বৃষ্টি এলেই আমি ছুটে যাই দখিণা ঝুল বারান্দায়
সারি সারি স্তরে লাগানো গোলাপ, টগর জুঁই,বেলির সমাহারে,
মানিপ্লান্টের ঝুলন্ত ডাল বৃষ্টি ছুঁয়ে চুয়ে পড়ে আদুল অঙ্গুলিতে
রিমঝিম নূপুরের ছন্দে বেজে উঠে
আমার পরিযায়ী মন
সমস্ত ধুলো ধুয়ে আরো সতেজ হতে থাকে দেহাংশ;
অনিলের অবাধ্যতায় দোল খায় কচি ডগায় ফোটা সৌরভ
কেঁপে উঠে ওষ্ঠাধর !
শীতের আমেজ মৃদুপায়ে এগুতে থাকে আরো কাছে
নিবিড়ভাবে জড়াতে চায় আমার প্রতিটি লোমকূপে
আমি লাজেভরা চোখ ঢেকে পিছু ফিরে বলি
নাহ্!
আর বোধহয় এখানে থাকা ঠিক হবে না
কিরণমালী আসার আগেই আমার পালাতে হবে।
দরজা জানলা বন্ধ করে নরম বালিশে গা এলিয়ে দেই
নকশীকাঁথায় লুকিয়ে ফেলি নিজেকে
ধীরে ধীরে চলে যাই সবার থেকে দূরে বহুদূরে
এইখানে একা আমি,একদম একা!
নেই কোন অবৈধ হাতছানির আহবান
ক্ষমতার অপব্যবহারে লুটেরাদের ভয়
পৃথিবীর বুকে নিশ্চিন্তে এখানে অন্তত কিছুটা সময় থাকা যায়
সত্যি সত্যিই নির্ভয়ে নির্বিঘ্নে থাকা যায় কি?
তবুও শান্তি খুঁজি;
শুধু শান্তি আর শান্তি!
শান্তির চেয়ে বেশি সুখ বোধহয় এ ধরায় আর হয় না।
Leave a Reply