চাল কিনে আন্টিকে দিলো কিন্তু সেদিনও তাদের কপালে ভাত জুটলো না
এরকম যেতে যেতে একদিন সাবিয়াও সিদ্ধান্ত দিলো যে তারা আলাদা খাবে
তাই সে তাদের বাড়িতে গিয়ে মাটিতে যে খাবার এএবং কিছু জিনিস রেখেছিলো সেগুলো নিয়ে আবার ফিরে আসে তার মা ব্যাংকে ৭হাজার টাকা রেখেছিলো তখন কার সময় ৭হাজার টাকা মানে অনেক যে টাকা দিয়ে তারা অর্ধেক জীবন পার করে দিতে পারবে সে ব্যাংক থেকে চার হাজার টাকা উঠিয়ে সেদিন চাল অনেক ধরনের সবজি এবং তার প্রিয় বোনটাার জন্য কিছু লজেন্স নিয়ে গেলো সেদিন রাতে তারা পেটপুরে ভাত খেলো,,,,,
একদিন সাবিয়াও ওকটা কাজের জন্য বাহিরে যায় অনেক্ষন পর যখন বাড়িতে যায় তখন দেখে তার বোন
ঘড় ঝারু দিচ্ছে যে কতোটা নংরা হলে এতটুকু একটা বাচ্চাকে দিয়ে কাজ করায় সিনবিয়াও তার ভাইকেদেখে দৌরে তার কাছে এসে জরিয়ে ধরে কান্না করে বলে
-ভাইয়া আমি মাম্মার কাতে জাবো তুমি আমাকে মাম্মার নিয়ে যাও বলেই কান্নাকরে দেয়
সাবিয়াও তখন রাতেই তার বোনকে নিয়ে ওইবাড়ি থেকে চলে আসে কারন তার বোনের কষ্ট সে আর সজ্য করতে পারছিলোনা তারা অনেক খজার পর একটা গহা পায় সেখানে তারা একটা ছোট্টো কুঠির বানিয়ে বসবাস করতে থাকে
তাদের ভালোই দিন চলছিলো এইভাবে করতে করতে একদিন তাদের সবটাকা শেষ হয়ে যায় এইভাবে তারা২দিন না খেয়ে থাকে কিন্তু আর কত দিন না খেয়ে থাকতে পারবে,,,
সাবিয়াও সিনবিয়াওকে কাধে নিয়ে হাটছে খাবারের আশায় তখন আবার আমেরিকা এবং জাপান এর যুদ্ধ শুরু হয় তারা দৌরে একটা টোমেটো বাগানের নিচে যায় সেখানে টোমেটো দেখে ক্ষুধার জালায় সাবিয়াও অনেক গুলো টোমেটো খায় এবং তার বোন কেও দেয় তারা পেট পুরে টোমেটো খায় এবং বাড়িতে কতগুলো নিয়ে যায়
কিন্তু টোমেটো খেয়ে কি আর সবসময় থাকা যায় তাই সাবিয়াও তার বোনের সুখের জন্য চুরি করতে থাকে যুদ্ধ শুরু হলে মানুষ যখন বাড়িঘর ছেরে পালিয়ে যায় তখন সাবিয়াও সেই বাড়িতে গিয়ে তাদের খাবার জিনিস সব কিছু চুরি করে এনে তার বোনকে দেয় এবং নিজেও খায়,,, তা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই তাদের
রাতে গুহায় যখন থাকে তখন সিনবিয়াও খুব ভয় পায় কারন গুহাটা ছিলো অনেক অন্ধকার সিনবিয়াও অন্ধকার খুব ভয় পায় তাই সাবিয়াও বাহির থেকে অনেক গুলো
#জোনাকিপোকা এনে গুহার ভেতোর ছেরে দেয় আর সিনবিয়াও তা দেখে লাফিয়ে উঠে মুহূর্তেই তাদের ঘর আলোকিত হয়ে উঠে,,,
সকালে সাবিয়াও ঘুম থেকে উঠে দেখে সিনবিয়াও তার পাশে নেই সে বাহিরে বের হয়ে দেখে সিনবিয়াও মরা জোনাকিপোকা গুলোকে কবর দিচ্ছে সেটাদেখে সাবিয়াও এর চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পড়ে,,
নংরা জায়গায় থাকতে থাকতে সিনবিয়াও এর শরীরে বিভিন্ন জায়গায় একরকম চরর্ম রোগের মতো হয়ে যায় সে অনেক অসুস্থ হয়ে পরে
একদিন সন্ধ্যা বেলা সাবিয়াও আখ খেতে আখ চুরি করতে যায় সেদিন আখ খেতের মালিক দেখেফেলে এবং সাবিয়াও কে তার ছোট বোন এর সামনে নির্মম ভাবে মারতে থাকে মারতে মারতে একদম মরার মতো অবস্থা করে ফেলে তাতেও তার শান্তি হয় নি সে সাবিয়াওকে পুলিশের কাছে দিয়ে দেয় পুলিশ কে সব কিছু বললে পুলিশ সাবিয়াও এর উপর মায়া করে ওকে ছেরে দেয়
বাহিরে বের হয়ে দেখে সিনবিয়াও এতোদুর থেকে তারজন্য হেটে এসেছে সে যেয়ে তার বোনকে জরিয়ে ধরে তখন সিনবিয়াও বলে
-ভাইয়া আমি জানি আমার মা আর বেচে নেই আন্টি আমাকে বলেছে আমার মা আমাদের ছেড়ে চলে গেছে,কেনো ভাইয়া কেনো আমাদের মা আমাদের কে নিয়ে গেলো না কেনো ভাইয়া বলে কাদতে লাগলো
সেদিন আর সাবিয়াও কিচ্ছু বলে নি সিনবিয়াও কে কোলে নিয়ে বাড়িতে চলে আসে এমন ভাবে করতে করতে সিনবিয়াও এর রোগ গুলো বারতে থাকে,সিনবিয়াও আর না পেরে তার বোন কে নিয়ে শহরের ডাক্তার এর কাছে যায়,,ডাক্তার তাকে দেখে বলে
-তো ডাক্তার আমি এখন কি করবো,যা যা ওষুধ লাগবে আমাকে বলেন আমি এনে দিবো তাও আমার বোনকে আপনি সুস্থ করুন
-এই রোগ কোনো ওষুধে কাজ করবেনা ওকে পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে হবে তোবেই ওকে সুস্থ করতে পারবেন
সেদিন বাহিরে বের হয়ে সাবিয়াও সিনবিয়াওকে জিজ্ঞেস করেছিলো
-বোন তুই কি খাবি বল তুই যা বলবি আমি তোকে তাই খাওয়াবো বল
তখন সিনবিয়াও ভাংগা গলায় বলেছিলো
-ভাইয়া আমি পেট ভরে ভাত খাবো আর আইস্ক্রিম খাবো আর তরমুজ খাবো
তার বোনের কথা শুনে সাবিয়াও এর চোখ চিকচিক করে উঠলো
রাস্তায় আস্তেই সাবিয়াও দেখতে পায় রাস্তায় কিছু বরফ পরে আছে সে সেখান থেকে একটু বরফ নিয়ে তার বোনের মুখে দেয়
সেদিন বাড়িতে গিয়ে তার বোনকে শুয়ে দিয়ে সে ব্যাংকে যায় কারন তখনো ব্যাংকে তিন হাজার টাকা ছিলো যাওয়া সময় সিনবিয়াও তার ভাই এর দিকে এক দৃষ্টি তে তাকিয়ে ছিলো
সাবিয়াও যখন ব্যাংক থেকে টাকা উঠিয়ে নিয়ে আসে তখন একজন বলে
-আরে তুমি কিউকিন এর ছেলে সাবিয়াও না
-হুম আংকেল আপনি আমার বাবা কে চিনেন আমার বাবা কথায় বলেন না আংকেল
তখন সেই ব্যক্তিটি দুঃখের দৃষ্টীতে বলেন
-সেদিন যুদ্ধের সময় তোমার বাবা যুদ্ধ করতে গিয়ে শহিদ হন
সাবিয়াও তখন কান্না করে ওখান থেকে এসে বাজার থেকে বেক ভর্তি খাবার নিয়ে বাড়িতে যায় কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিলো সে বাড়িতে যেয়ে দেখে তার বোন মাটিতে শুয়ে আছে সে তখনো বুজতে পারি নি কিছু সাবিয়াও একটু তরমুজ কেটে তার বোনের মুখে ধরে সেটায় হয়তো ছিলো তার শেষ খাওয়া তরমুজ টা খাওয়ার পর সিনবিয়াও তার ভাই এর দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে শেষ নিশাস ত্যাগ করে
তখনো সাবিয়াও কিছুই বুজতে পারে নি সে তার বোনের জন্য সব ধরনের খাবার রান্না করে তার বোন এর সামনে আনতেই সে বুজতে পারলো তার বোন আর নেই
সে তখন চিৎকারে করে কাদতে লাগলো কিন্তু তার কান্না শোনার মতো কেউ নেই সেদিন রাতে সাবিয়াও তার বোন এর লাশের পাশে শুয়ে ছিলো এবং পরেরদিন নিজ হাতে তাকে কবর দেয়
তারপরথেকেই তার জীবন যায় রাস্তায় অথবা স্টেশনে আর তাপর থেকে তো আপনারা জানেনি
(তো এই গল্প পরে আমরা এতটুকুই জানতে পারি যে একটা ভাই একটা বোনের জন্য সব কিছু করতে পারে সে তার বোনের জন্য চুরিও করেছে এমনকি অনেক মারও খেয়েছে কিন্তু তার কোনো কষ্ট হয় নি একটা ছোট্ট মেয়ে ছোটবেলায় তার মা কে হারিয়েছে বাবাকে তার পর সে নিজেও সেখানে চলে গেছে জানিনা গল্পটা কার কেমন লেগেছে কিন্তু আমি এই গল্পটার মধ্যে অনেক সত্য ঘটনা তুলে ধরেছি এই পৃথিবীটা অনেক নিশঠুর কেও কারো নয় নিজের সার্থের জন্য মানুষ সব কিছু করতে রাজি এই গল্পে তাই আছে)
(তো আমার অনু গল্পটা কার কেমন লাগলো অবশ্যই জানাবেন এবং আপনাদের গন্তব্য পেশ করবেন আশা করি আর কোনো ভুল ক্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন আর আর আমার লেখা গল্প আপানাদের কেমন লাগে সেটাও জানাবেন আপনাদের জন্য ভালোবাসা অবিরাম আল্লাহ হাফেজ)
এ জাতীয় আরো খবর..
Leave a Reply