একটি মেয়ে সব সময় চায় প্রেমিকা হয়ে থাকতে।
কখনো সে মা কিংবা বৌ হতে চায় না তার পছন্দের মানুষের কাছে।
সে চায় সকল সময় সে তার পছন্দের মানুষের নয়নতারা হয়ে চুপ করে বসে থাকবে তার হৃদমন্দিরে।
সে কখনো আদরে আবদারে তার পছন্দের মানুষকে চাইবে।
কখনো বা খুনসুটিতে পাশে পেতে চাইবে।
কখনে আধো আলো আধো আঁধারে নিঃশব্দে বিচরন চাইবে।
সে চায় ছেলেবেলায় মায়ের কুলে যেমন মাথা
রেখে ঘুমিয়েছে।
ঠিক তেমনি সে তার প্রিয় মানুষটার কাঁধে পরম শান্তিতে ঘুমোতে।
সে ছেলেবেলায় যেমন বাবার সাথে কেনাকাটা করতো,
তার পছন্দের মানুষের সাথেও তাই করবে।
কৈশোরে অবতীর্ন হওয়ার পরে ভাইয়ারা যেমন তাকে আগলে রাখতো।
তার পছন্দের মানুষটিও তাকে তেমনি আগলে রাখুক। মমতার চাদরে জড়িয়ে আর ভালোবাসা আদলে যেমনি বড় বোনটি তার সকল আবদার মিটিয়ে দিতো।
তেমনি তার পছন্দের মানুষটিও তার সকল আবদার মিটিয়ে দিক।
তবেই তার পরিবারের অভাবটি সে কোনদিন বুঝতে পারবে না।
আমি হরফ করে বলতে পারি একটি মেয়ে যেমনি ভাবে তার পছন্দের মানুষের কাছ থেকে যখন এক মুঠো বাদাম বা এক ডজন রেশমি চুড়ি পেয়ে যতোটা না খুশি হয় বাবার কাছ থেকে সোনার বালা পেলেও তেমন খুশি হয়না।সময়ের সাথে সাথে তাদের ভালোলাগার বিহ্বলতায় হারায়,
কারণে বা অকারণে বদলায়।
এটাই হয়তোবা প্রকৃতির রূপ।
তাই প্রতিটা মেয়েকে ছেলেরাই প্রেমিকা বানায় আবার তারাই তাদের স্বার্থে কখনো বৌ, কখনো বৌমা আবার কখনো মা আবার কখনো দাদু দিদা বানিয়ে দেয়।
তোমরা যদি ওদের মনের মধ্যে প্রেমিকার আকৃতি অবকাঠামো নির্মাণ না করতে! তবে তারাই নিজ থেকে বৌ, বৌমা, মা, মামি চাচি, ফুপি, খালা, নানু, দাদু সময়ের খেয়ালে নিজেকে গড়িয়ে নিত। মানিয়ে নিত তৈরি করে নিত।
এই তোমরা পুরুষ মানুষেরা তোমাদের প্রয়োজনে তাদের কে তোমাদের মতো করে ব্যবহার করতে করতে তোমাদের একটি আকৃতি তোমার অজান্তেই তার মনের গভীরতায় তৈরি করে ফেলেছো।
আর এখন তোমরা তার কাছে থেকে যখন আর তা পাও না, তখনই তোমাদের মনে হয় বৌ বদলে গেছে আগের মতো আর নেই।
একটিবারও কি নিজেকে জিজ্ঞাসা করেছো তারা কি চায়?
তাদের কিসে ভালো লাগে?
তারা কেন কষ্ট পায়?
তারা কেন বদলে যায়?
আসলে তারা তোমাদের উপস্থিত আগের মতো আর পায় না।
তাই তখন তাড়া প্রেমিকার মনটাকে কবর দিয়ে তোমাদের চাহিদায় কখনো বৌ কখনো বৌমা, কখনো মা, কখনো দাদু বা নানু হয়।
Leave a Reply