একেকটা অবহেলিত রাত,
যখন অপেক্ষায় থাকি আমার নির্ঘুম চোখে কেউ ঠোঁট বুলিয়ে দেবে,
নির্লজ্জ এ চাওয়া তা ঠিক।
তুমি তো ব্যস্ত তখন অন্য কারো বুকের খাঁজে গোলাপের ঘ্রাণ খুঁজতে…
আমার গায়ের গন্ধ তো বরাবরই বুনো,
মাতাল করে দেওয়া,সভ্যতার লেশ মাত্র নেই তাতে,
তা দিয়ে কত আর পোষায় বলো!
মাঝেমধ্যে বড় তুচ্ছ জিনিস দেখাতেও কাউকে ভালোবাসতে ইচ্ছে হয়, জানো?
চোখের কাজল দেখাতে,
রূপোর নাকফুলটা দেখাতে,
কপালের নকশা করা টিপখানি দেখাতে,
কেউ দেখবে,দেখে মুগ্ধ হবে।
আমি হড়বড় করে কথা বলে যাব,কেউ শুনবে কিংবা কেবল দেখবে আমায়,
ঠিক এজন্যও কাউকে দরকার।
মাইগ্রেনের ব্যথাটা যখন কষ্ট দেয়,
তখন কারো বুকে চুপটি করে শুয়ে থাকার জন্য হলেও কাউকে চাই, খুব চাই।
মাঝরাতে যখন ঘুম ভেঙ্গে ধড়ফড় করে উঠি,
তখন পাশে থেকে মাথায় হাত রাখার জন্য হলেও যেন কাউকে দরকার।
আবার কেউ ভালোবাসবে কেবল,
শুধুই ভালোবাসা —
কোনো লুকোছাপা ছাড়া, এতটুকুর জন্যও কাউকে খুব ভালোবাসতে ইচ্ছে হয়।
রাত বাড়ার সাথে সাথে বুকের ভেতর দুমড়ে মুচড়ে এককোণে ফেলে রাখা কষ্টগুলো মাথাচাড়া দিয়ে জেগে উঠে,
সাথে সাথে রাস্তার কুকুর গুলোও আর্তনাদের সুরে ডেকে যায় ——
বেঁচে থাকার এ দায় কত নিষ্ঠুর বলো তো!
এরচেয়ে বড় নিষ্ঠুরতা হলো আমার কাপড়ে যখন তোমার শরীরের ঘ্রাণ ভেসে উঠে,
আবার সেই ঘ্রাণ নিয়েই অন্য কারো শরীরে নিত্য খেলছ তুমি।
বেঁচে থাকার হাজারো অভিযোগ,
তাও নির্লজ্জ নির্লিপ্ত অপমানিত হয়েও বেঁচেই তো আছি।
জীবনটাতে কেবল তোমার পদচিহ্ন ছাড়া আর কি কিছু ফেলে গিয়েছ!
দূরত্বের গল্পগুলো তো এভাবেই বেড়ে চলে,
চলতেই থাকে —-
আমার দীর্ঘশ্বাসটুকু সয়ে নিতে পারবে তো!
Leave a Reply