স্বর্গ বলো জান্নাত বলো সবই মায়ের কাছে,
তবুও কেন অসহায় বৃদ্ধ-মা’য়েরা পড়ে থাকে রাস্তার পাশে?
জীর্ণশীর্ণ রোগাক্রান্ত দেহখানি কেন ধুলাবালিতে মিশে?
পোকারা অভয়ারণ্য গড়ছে সেই জীবন্ত স্বর্গতে ,
অনাহারে কাটে যে বেলা মৃত্যুর পথ চেয়ে,
অসহ্য কষ্টে মা’য়েরা কাতরে উঠে অন্ধকার আসে ধেয়ে।
মা’য়ের যে অশ্রু প্রার্থনাতে হতে পারতো আশীর্বাদ ,
তা আজ হয়েছে যেন আমাদের অভিশাপ?
কেমন করে ফেলছি আমরা স্বর্গকে পায়ে ঠেলে দিতে?
মা’য়ের পরশ মা’য়ের সঙ্গ মনের গহীনে শান্তি যেমন মেলে।
পৃথিবীর সকল সুখ যে মায়ের মমতায় আছে;
সেই মা’কে অভাগা সন্তানরাই রাখতে পারে না কাছে।
সন্তানরা থাকে বিশাল বিশাল অট্রালিকায় ,
অভাগী মা অবহেলায় পড়ে থাকে ছোট্ট কুড়েঘরে।
ছিঃ! নিজেদেরকে মানুষ বলতে আজ বড়ই লজ্জা হয়।
ছোটবেলায় যে হাতদুটি ধরে চলতে শিখলাম পথ,
সেই শক্ত হাতদুটি কাঁপছে যখন বার্ধক্যের ভারে,
তখন তাদের ছেড়ে দিলাম ঘুটঘুটে অন্ধকারে।
নিজে না খেয়ে সন্তানের মুখে যে মা তুলে দিতো অন্ন,
আজ সেই মা’য়ের দিন কাটে অনাহারে কখনও আধপেটা খেয়ে ;
চোখে জল করে ছলোছল সন্তানের পথও চেয়ে চেয়ে,
আশাহত হয় না মা বুকের মাঝে জ্বালিয়ে রাখে শত প্রদীপ শিখা।
শক্ত করে দুটি হাত ধরে বলতে কেন পারি না ওগো মা,
ভয় নেই কোনো চেয়ে দেখ মা ..
তোমার জন্য দাড়িয়ে আছে হাজারও সন্তানেরা।
একজন মা, সে কখনও ব্যক্তি বিশেষের মা নয়,
একজন মা সে যেন হয় সার্বজনীন মা।
যদি প্রশ্ন করা হয় কোথায় আমাদের সুখ?
নির্দ্বিধায় যেন বলতে পারি দেখলে মায়ের মুখ।
…..
..
Leave a Reply