এই সাহেবা’ কই ঘুমোবেন?
আপনার মাথার উপর৷ কথাটি শুনে আবির ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায়’ ধুউর’ এ মেয়ের মুখে শরম নামক শব্দ নেই৷
আজ আবিরের বিয়ে হয়েছে, মেয়ে নাকি গ্রামের ভদ্রসভ্য মুর্খ মেয়ে৷ তবে কথা বলে বেশ শুদ্ধ’ বোঝায় যাচ্ছেনা৷
রিনা চুপচাপ নিচে বিছানা করে নেয়৷
আবির আড়ে আড়ে তাকাচ্ছে মেয়েটার দিকে৷
বেশ বিস্ময় ভরা মুখ তার’ শ্যামলা বর্ণের চেহারাতেও খুব বেশি আকর্ষন৷ লম্বা কোমর পর্যন্ত চুল৷ গায়ে থ্রিপিছ
কিন্তু সে বোধহয় থ্রিপিছের সঙে ইজি নয়,
বেশ আনই’জির সঙে গা খুচাতে লাগলো৷
উফ’ এগুলো কেও পড়ে নাকি? বিশ্রি,
আবির হেসে দিযে বলে- এখন থেকে এগুলোই পড়তে হবে৷ রানি আবিরের দিকে তাকায়- আবির শুয়ে পড়েছে৷ চোখও বন্ধ করে ফেলেছে, বেশ রাগ নিয়ে রানি বললো৷
ঘুমোচ্ছেন ক্যান? সবাইরে বলবো? যে এ দিনে ঘুমোচ্ছেন?
আবির চোখ বন্ধ করেই মিচকি হাসি দিয়ে বললো৷
তাহলে পাশে আসেন৷
ইহ শখ কতো? উঠেন বলছি৷
উঠে করবো কি? গল্প করবেন৷
চোখ ডলতে ডলতে আবির বললো৷ কিসের গল্প?
রানি মিচকি হেসে বলে উঠলো, প্রেমের গল্প৷
তার এমন কথায় আবির ফিক করে হেসে দেয়৷
আগে প্রেম করেছো রানি? হু: কয়টা?
আটটা৷ কিইই? হ্যাঁ সত্যিই,
আবিরের মন খানিকটা খারাপ হয়ে যায়,
তবুও অনিচ্ছাসত্তেও জিগ্যেস করে, নাম কি? তাদের৷
রানি হেসে উঠে, মিউ গিউ ফিউ৷ মানে? বিস্মিত আবির৷
মানে ওগুলো আমার বাসার বিড়াল৷
Leave a Reply